আপডেট: নভেম্বর ৩, ২০১৯
হিজলা প্রতিনিধি :: বরিশালের হিজলা উপজেলার হিজলাগৌরব্দী ইউনিয়নের কাকুরিয়া বাজারে কোষ্টগার্ড-জেলে সংঘর্ষে ২ জন কোষ্টগার্ড সদস্য গুরুতর আহতর রহস্য জট খুলেনি। ২০ অক্টোবর বেলা দেরটার দিকে ঐ বাজারে ইউনিয়ন আ’লীগ সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন দফাদার বাড়িতে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়।
বরাবরই কোষ্টগার্ড বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করে আসছে। ঘটনার ১৪ দিনেও আহত ব্যাক্তিদের সম্পর্কে কিছুই জানা যায়নি। হিজলা উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা অনিলচন্দ্র দাস অবশ্য জানিয়েছেন তিনি নিজে ঘটনা স্থ’লে উপস্থিত।
তার উপস্থিতিতে কাকুরিয়া বাজারে কোষ্টগার্ড অবৈধ কারেন্ট জাল ব্যবসায়ীদের মধ্যে সংঘর্ষ। তিনি নিজেও আহত হন বলে দাবি করেন। সংঘর্ষে ১ জন কোষ্টগার্ডের গোয়েন্দা সং¯’ার সদস্য আহত হয় অপরজন কোষ্টগার্ডের মাঝি খলিল সরদার। আহতদের কোথায় রাখা হয়েছে সে বিষয়ে তিনি কোন তথ্য জানেন না। কোন মামলাও হয়নি। আসল রহস্য ভিন্ন বলে দাবি করছেন স্থানীয়রা। তারা জানান খলিল ও সোলায়মান মাঝিসহ কোষ্টগার্ডের চাঁদা আদায়ের একটি চক্র রয়েছে।
এরাই তাদের অর্থ সংগ্রহ করে। সময়মতো চাঁদা দিতে ব্যর্থ হলেই সেখানে হামলা বা অভিযান। তাদের মতে কারেন্টজাল এবং ইয়াবা একই সুতায় গাথা। একটি অপরটির সাথে যুক্ত। এর পুরোটাই কোষ্টগার্ড পুলিশের তালিকায় রয়েছে। সময়মতো এদের কাছ থেকে মাসোহারা পৌছে যায় তাদের কাছে। স্থানীয় ইসমাইল সরদার জানায় ২০ আগষ্ট সোমবার দেরটার দিকে কোষ্টগার্ডের একটি গ্রুপ কাকুরিয়া বাজার এলাকায় আলাউদ্দিন দফাদার বাড়ি জেলেদের জাল সেলাই করা অবস্থায় তাদের জাল নিয়ে আসাকে কেন্দ্র করে ঘটনার সূত্রপাত ঘটে। আলাউদ্দিন দফাদার জানান তিনি বাড়ি ছিলেন না।
তার বাড়ি জেলেরা বেড় জাল সেলাই করছিল অভিযানের পর মাছ শিকারের জন্য। খলিল এর আগে স্থানীয় একতা বাজারে বিভিন্ন অবৈধ কারেন্ট জালের দোকানদারদেও সাথে আলাপ করছিল। এর ঘন্টাখানেক পরেই শুনতে পাই তার বাড়ি কোষ্টগার্ড হামিলা দেয়। এর পর পরই স্থানীয় কান্টেজাল ব্যবসায়িরা একজোট হয়ে হামলা চালায়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ব্যাক্তি জানান- স্থানীয় আলীগ সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন দফাদার বাড়ি মজুত কৃত অবৈধ কারেন্ট জাল উদ্ধার করতে গিয়ে সংঘাত। সংঘর্ষের কারনে ঐ কারেন্ট জাল ফেলে কোষ্টগার্ড দ্রুত স্থান ত্যাগ করে। এর আগে হিজলাগৌরব্দী এলাকায় অবৈধ কারেন্টজাল ব্যবসায়ীরা নিয়মিত বখরা দিত কোষ্টগার্ডকে।
বর্তমানে অভিযানের কারনে ঐ বখরা বন্ধ করে দেয় ব্যবসায়ীরা। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে কোষ্টগার্ড ঐ দিন হামলা চালায় অবৈধ কারেন্টজালের গুদামে। বিষয়টি টের পেয়ে কারেন্টজাল ব্যবসায়ীরাও হামলা চালায় কোষ্টগার্ডের ওপর। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক কারেন্টজাল ব্যবসায়ী জানন- কোষ্টগার্ডের মাঝি খলিল সোলায়মান সহ এদের একটি স্থানীয় সোর্স রয়েছে।
এদের মাধ্যমে মাসিক চাঁদা আদায় করে কোষ্টগার্ড। চাঁদা দানের পরের তাদের জাল নেয়ার কারণে কোষ্টগার্ডেরসাথে এই দ্বন্দ্ব।
ইয়াবা এবং অবৈধ কারেন্ট জাল একই ধরণের ব্যবসা। একটি অপরটির পরিপুরক। কারেন্ট জাল ব্যবসায়ীরা স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন, কোষ্টগার্ড, নৌ পুলিশকে ম্যানেজ করে ব্যবসাটি পরিচালনা করে। এরা রিতিমত তাদের মাসোহারার মাধ্যমে মেঘনা নদীর বিভিন্ন চ্যানেল ব্যবহার করে ব্যবসা পরিচালনা করে। অনেক ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী দেখেও না দেখার ভান করে।