আপডেট: অক্টোবর ২৯, ২০২০
হিজলা প্রতিনিধি:: মা ইলিশ রক্ষায় নৌ পুলিশ ভাসমান টিম অন্তরভাম ২ এর উপর জেলেদের অর্তকিত হামলায় আহত ইনেসপেক্টর তাহের। প্রাথমিক চিকিৎসায় সুস্থ্য। লন্ডভন্ড পুলিশের টহল ট্রলার। তিন জেলে আটক। মামলার প্রস্থতি চলছে।
বরিশালের হিজলা উপজেলার হিজলাগৌরব্দী ইউনিয়নের খালিশপুর মেঘনায় মঙ্গল রাত ২:৩০ টার দিকে টহল দিচ্ছিল নৌ পুলিশের ইনেসপেক্টর তাহের এবং এসআই মোঃ গিয়াস উদ্দিনসহ সঙ্গীয় ফোর্স। ইনেসপেক্টর তাহের জানান, রাতের আধারে জেলেদের একটি দল নদীতে জালফেতে গেলে ধাওয়া করেন। কিছু বুঝে উঠার আগেই মেমানিয়ার আলোচিত জাকির মাঝিসহ ১০ থেকে ১২ টি নৌকা নিয়ে হামলা চালায়। জাকির মাঝির ট্রলাটি নৌ পুলিশের টহল টিমের ট্রলারের উপর উঠিয়ে দেয়। মুহুর্তেই দুমরে মুচরে নদীতে তলিয়ে যায় টহল ট্রলারটি। লাইফ জ্যাকেট পরা অবস্থায় কিছুক্ষণ পর উদ্ধার করে নৌ পুলিশের অপর একটি ট্রলার। রাতেই ঘটনা¯’ল থেকে জেলে ইয়াকুব বাঘা, মোহাম্মদ আলী শিকদার এবং নুর ইসলাম মাঝি নামের তিন জেলেকে আটক করতে সক্ষম হন তারা। বুধবার সকালে প্রত্যেককে হিজলা নৌ পুলিশ ফারিতে নিয়ে আসা হয়। নিয়মিত মামলার প্র¯‘তি চলছে বলে জানান ইনেসপেক্টর তাহের।
অপরদিকে মঙ্গলবার সকাল ৯:৩০টার দিকে মেঘনার হরিনাথপুরে নৌ পুলিশের ভাসমান টিমের সাথে জেলেদের সংগর্ষ বাধে। ৪ রাউন্ড ফাকা গুলি ছুড়ে নৌ পুলিশ। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ইউএনও হিজলা, এসপি, ওসি ২৮ অক্টোবর পুলিশ বাদি হয়ে একটি মামলা করেন। মামলা নং ২৩ তারিখ ২৮-১০-২০২০। এ ছাড়া হিজলার মেমানিয়ায় পুলিশের ওপর হামলার দায়ে এর আগেও একটি মামল হয়।
নৌ পুলিশ ইনেসপেক্টর আবু তাহের জানান, পর পর তিন তিনটি মামলায় তাদের মনোবল আরও চাঙ্গা হয়েছে। পুশি শক্ত অবস্থানে রয়েছে। মা ইলিশ রক্ষায় যা যা করণীয় তাই করে যাবেন, তিনি মেঘনায় রয়েছেন। হামলা যতই হোক তিনি এবং তার দল মুল মেঘনা থেকে পিছ পা হবেন না।
আইনসৃঙ্খলা সভায় কোষ্টগার্ডকে তুলোধুুনা। ২৮ অক্টোবর বুধবার উপজেলা আইনসৃঙ্খলা মিটিংএ তুলোধুুুনা দেয়া হয় কোষ্টগার্ডকে। পুরো অভিযান নিয়ে প্রশ্নবিদ্ধ কোষ্টগার্ড। জেলেদের সাথে সখ্যতা, অনৈতিক অর্থের বিনিময়ে জেলেদের ছেড়ে দেয়া, কোষ্টগার্ড মাঝি খলিলকে নিয়ে প্রশ্ন, দালাল আমির সরদারের সাথে সখ্যতা, প্রশাসনের সাথে সমন্বয়হীনতা, সাংবাদিকদের সাথে অশোভন আচরণ নিয়ে কোষ্টগার্ডকে তুলোদুনা কওে আইনসৃঙ্খলা সভা।