২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার

ঢাকায় চতুর্থ সন্তানও মেয়ে হওয়ায় ধামরাইয়ে বাবার কাণ্ড!

আপডেট: আগস্ট ১৭, ২০১৯

নবজাতক। প্রতীকী ছবি

ঢাকার ধামরাইয়ে পুত্র সন্তানের আশায় স্ত্রীর গর্ভের চতুর্থ সন্তানও কন্যাসন্তান হওয়ায় নবজাতকটি জীবন্ত মাটি চাপা দেয়ার চেষ্টা করেন পাষণ্ড পিতা। স্ত্রীকে তালাকেরও হুমকি দেন তিনি।

অবশেষে হাসপাতালের চিকিৎসক ও আত্মীয়-স্বজনের সহায়তায় ওই নবজাতকটি জীবন্ত মাটিচাপা দেয়ার কবল থেকে বাঁচলেও অবশেষে ওই নবজাতকটিকে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে বিক্রি করে দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

তবে ওই নবজাতকের পিতা সন্তান বিক্রি ও জীবন্ত মাটিচাপা দেয়ার কথা অস্বীকার করে জানান, আমি কোটিপতি, আমি সন্তান বিক্রি করব কী কারণে। ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার সকালে।

অপরদিকে ওই নবজাতকটির মা হাসনা বেগম সন্তান শোকে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এরপরও ওই নবজাতকটির পিতা নবজাতকটির সন্ধান দিচ্ছে না কিংবা ফিরিয়ে আনছে না বলে পরিবারের অভিযোগ।

এলাকাবাসী ও পারিবারিক সূত্র জানা গেছে, ধামরাই উপজেলার পশ্চিম সূত্রাপুর গ্রামের মো. রেজ্জেক আলী বেপারীর ছেলে মো. নয়া মিয়া বেপারী একটি ছেলে সন্তানের আশায় পরপর তিনটি কন্যাসন্তান নেন।

এরপরও পরিবারের লোকজনের আশায় চতুর্থবার সে আরেকটি সন্তান নেয়ার সিদ্ধান্ত নেন। শনিবার সকাল ৯টার দিকে সাটুরিয়া পারভীন ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এবারও একটি কন্যাসন্তানের জন্ম দেন তার স্ত্রী হাসনা বেগম।

খবর পেয়ে ওই নবজাতকের পিতা নয়া মিয়া স্ত্রীকে তালাক ও ওই নবজাতককে জীবন্ত মাটিচাপা দেয়ার চেষ্টা করেন। উপস্থিত জনতার হস্তক্ষেপে ওই নবজাতকটি জীবন্ত মাটিচাপা দেয়ার হাত থেকে রক্ষা পায়।

তবে কৌশলে এই পাষণ্ড পিতা ওই নবজাতকটি শনিবার বিকালে অজ্ঞাত ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। কোথায় কার কাছে ওই নবজাতকটি বিক্রি করা হয়েছে তা এখনও উদঘাটন হয়নি।

ওই নবজাতকের পিতা মো. নয়া মিয়া জানান, আমার স্ত্রী কিডনি ও জরায়ু ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ায় তার পক্ষে এ সন্তান লালন-পালন করা সম্ভব নয়। তাই আমি আমার স্ত্রীকে বাঁচাতে সন্তানটি অন্যের হাতে তুলে দিয়েছি। তাছাড়া আমি এত কন্যাসন্তান দিয়ে কী করব?

এসআই কামরুজ্জামান বলেন, এলাকাবাসীর কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়ার পর শিশুটি উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।

125 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন