২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার

ধর্মপাশায় ইউপি চেয়ারম্যানরা নিজেদের আখের গুছাতে ব্যস্ত রয়েছেন,একাধিক ইউপির প্রকল্পিত স্থান শূন্য

আপডেট: জানুয়ারি ২৩, ২০২১

গিয়াস উদ্দিন রানা,ধর্মপাশা(সুনামগঞ্জ)::  সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলায় ১০টি ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যানরা এখন নিজেদের আখের গুছাতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। ইউনিয়নবাসীর দরিদ্র পরিবারে লোকজনের বিপদে আপদে ঝাঁপিয়ে পড়ছেন। চলতি ২০২০-২০২১ অর্থ বছরের গ্রামীন অবকাঠামো টিয়ার, কাবিখা, এলজিএসপি ও কর্মসংস্থান কর্মসূচি প্রকল্পের কাজ একাধিক ইউনিয়নে এসব প্রকল্পের কাজ এখনো শুরুই হয়নি।
অনুসন্ধানে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, স্ব স্ব ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যানগন বিগত সাড়ে ৪ বছর যে সমস্ত গ্রামের খোঁজ খবর রাখেননি অথবা দরিদ্র পরিবারের কোন উপকার করেননি বা তারা এখনো সরকারি কোন অনুদান পায়নি। কিš‘ আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে চেয়ারম্যান সাহেবরা ওই সব দরিদ্র পরিবারদের খোঁজ খবর রাখছেন। ওয়াজ মাহফিল ও কীর্ত্তন সহ ধর্মীয় অনুষ্টানে গিয়ে মতবিনিময় করছেন। দেন দরবার, শালিশ বৈঠক, বিয়ে-সাদী, জম্মদিন, মৃত্যুবার্ষিকী, শ্রাদ্ধ ইত্যাদিতে যোগদান করছেন। বিবাহ অনুষ্টানে গিয়ে বড়ধরনের নামী-দামী উপহার দিচ্ছেন।
চলতি ২০২০-২০২১ অর্থ বছরে গ্রামীন অবকাঠামো ও অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মর্কস্থান কর্মসূচি প্রকল্পের আওতায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দকৃত টিয়ার, কাবিখা, এলজিএসপি ও ত্রান ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয় থেকে বরাদ্দকৃত কর্মসীজন কর্মসূচি প্রকল্পের কাজ একাধিক ইউনিয়নে এখনো শুরুই হয়নি।
উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুড়ে দেখা যায়, চলতি বছরে, গ্রামীন অবকাঠামো টিয়ার, কাবিখা, অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচি প্রকল্পের কাজ একাধিক ইউনিয়নে এসব কাজের অস্তিত্ব নেই বললেই চলে। এসব প্রকল্পের কাজ, কাগজে কলমে থাকলেও প্রকল্পিত স্থান শূন্য।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মুনতাসির হাসান তিনি বলেন, অভিযুক্ত প্রতিটি প্রকল্পিত স্থান পরিদর্শন করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পি.আই.ও) প্রজেশ কুমার দাস তিনি বলেন, টিয়ার, কাবিখা ও কর্মসীজন প্রকল্পের কাজ না করলেও প্রথম কিস্তিতে ৩ মেঃটন চাল বা গমের মূল্য হিসেবে বিল দেওয়ার রাইট আছে। পরবর্তীতে কাজের গুনগত মান দেখে পরবর্তী বিল দেওয়া হবে।

93 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন