২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

ধর্মপাশায় পাউবোর ২৫ লাখ টাকার বাঁধ কেটে মাছ ধরার অভিযোগ

আপডেট: নভেম্বর ১৭, ২০২০

গিয়াস উদ্দিন রানা,ধর্মপাশা (সুনামগঞ্জ)::  সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় সুখাইড় রাজাপুর দক্ষিন ইউনিয়নে উলশখালী গ্রামের প্রভাবশালী জলদ্যুরা কংশ নদীর তীরবর্তী উলশখালী নামক পাউবোর ২৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ফসলরক্ষা বেড়ীবাঁধ কেটে ভীম জাল দিয়ে লাখ লাখ টাকার মাছ শিকার করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
অনুসন্ধানে খুজ নিয়ে জানা যায়, ধর্মপাশা উপজেলাধী সুখাইড় রাজাপুর দক্ষিন ইউনিয়নের কংশ নদীর তীরবর্তী উলশখালী নামক বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবোর) ২৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ধারাম হাওর ফসলরক্ষা বেড়ীবাঁধ কেটে ভীম জাল পেতে লাখ লাখ টাকার মাছ শিকার করছে ওই বেড়ীবাঁধ সংলগ্ন উলশখালী গ্রামের প্রভাবশালী জলদ্যুসুরা। এতে ওই স্থান মেরামতে সরকার প্রতি বছর ২৫ লাখ টাকা ব্যয় করে মেরামত করলেও সংস্টিষ্টরা অথবা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় কোন প্রদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না।
সুখাইড় রাজাপুর দক্ষিন ইউনিয়নের অন্তভূক্ত উলশখালী গ্রামের সংলগ্ন ফসলরক্ষা বেড়ীবাঁধটি ফলে ওই গ্রামের নামে বেড়ীবাঁধের নাম করন করা হয়েছে। ব্যয় বহুল ফসলরক্ষা বেড়ীবাঁধটির নাম উলশখালী গ্রামের সাথে মিলিয়ে উলশখালী বেড়ীবাঁধের নাম করন করা হয়েছে। ওই গ্রামে প্রভাবশীলী সঙ্গবন্ধ প্রভাবশালী একটি জলদ্যুশ বাহিনী রয়েছে। ওই বাহিনীর সদস্যরা দিনের বেলায় নিরব থাকলেও রাতের অন্ধকারে অবৈধ ভাবে লাখ লাখ টাকার মাছ শিকার করছে ভীম জাল দিয়ে। উলশখালী নামক ফসলরক্ষা বাঁধটি মেরামত করতে গিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবোর) প্রতি বছর ২৫ লাখ টাকা ব্যয় হচ্ছে। উলশখালী গ্রামের সঙ্গবন্ধ প্রভাবশালী জলদ্যুদের ভয়ে এলাকাবাসী প্রতিবাদ করতে সাহস পায় না বিধায় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
এব্যাপারে গত ১১ নভেম্বর সরজমিন পরিদর্শনে উলশখালী বেড়ীবাঁধ বেটে মাছ শিকারের আলামত পাওয়া গেলেও উলশখালী গ্রামের লোকজন প্রভাবশালী জলদ্যুদের নাম বলতে অনি”ছা প্রকাশ করলেও পরবর্তীতে নাম প্রকাশ না করা সৎতে ওই গ্রামের একাধিক ব্যক্তি জানান, উলশখালী গ্রামের মৃত নূরুল ইসলামের ছেলে আজিজুর রহমান, আজাদ, সুজাত, অমর ফারুক ও ইবাদুল ইসলাম। একই গ্রামের আব্দুল হেকিমের ছেলে আব্দুল হাই, মৃত আব্দুল গনির ছেলে মিলন, হোসেন আহমদ, সিরাজুল ইসলামসহ ১০/১৫ জনের সঙ্গবন্ধ চক্র সরকারের ২৫ লাখ টাকার বাঁধ কেটে রাতের আধারে ভীম জাল দিয়ে লাখ লাখ টাকার মাছ ধরে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ মুনতাসির হাসান তিনি বলেন, সরজমিন পরিদষনে দুষি ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

143 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন