২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

ধর্মপাশায় প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া আশ্রয়ন প্রকল্পের কাজ বন্যার পানিতে ভাসছে

আপডেট: আগস্ট ২৩, ২০২০

গিয়াস উদ্দিন রানা,ধর্মপাশা(সুনামগঞ্জ):: ধর্মপাশা , সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলায় প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া দুইটি ইউনিয়নে কোটি টাকা ব্যয়ে দুইটি আশ্রয়ন প্রকল্পের কাজ বন্যার পানিতে ভাসছে। প্রকল্প গুলো ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে অনুমোদন দেওয়া হয়। ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরের ৩০ জুনের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শতভাগ বাস্তবায়নের কথা থাকলেও ধারাবাহিক ভাবে একে একে তিন বার বন্যা হওয়ায় প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যানরা পড়ছেন বিপাকে।
হাওর বেষ্টিত ভাটি এলাকা বলে পরিচিত সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলা। এ উপজেলার সিংহ ভাগ গ্রাম নীচু থাকায় বর্ষা মৌসুমে অবিরাম বৃষ্টি ও ভারতের মেঘালয় পাহাড়ের ঢলের পানি সুরমা নদী দিয়ে বিপদ সীমায় প্রবাহিত হয়ে উপজেলার নিম্যঞ্চল বন্যার পানিতে প্লাবীত হয়ে হাজার হাজার পরিবার পানিবন্ধি হয়ে পড়ে। এসব অসহায় সাধারন মানুষদের বন্যার ঝুঁকি থেকে রক্ষার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নিয়েছেন। তারই ধারাবাহিকতায় বিগত ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে কোটি টাকা ব্যয়ে উপজেলার উত্তর বংশীকুন্ডা ও দক্ষিন বংশীকুন্ডা ইউনিয়নে দুটি আশ্রয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রকল্প দুটি স্ব স্ব ইউপি চেয়ারম্যান নিজেই প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি নিযুক্ত হয়। এসব প্রকল্প গুলো ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরের ৩০ জুনের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শতভাগ বাস্তবায়নের কথা থাকলেও হঠাৎ একে একে তিন বার বন্যা হওয়ায় প্রকল্প গুলো বাস্তবায়নে বাধাগ্র¯’ হয় বিধায় প্রকল্পের ২৫ভাগ মাটি প্রবল ঢেউয়ের আঘাতে সরে যায়। উভয় প্রকল্পের স্থান রামসার টাঙ্গুয়ার হাওর তীরবর্তী হওয়ায় প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতিরা আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্র¯’ হয়েছে বলে জানা গেছে। ওই প্রকল্প দুটির কাজ গত ৩০ জুনের মধ্যে শেষ করার কথা থাকলেও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারনে প্রকল্পের কাজ শেষ না হলেও বন্যার পানি নামার সাথে সাথে প্রকল্পের কাজ শুরু হবে বলে উভয় চেয়ারম্যান জানিয়েছেন।
এব্যাপারে উপজেলা ত্রান ও দুর্যোগ অধিদপ্তর এর প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা প্রজেস চন্দ্র দাস তিনি বলেন, অসময়ে হঠাৎ একে একে তিন বার বন্যা হওয়ায় নির্দিষ্ট সময়ে প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। গত ৩০ জুনের মধ্যে কাজ শেষ করতে না পারলেও বন্যার পানি নামার সাথে সাথে প্রকল্পের কাজ শেষ করতে হবে। এটা প্রধানমন্ত্রীর প্রকল্প। ওই প্রকল্পের কাজ শেষ হলে সেনাবাহিনী এসে পরিদর্শন করিবে। এসব কাজে ফাঁকি দেওয়া চলবে না।
উত্তর বংশীকুন্ডা ইউপি চেয়ারম্যান (প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি) মোহাম্মদ বিল্লাল হোসাইন তিনি বলেন, আমার প্রকল্পের কাজ গত ৩০ জুনের মধ্যে শেষ করার ই”ছা ছিল। কিš‘ কাজের মাঝামাঝি সময় হঠাৎ করে একে একে তিন বার বন্যা হওয়ায় প্রকল্পের কাজ করা সম্ভব হয়নি বিধায় আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্র¯’ হয়েছি।
দক্ষিন বংশীকুন্ডা ইউপি চেয়ারম্যান আজিম মাহমুদ (প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি) তিনি বলেন, টেলিভিশনের সংবাদে বন্যার পূর্বভাস পেয়ে আমার প্রকল্পের চতুর পাশে বাঁশ-কোটা-বাঁশের চাটাই দিয়ে প্রোটাকশন দিয়েছি বিধায় প্রকল্পের একটু মাটিও সরেনি। বন্যার পানি নামার সাথে সাথেই প্রকল্পের কাজ শতভাগ বাস্তবায়ন করিব।

87 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন