২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার

ধর্মপাশায় বিল শুকিয়ে মাছ ধরায় দেড় কোটি টাকার ৬ বাঁধ হুমকিতে

আপডেট: ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২১

গিয়াস উদ্দিন রানা,ধর্মপাশা(সুনামগঞ্জ):: সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় গুড়মা প্রকল্পের আওতায় ঝিনারিয়া জলমহাল জামালগঞ্জর উপজেলার আসানপুর গ্রামের অসাধু মৎস্য শিকারিরা জলমহালটি উপজেলা পরিষদ থেকে কাস কালেকশনে লিজ এসে ওই জলমহালে স্যালোমেশিন দিয়ে শুকিয়ে মাছ ধরায় জলমহালে চতুর পাশে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবোর) ৬টি বেড়ীবাঁধ নির্মানে ব্যয় হয়েছে প্রায় দেড় কোটি টাকা। ওই জলমহালটি সেচায় ৬টি বাঁধ হুমকির সম্মুখীন হয়ে পড়েছে। অস্থায়ি অসাধু ইজারাদার জামালগঞ্জ উপজেলার আসানপুর গ্রামের মহিবুল ও আসাবুল,স্থানীয় সংসদ সদস্যের দোহাই দিয়ে এসব অবৈধ কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, ধর্মপাশা উপজেলাধীন চামরদানী ইউনিয়নের গুড়মা প্রকল্পের অন্তভূক্ত ঝিনারিয়া জলমহালটি পাশে জামালগঞ্জ উপজেলার আসানপুর গ্রামের মহিবুল ও আসাবুল,স্থানীয় এমপির প্রভাব খাটিয়ে প্রতি বছর মৎস্য আহরণের জন্য এমপির সহযোগীতায় ঝিনারিয়া জলমহালটি খাস কালেকশনে ইজারা এনে বিলটি স্যালোমেশিন দিয়ে শুকিয়ে মাছ ধরছে। ওই জলমহালের চতুর পাশে কাবিটা প্রকল্পের অর্থায়নে(পাউবোর)দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে চয়টি উপ প্রকল্পের মাধ্যমে ফসল রক্ষা বেড়ীবাঁধ ৬টি পিআইসি কমিটির মাধ্যমে এসব প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করা হয়েছে। চয়টি উপ প্রকল্পের মাধ্যমে ঝিনারিয়া জলমহালটির ভেতরে এক হতে দেড় লাখ টাকার ধান উৎপাদন সম্ভব। এর বেশী নয়, কিন্তু ওই বিলটির চতুর পাশে বেষ্টনী দেয়া হয়। পানি উন্নয়ন বোর্ডেও ব্যয় হয় প্রায় দেড় কোটি টাকা। ওই হাওরে মাত্র ৮ হতে ১০ একর বোরো জমি রয়েছে। যার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ৫০০ হতে ৬০০ মণ ধান। অসাধু ইজারাদার জলমহালটি সেলুমেশিন দিয়ে শুকিয়ে মাছ ধরে প্রায় দেড় হতে ২ লাখ টাকার। ওই বেড়ীবাঁধটি হুমকির সম্মুখীন। অপর দিকে ঝুঁকিপূর্ণ জলমহাল তীরবর্তী বেড়ীবাঁধ গুলো হুমকিতে রয়েছে। ওই জলমহালের যেকোন এক সাইড ভেঙ্গে গেলে উপজেলার সব কটি হাওর প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ওই জলমহালের ইজারাদার আসানপুর গ্রামের মহিবুলকে বাতিল করার দাবি জানিয়েছেন উপজেলার চামরদানী ইউনিয়নের দুগনই গ্রাম, কাহালা, বিশাড়া, নন্দিও গাঁও ও সাজদাপুর গ্রামের কৃষকরা। ওই হাওরে আসানপুর গ্রামের কোন জমি নেই। ফলে উপজেলার চামরদানী ইউনীয়নের কৃষকদের দাবি ঝিনারিয়া জলমহালটি অন্য একজনকে রক্ষণাবেক্ষনের দাবি জানিয়েছেন। বিশাড়া গ্রামের কৃষক চিত্তরঞ্জন, নিকসন তালুকদার, জীবন কৃঞ্চ তালুকদার ও রতন তালুকদার (ইউপি সদস্য) প্রমুখ।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মুনতাসির হাসান এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, বিষয়টি শুনা মাত্রই মধ্যনগর ভূমি অফিসের তহসিলদারকে দায়িত্ব দিয়েছি সরজমিন পরিদর্শন করে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য নিদের্শ দিয়েছি।
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য অফিসার সালমুন হাসান বিপ্লব তিনি বলেন, সরজমিনে পরিদর্শন করে ওই অসাধু ইজারাদারের বিরুধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

192 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন