২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার

ধর্মপাশায় বেড়ীরকান্দা বিদ্যালয় ক্ষুদ্র মেরামতে সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের আত্মসাতের অভিযোগ

আপডেট: অক্টোবর ৩১, ২০২০

ধর্মপাশায় বেড়ীরকান্দা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ওয়ালের প্লাষ্টার ও রেলিং এর প্লাষ্টার ক্ষসে পড়ছে।                                           ছবি-বিজয় নিউজ

গিয়াস উদ্দিন রানা,ধর্মপাশা(সুনামগঞ্জ) ::  চলতি ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার সুখাইড় রাজাপুর উত্তর ইউনিয়নের বেড়ীকান্দা প্রাথমিক বিদ্যালয় মেরামতের জন্য ২ লাখ টাকা এবং রুটিন মেরামত ও স্লীপ বাবত আরো ৭০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিš‘ ওই বিদ্যালয়ের বিদ্যুৎ শাই সহ অন্যান্য সদস্যদের বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে প্রধান শিক্ষক মাজহারুল ইসলাম ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি একে অপরের যোগসাজসে উক্ত বিদ্যালয়ের গ্রীল ও নির্ম্মমানের রং বাবত সর্বমোট ১লাখ টাকা ব্যয়করে অপবিস্ট্ ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি। এ বলে ওই বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির অন্যান্য সদস্যরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা শিক্ষা অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।
বেড়ীরকান্দা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাজহারুল ইসলাম ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি আবুল কাশেম তারা দু জন মিলে বিদ্যালয় মেরামতের ২ লাখ ৭০ হাজার টাকার মধ্যে প্রায় ১ লাখ টাকা ব্যয় করে বিদ্যালয় মেরামতের নামে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা আত্মসাত করেছে বলে একটি অভিযোগ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে দাখিল করা হয়। এর প্রেক্ষিতে গত দুই সপ্তাহ পূর্বে সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিদ্যালয় মেরামতের ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা আত্মসাতের সংবাদটি বিজয় নিউজে প্রকাশিত হয়। ওই সংবাদটির বিপরীতে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাজহারুল ইসলাম সুনামগঞ্জের একটি আঞ্চলিক পত্রিকায় লিখেছেন, অভিযুক্ত বেরিরকান্দা বিদ্যালয় মেরামতের বরাদ্দকৃত টাকা দিয়ে তিনি, গ্রীল, দেওয়ালের প্লাষ্টার, কালার ও ছাদ ঢালাই করেছেন। এর প্রেক্ষিতে গত ২৯ অক্টোবর সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিথ্যা বলে ফায়দা লুটছেন। ওই বিদ্যালয়ে গ্রীল ও নাম মাত্র নির্ম্মমানের কালার ছাড়া অন্যকোন কাজ করা হয়নি। ওই বিদ্যালয়ের বিদ্যুৎ শাই সহ অন্যান্য সদস্যরা বলেন অভিযোগ করে বলেন, সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক টাকা বরাদ্দ পাওয়ার পর তারা ইষ্টিমেট করেছেন, বিদ্যালয়ের গ্রীল বাবত ২৫ হাজার, কালার ৪০ হাজার ও ওয়ারিং বাবত ২৫ হাজার তাদের হিসাব মতে এখানে ৯০ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে। বাকী টাকা কার পকেটে চলেগেল।
ধর্মপাশা উপজেলার সুখাইড় রাজাপুর উত্তর ইউনিয়নের বেড়ীরকান্দা প্রাথমিক বিদ্যালয় মেরামত বাবত ২ লাখ টাকা এবং স্লীপ ও রুটিন মেরামত বাবত ৭০ হাজার সর্ব মোট ২ লাখ ৭০ হাজার টাকা।বরাদ্দ পেয়ে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্যদের সাথে কথা না বলেই সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক মিলে ৯০ হতে লাখ টাকা ব্যয় করে ওই বিদ্যালয়ের গ্রিল ও নি¤œমানের কালার করেই নির্মান কাজ সমাপ্ত করেন। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো: আবুল কাশেম ও প্রধান শিক্ষক মাজহারুল ইসলাম একে অপরের যোগসাজসে বিদ্যালয় মেরামতের ২ লাখ টাকা আত্মসাত করেছে। এই মর্মে গত ১৫ অক্টোবর বিজয় নিউজে সংবাদটি প্রকাশিত হয়। এর পর দিন ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাজহারুল ইসলাম ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি আবুল কাশেম তারা নিজেকে নির্দোষ প্রমানিত ও লুন্টিত টাকা হালাল করার জন্য সুনামগঞ্জের একটি স্থানীয় পত্রিকায় তাদের মতো করে একটি সংবাদ প্রকাশ করেন। ওই সংবাদে উল্লেখ্য রয়েছে, বিদ্যালয়ের কালার, প্লাষ্টার, গ্রীল ও ছাদ মেরামত করা হয়েছে।
এব্যাপারে গত ১৮ অক্টোবর সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভবনের প্লাষ্টার, মেরামত ও ছাদ ঢালাই ইত্যাদি
কিছুই করা হয়নি। ওই বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক মাজহারুল ইসলাম ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি আবুল কাশেম একে অপরের যোগসাজসে প্রায় ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা আত্মসাত করেছে বলেন ওই বিদ্যালয়ের বিদ্যুৎ শাই বীর মুক্তিযোদ্ধার মেয়ে মরিয়ম বেগম সহ একাধিক সদস্য স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগ সুনামগঞ্জ জেলা শিক্ষা অফিস ও ধর্মপাশা উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর কার্যালয়ে দেওয়া হয়েছে।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ মুনতাসির হাসান পলাশ তিনি বলেন, সরজমিন পরিদর্শনে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ইবনিযুক্ত উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ রাফিউল ইসলাম তিনি বলেন, আমি নতুন এসেছি। এব্যাপারে আমার জানা নেই। তবে অভিযুক্ত সুখাইর উত্তর ইউপির বেড়ীরকান্দা বিদ্যালয়টি আমি সরজমিনে পরিদর্শন করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

174 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন