২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার

বরিশালে আই ডি এল সি ফাইন্যাসর’কিস্তির জন্যে শত ব্যবসায়ীরা ঈদ করতে পারচ্ছেনা (পর্ব-১)

আপডেট: জুলাই ২১, ২০২০

মামুন হোসাইন।। নিম্নআয়ের মানুষ ব্যবসা কাজে ক্ষুদ্র ঋণ নিয়ে থাকে।

বাংলাদেশে করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে বিভিন্ন এনজিও ক্ষুদ্র ঋণ গ্রহিতাদের কাছ থেকে কিস্তির টাকা আদায়ে চাপ সৃষ্টি করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সরকারের পক্ষ থেকে এই দুর্যোগে কিস্তি আদায়ে কোন চাপ না দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল।

কিন্তু বরিশালে ক্ষুদ্র ঋণ গ্রহিতাদের অনেকে অভিযোগ করেছেন, তাদের কিস্তির টাকার জন্য আগের মতই প্রতিসপ্তাহে কর্মীরা তাগিত দিচ্ছেন।

বেসরকারি উন্নয়ন কম্পানি আই ডি এল সি ফাইন্যাসর বরিশাল শাখার কর্মীরা কিস্তির টাকা আদায়ে ঋণ গ্রহিতাদের চাপ সৃষ্টির অভিযোগ উঠেছে।

বরিশাল শহরের এক ক্ষুদ্র ঋণ ব্যবসায়ী জানায় আই ডি এল সি ফাইন্যাসর থেকে আমি ২ লক্ষ টাকা আনি। আমি নিয়মিত কিস্তি পরিশোধ করে আসচ্ছি। হঠাৎ করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায় তবুও আমি কিস্তি পরিশোধ করে আসছি। এখন আমার পক্ষে কিস্তি দেয়া সম্ভাব নয় এ কথা বলায় কিস্তি আদায় কারী কর্মীরা আমার উপরে ক্ষিপ্ত হয়ে বলে কিস্তি কি ভাবে দিবে আমরা জানি না সামনে ঈদ না দিলে কি ভাবে ঈদ করোছ তা দেখে নিবে বলে হুমকি দেয়া হয়। একই ভাবে নগরীর চকবাজার, বান্দরোড, বাংলাবাজার ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে।

কিন্তু করোনাভাইরাস মহামারি শুরু হলে ব্যবসায়ীরা অর্থ সংকটে পড়েন। ব্যবসায়ীদের অর্থসংকট এবং মহামারি কিছুই বুঝতে নারাজ আই ডি এল সি লোকজন।

ক্ষুদ্র ঋণ গ্রহিতাদের অনেকে অভিযোগ করেছেন, মহামারির মধ্যে কিস্তির টাকা আদায়ে আই ডি এল সি ফাইন্যাসের কর্মীদের বেপরোয়া আচরণে তাদের মধ্যে হতাশা তৈরি করছে। এবং তারা বরিশালে শত শত ব্যবসায়ীরা সামনে ঈদে বাবা-মা এবং সন্তনদের নিয়ে ঈদ করতে পারবে না বলে যানায় ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ীদের দাবী সরকার আই ডি এল সি ফাইন্যাসের কর্মকতাদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নিবে বলে তাদের দাবী।

এই বিষয় বরিশালে আই ডি এল সি ফাইন্যাসর ম্যানেজার মো; জাহিদের ব্যাবহারিত মুঠো ফোনে ফোন করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেনি তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

177 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন