১৬ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, মঙ্গলবার

হিজলায় মৎস্য অফিস শূণ্য

আপডেট: সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২০

হিজলা প্রতিনিধি :: হিজলা উপজেলা মৎস্য অফিস। ক্ষেত্রসহকারি দিয়ে চলছে সিনিয়র মৎস্য দপ্তরের কার্যক্রম। একক ক্ষমতায়ই যাচ্ছে তাই করে যাচ্ছেন তিনি।
বরিশালের হিজলা উপজেলাটি সিনিয়র মৎস্য অফিসের মর্যাদা পায় ২০১২ সালে। এর পর থেকে উপজেলাটি চলছে ভারপ্রাপ্ত দিয়ে। ভাড়ে ভাড়ে নুয়ে পড়ছে হিজলা উপজেলা মৎস্য অফিস। সরকারি নানা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে বলে মনে করেন স্থানীয়র ভুক্তভোগিরা।

বিষয়টি নিয়ে বরিশাল মৎস্য দপ্তরকে মৌখিক ভাবে বারবার অবহিত করা হলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি বলে অভিযোগ, জাতীয় মৎস্যজীবি সমিতির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক হাজী ইকবাল হোসেন মাতুব্বরের।

উপজেলা সহকারি মৎস্য কর্মকর্তা অনিল চন্দ্র দাস জানান. বর্তমানে উপজেলা মৎস্য অফিসের পদ সংখ্যা ৫টি। এর মধ্যে সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসারের পদ রয়েছে, যা শুরু থেকেই খালি। সহকারি মৎস্য কর্মকর্তা হিসাবে রয়েছেন তিনি। ক্ষেত্র সহকারি একজন মহিলা, অফিস সহকারি কাম কম্পিউটার অপারেটরের পদটিও রয়েছে খালি, অফিস সহায়ক আছেন নামে মাত্র। বর্তমান করনাকালীন সময়ে অফিস কার্যক্রম কিছুটা ব্যহত হচ্ছে বলে স্বীকার করেন তিনি।

উপজেলা জাতীয় ক্ষুদ্র মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি এনায়েত হোসেন হাওলাদার জানান, মৎস্যকর্মকর্তা অনিলচন্দ্র দাস করনার অজুহাতে, তার ক্ষমতাবলে যাচ্ছে তাই করে যাচ্ছেন। আমদের সমিতিগুলোকে পঙ্গু করে দিচ্ছেন। করণা শুরু থেকে এখন পর্যন্ত আমদের সমিতির সদস্যদের পাশে দাড়ায়নি উপজেলা মৎস্য অফিস। জেলে ভিজিএফ চাল বিতরণ, তালিকা প্রস্তরকরনসহ নানা কাজে তিনি সমিতিকে অবহিত করছেন না অনিল চন্দ্র দাস। নুণ্যতম সৌজন্যবোধ টুকু তার ভেতরে নেই। তিনি কোন বিশেষ এজেন্ডা বাস্তবায়নে মরিয়া। অফিসে রাজনৈতির কারখানা খুলে বসেছেন তিনি। বর্তমানে জেলেদের বিদেশ নেবে বলে সরকার থেকে একটি প্রজ্ঞাপন আসছে শুনছি। মৎস্য অফিস সে ব্যাপারে দুটো সমিতির একটিকেও অবহিত করেন নি অনিল। উপজেলা পর্যায়ে কোন কার্যক্রমে তিনি আমদের সমিতিকে সম্পৃক্ত করছেন না। এছাড়া হিজলা উপজেলায় সমুদ্রগামী জেলেদের তালিকা সম্পাদন করার কথা। সেক্ষেত্রেও সমিতিকে অবহিত করেন নি অনিল। খোজ খবর নিচ্ছে না সাধারণ জেলেদের।
বিভিন্ন দপ্তর করণাকালিন সময়ে অসহায় পরিবারের সহায়তা দিলেও হিজলা উপজেলার জেলেরা বঞ্চিত।

ক্ষুদ্র সমৎস্যজীবী সমিতির হিজলা উপজেলা সাধারণ সম্পাদক আবুল বাশার বাঘা জানানন, একে তো করণা, তার উপর অকাল বন্যা। হিজলার অসহায় জেলে পরিবারে মরা উপর খরার ঘা। উপজেলা মৎস্য অফিসারের কথা বলে লাভ নেই। “জলাশয় সংস্কারের মাধ্যমে মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্প” নামে একটি প্রকল্প তৈরীর জন্য হিজলা উপজেলায় প্রকল্প তৈরী এবং যাচাই বাছাইকরণ সভা হওয়ার কথা। সে ক্ষেত্রে উপজেলা মৎস্যকর্মকর্তা অনিলবাবু হিজলার মৎস্য জেলে সমিতিকে অবহিত না করে নিজ ক্ষমতায় কি করেছেন তা জানা নেই।

মৎস্য অফিসের ক্ষেত্র সহকারি জোৎসনা বেগম জানান, বর্তমানে মুলাদী উপজেলা মৎস্য অফিসার অতিরিক্ত দায়িত্বে রয়েছেন। অফিসিয়াল বিষয়ে তিনি কোন মন্তব্য করতে নারাজ।

উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা অনিলচন্দ্র দাস জানান, তিনি হিজলা থেকে বদলী হয়েছেন ৩১ আগষ্ট। অফিস কার্যক্রম বিষয়ে কোন মন্তব্য করবেন না।

হিজলা উপজেলা মৎস্য অফিস সম্পর্কে জানতে চাইলে অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত মৎস্য কর্মকর্তা সুব্রত গোস্বামী জানান, তিনি হিজলা উপজেলা মৎস্য অফিসের অতিরিক্ত দায়িত্ব গ্রহণ করেন ৩১ আগষ্ট। রুটিনমাফিক কাজগুলোই করছেন তিনি। দুটো উপজেলা তদারকি করা খুবই কঠিন। তার উপর হিজলা উপজেলায় ৮২ কিলোমিটার নদীপথ রয়েছে। এ কারণে হিজলায় নতুন অফিসারের জন্য কর্তৃপক্ষের নিকট সুপারিশ করা হয়েছে।

133 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন