২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

বরিশাল কোষ্টগার্ডের ব্যবসা ॥ নজরদারির নেই প্রশাসনের

আপডেট: নভেম্বর ৩, ২০১৯

 হিজলা প্রতিনিধি::  হিজলা উপজেলা কোষ্টগার্ডের এ কেমন ব্যাবসা। প্রশাসনের নজরদারি কোথায়। এমন প্রশ্ন জেলে ও সাধারণ মানুষের। যে কোন অভিযান নদীতে এলেই কোষ্টগার্ডের ব্যবসা বেড়ে যায় বলে অভিযোগ হিজলার জেলেদের।

সম্প্রতি মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানে অতিরিক্ত মৎস্য অফিসার চন্দ্র শেখর সহ নদীতে অভিযানের নামে চাঁদাবাজিতে মেতে যায় কোষ্টগার্ড মৎস্য কর্মকর্তসহ প্রশাসনের লোকজন। ৩০ অক্টোবর বিকেলে মৎস্য অফিসার চন্দ্র শেখর এবং কোষ্টগার্ড সহ বাউশিয়ার নদীতে ত্রাস চালায় তারা। মাছলুট, মাছ ছিনতাই, চাঁদাবাজি সহ নানা কাজে যুক্ত হয় তারা।

অংশ নেয় কোষ্টগার্ড, কোষ্টগার্ড মাঝি এবং মৎস্যকর্মকর্তা চন্দ্র শেখর। জেলে বেলাল খান, জেলে ইমরান খান, ছিডু বেপারী, নয়ন ঢালী সহ একাধিক ব্যাক্তি যানায় তাদের জাল মাছ এবং ট্রলারে থাকা ত্রিশ হাজার টাকা ছিনতাই করে কোষ্টগার্ড সদস্য, মৎস্য কর্মকর্তা চন্দ্র শেখর, কোষ্টগার্ড মাঝি খলিল, মাঝি সোলায়মান, আবুল খা, আলাউদ্দিন বেপারী, সেলিম শিকদারসহ একটি গ্রুপ। এদের কাজ নদীতে ছিনতাই চাঁদাবাজি, ঢাকাতি সহ নানা অপকর্ম করা।

অভিযান শেষে এদের নিয়ে সন্ধায় বা রাতে কোষ্টগার্ডের চলে আড্ডা এবং চাঁদার টাকা ও মাছ ভাগাভাগি। অভিযান শেষে আবুল খার বাড়িতে কোষ্টগার্ডের মাছ আটক করতে গেলে থলের বিড়াল বেড়িয়ে আসে। ক্ষতিগ্র¯’রা জানান অভিযানের শেষ দিন সন্ধ্যায় মৎস্যকর্মকর্তা চন্দ্রশেখর কোষ্টগাডের উপস্থি’তিতেই মাছ ছিনতাই করে। বিষয়টি কোষ্টগার্ডে সিসিকে অবহিত করা হলে কোন ফল পাননি তারা।

এ দিকে আবুল খা জানায় তার কাছে কোষ্টগার্ড মাছ বিক্রি করেছে। ঐ মাছ তিনি মজুত করেছেন। এতে তার অপরাধ কি ? কোষ্টগার্ড সিসি জানান তাদের কাছ থেকে কোন মাছ বিক্রি করা হয়নি। আবুল খা মাছ ব্যবসায়ী তিনি কোথা থেকে মাছ সংগ্রহ করেছে তা তার ব্যপার। মাছ আটক বিষয় জানান, অভিযান শেষ এখন ব্যবসায়ীর মাছ আটক করার কোন বিধান নেই।

132 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন