২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার

বিএডিসির বীজ কালো বাজারে ডিলারগণ প্রতারিত

আপডেট: নভেম্বর ৪, ২০২০

হিজলা প্রতিনিধি:: বরিশালের বিএডিসির বীজ কালো বাজারে। সিন্ডিকেট করে আটকে ব্যবসা করছেন বরিশাল বিএ ডিসি (বীজ) বিভাগের ডিডি রমিজ উদ্দিন। প্রতারিত হিজলা, মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার ডিলারগণ। বীজ সংগ্রহে কাল ক্ষেপন, চাহিদা মোতাবেক বীজ প্রদান না করা, ডিলারদের সময়মতো মেসেজ প্রদান না করাসহ নানা অভিযোগ।
স্থানীয় বরিশালের একটি সিন্ডিকেটের সাথে গোপনে ব্যবসা করে যাচ্ছেন বরিশাল বিএ ডিসি (বীজ) বিভাগ। দির্ঘদিন ধরে স্থানীয় বাকেরগঞ্জ বীজ ভান্ডা এর সত্তাধীকারী মোঃ জাকির হোসেনের সাথে সখ্যতা রয়েছে বিএডিসির।
হিজলা উপজেলায় দুটি ডিলার থাকলেও তাদের বীজ না দিয়ে স্থানীয় এক দোকানদারকে বীজ প্রদান করেন ডিডি রমিজ উদ্দিন। এ বিষয়ে রমিজ উদ্দিনের সাথে ফোনে কথা বলতে চাইলে জানান, তিনি জানেন না। তবে হয়ে থাকলে তা বে-আইনী। তিনি ডিলারকে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য তাগিদ দেন। হিজলায় বিএডিসির কোন বীজ ঢোকলে তা ডিলারের মাধ্যমে ঢুকবে।
মুলাদীর তিন তিনটি বীজ ডিলার থাকলেও তাদের হাতে বীজ পৌছাতে পারেনি বরিশাল বিএডিসি। আক্ষেপ করে আমান বীজ ভান্ডারের সত্তাধীকারি আমান জানান, তাকে অপমান করা হচ্ছে বীজ চাইতে গিয়ে। এছাড়া মেহেন্দিগঞ্জের ডিলার জানান, বরিশালের স্থানীয় বীজ ব্যবসায়ীদের সাথে বিএডিসির অনৈতিক লেন দেন, অর্থ উপার্জনের কারণে আমরা সবসময় অবহেলিত থাকি। আমাদের মুল্যায়ন করেন না ডিডি বীজ বরিশাল। ডিলারদের মাধ্যমে বীজ বিতরণ করলে সেখানে লাভ নেই। কালো বাজারে বীজ বিক্রি করতে পারলে তাতেই লাভ। সে কারণেই খোলা বাজারে বিএডিসির বীজ চলে যায়।
উপজেলা পর্যায়ে বিএডিসির তদারকি কর্মকর্তা না থাকায় খোলা বাজাওে বিএডিসির বীজ পাওয়া যা”েছ এমন প্রশ্নে হিজলা উপজেলা কৃষি অফিসার আহসানুল হাবিব আল আজাদ জানান, এ বিষয়ে তদারকি করার দায়িত্ব সাংবাদিকদের না। যা করার কৃষি অফিস করবে।
হিজলা উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজার ঘুরে দেখা গেছে একই চিত্র। উপজেলা সদর খুন্না বাজার। এখানে ছোটবড় মিলে বীজ ব্যবসায়ী রয়েছেন পাঁচজন। কেউ মানছেন না সরকারি নীতিমালা। নজরদারি নেই কৃষি অফিস বা অফিস সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের। যে যার মতো করে চালিয়ে যা”েছ বীজ এবং ক্যামিক্যাল সারের ব্যবসা। নেই কারো বীজের লাইসেন্স। এ ধরণের ব্যবসা পরিচালনার ক্ষেত্রে উপজেলা প্রশাসন কোন ভুমিকা রাখছেন কিনা প্রশ্ন করলে ব্যবসায়ি মল্লিক জানান, তিনি কৃষি মন্ত্রনালয়ের লাইসেন্স নিয়েই ব্যবসা করেন। যার মেয়াদ শেষ ১০ বছর আগেই। সরকারি কর্তৃপক্ষ নজর রাখছেন কিনা এমন প্রশ্নে জানান, লাইসেন্স আছে আবার কৃষি অফিসের প্রয়োজন কিসে। ভাই ভাই ট্রেডার্সের মালিক আলী দেওয়ান জানান, তিনি মন্ত্রনালয়ের লাইসেন্স নিয়েছেন। সে মোতাবেক ব্যবসা করেন। একই বাজারের কালাম, দুর্গাপুরের শাহাবুদ্দিন, নামের এক ব্যবসায়ী জানান বীজের ব্যবসা করি সেখানে লাইসেন্সের প্রয়োজন কিসে।
নারী উদ্দ্যেক্তা হক কৃষিবিতানের সত্তাধীকারি আসমা বেগম জানান, মহিলার নামে প্রতিষ্ঠান তাই সরকারি দপ্তরে গেলে কোন সহযোগিতা পান না। নারী উদ্দ্যেক্তা জাহানারা বেগম জানান, নারী বলে মুল্যহীন তারা। কৃষি অফিসের অসহযোগিতার কারনে বর্তমানে ব্যবসাথেকে দুরে রয়েছেন।
ফকির এন্টার প্রাইজের সত্তাধীকারি সাইফুল ইসলাম জানান, কৃষি অফিসার তো বড় অফিসার তাদের নজর বড়, কৃষক প্রতারিত হলে তাদের কি? কৃষকের সার্থে এ বিএডিসির ডিলারদের নিতিগত সহায়তা চান তিনি। কালো বাজারে বিএডিসির বীজ ঢোকা এবং তাদের রুখতে বরিশাল বিএডিসির বীজ বিভাগের সহায়তা চান তিনি। তাদের হস্তক্ষেপ না থাকলে ডিলাগন বীজ ব্যবসায় নিরুৎসাহিত হবেন।

138 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন