২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার

ভেদরগঞ্জে ১৩ ছাত্রীর চুল কেঁটে দিলেন প্রধান শিক্ষিকা!

আপডেট: সেপ্টেম্বর ৯, ২০১৯

শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার ডিএমখালী ইউনিয়নের উকিলকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা কবেরী গোপের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ১৩ ছাত্রীর চুল কেঁটে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।

বৃহস্পতিবার এ ঘটনা ঘটার পর সোমবার তদন্ত শুরু করেছে ভেদরগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস।

সরেজমিন ঘুরে ও অভিভাবকদের সঙ্গে আলাপকালে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার পরিষ্কার পরিচ্ছন্নভাবে চুল না বেঁধে আসার কারণে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা কবেরী গোপের নির্দেশে দফতরি জুম্মন মিয়া পঞ্চম শ্রেণির মাহিদা আক্তার, তাজরিন, নাহিদা, ফারহানা, সুমনা, সাথী, সাদিয়া আক্তারসহ ১৩ জন ছাত্রীর চুল কেঁটে দেন।

পরে ছাত্রীদের অভিভাবকরা চুল কাঁটার বিষয়টি শিক্ষকদের কাছে জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের শিক্ষিকারা অভিভাবকদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।

বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির একছাত্রী বলে, বিদ্যালয়ে এসে খেলাধুলার পর আমাদের চুল এলোমেলো হয়ে যায়। পরে প্রধান শিক্ষিকা বিদ্যালয়ের দফতরির মাধ্যমে আমাদের চুল কেঁটে দেন। আমাদের অনেক সুন্দর চুল ছিল। তা কেঁটে নষ্ট করে দিয়েছেন।

ওই ছাত্রীদের অভিভাবকরা বলেন, আমরা আমাদের সন্তানদের সুশিক্ষিত করার জন্য বিদ্যালয়ে পাঠিয়েছি। সে কোনো অপরাধ করলে তার শাসন করার অধিকার শিক্ষিকার রয়েছে। তাই বলে বিনা অপরাধে মেয়েদের চুল কেঁটে দেবে তা আমি কোনোভাবেই মানতে পারছি না।

এ ব্যাপারে উকিলকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা কাবেরী গোপ বলেন, ছাত্রীরা এলোমেলোভাবে স্কুলে আসে। বারবার বলার পরও তারা চুল কাটেনি। পরের দিন তারা যেন চুল কেঁটে আসে সে জন্য নিচ থেকে অল্প করে তাদের চুলকাটার নির্দেশ দিয়েছি। মূলত অধিকার খাটিয়েই এ নির্দেশ দিয়েছিলাম। এরপর যদি আমার অপরাধ হয় তাহলে বিচার মেনে নিতেই হবে।

এ ব্যাপারে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সুলতানা রাজিয়া বলেন, এ ব্যাপারে লিখিত কোনো অভিযোগ পাইনি। তবে জানার পর সেখানে লোক পাঠিয়েছি। তদন্তসাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

69 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন