২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

হিজলার জন্য অপেক্ষা করছে নরিয়ার,নদী ভাঙ্গা অবহেলিতের পাশে মুক্তিযোদ্ধা

আপডেট: জানুয়ারি ২৪, ২০২০

সাইফুল ইসলাম,হিজলা:: দিন ক্ষণ শেষ এখন আবার আসছে বান-শঙ্কা-ভয়-কখন বসত ভিটা খয়ে যায় রাক্ষুশী মেঘনার পেটে। অসহায়ের মতো তাকিয়ে মেঘনা পারের বাউশিয়া এবং বাহেরচর গ্রামের হাজারও পরিবার। বছরের পর বছর আশ্বাস-বিশ্বাস-ভরষার অবষান ঘটাতে যাচ্ছে হিজলা উপজেলার কৃতি সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাড: তোফাজ্জল হক খোকা চৌধুরী এবং মুক্তিযোদ্ধা সানোয়ার হোসেন।

মা -মাটি আর মানুষের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকেই এরা এখন অবহেলিত হিজলাবাসীর পাশে দাড়াতে যাচ্ছেন। আজ রবিবার হিজলার ঐতিহ্যবাহী গ্রাম বাউশিয়া, বাহেরচর সর্বপরি হিজলা উপজেলাকে রক্ষার জন্য মরিয়া হয়ে তাঁদের পাশে দাড়াতে যাচ্ছেন।

ভাঙ্গনের মুখে হিজলা উপজেলা। নরিয়ার দশা অপেক্ষা করছে এখানে। যে কোন মুহুর্তে নদীগর্ভে বিলীন হতে পারে বরিশালের হিজলা উপজেলা সদর। নরিয়ার পরিনতি অপেক্ষা করছে এখানে। গেল বর্ষায় মাত্র দুই দিনে ১৫০টি পরিবার নদীর গর্ভে বিলী হয়েছে। আমাবশ্যার যোয়ারের সাথে সাথে ভাঙ্গন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এষনও থেমে থেমে ভাঙছে বসতি। হতাশায় শত শত পরিবার।

নামকাওয়াস্তে ভাঙ্গন ঠেকাতে জিও ব্যাগ দিয়েও পারপাচ্ছেন না বাউশিয়া-বাহেরচর বাসি। বিগত বছরে সরকার দেয়া ৬ হাজার বস্তা জিওব্যাগ ফেললেও তা খুবই নগন্য বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগিরা। তাদের মতে এটি স্থানীয় জনগনের সাথে সরকারের প্রতিনিধিদের চালাকী। বছরের পর বছর আশ্বাস আর আশ্বাস। ভরসায় হারাচ্ছে একের পর এক বাড়ি, ফসলি জমি, গ্রাম সর্বপরি হুমকীর মুখে হিজলা উপজেলা সদর।

হিজলা উপজেলা সদর থেকে মাত্র ১ শত গজ দুরে প্রমত্তা মেঘনার শাখা নদী। এখান দিয়ে হাজার হাজার লঞ্চ কার্গোর যাতায়াত ঢাকা, চাঁদপুর, চট্রগ্রাম, খুলনা, বরিশাল, যশোর সহ দেশের ভিভিন্ন এলাকায়। পায়রা সমুদ্রবন্দর প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ চ্যানেলটির গুরুত্ব ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পায়। বর্তমানে এ চ্যানেল ছাড়া অভ্যন্তরীন ও বিদেশের সাথে জলপথে পণ্য যোগাযোগের মাধ্য হিসাবে এটি জাতীয় ক্ষেত্রে অপরিসিম হয়ে দাড়িয়েছে। সেই সাথে ভাঙ্গছে হিজলার জনবহুল গ্রাম উল্টর, দক্ষিণ বাউশিয়া এবং বাহেরচর গ্রাম। অসহায় শত শত পরিবার। দির্ঘ দিন যাবত ভাঙছে পার্শ্ববর্তী গ্রাম বাউশিয়া।

১৯৯৬ সালে এ গ্রামে ভোটার সংখ্যা ছিল ৬ হাজার। ২০০০ সালের দিকে তা কমে দাড়িয়েছে ৪ হাজারে। এর পর কমতে কমতে শুণ্যর কোঠায় চলে অসছে। বর্তমানে বাউশিয়ার মানচিত্র বলতে শত পরিবারের একটি প্রতিকী গ্রাম। এর পরে বাহেরচর গ্রামও ভাঙতে শুরু করেছে। হাজার হাজার পরিবার ভাঙ্গনে গ্রাম ছাড়া। হাতাশার মধ্যে উপজেলা সদরের সাধারণ মানুষ ও সরকারী কর্মকর্তা কর্মচারীরা।

বাস্তচ্যুত শত শত পরিবার এখন খালেঃ- বসত বাড়ি হারা শত শত পরিবার এখন আশ্রয় নিয়েছে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে। বর্তমানে হিজলা উপজেলা প্রশাসনিক ভবণ থেকে নদীর দুরত্ব মাত্র ১ শত গজ। সামনে আসছে বর্ষা যে কোন মুহুর্তে বিলীন হতে পারে উপজেলাটি। সময় থাকতে উপজেলা রক্ষার জন্য জোর দাবি স্থানীয় অসহায় সাধারণ মানুষের। এখানকার জনগনের দশা যেন নরিয়ার মতো না হয়।

আর তাদের বরসার কান্ডারী হয়ে দাড়াচ্ছেন হিজলা উপজেলার দুই বীর মুক্তিযোদ্ধা কৃতি সন্তান তোফাজ্জল হক খোকা চৌধুরী এবং সানোয়ার হোসেন। মুক্তিযোদ্ধা এ্যাডঃ তোফ্জাল হক খোকা চৌধুরী জানান হিজলা তথা বাহেরচরের গ্রামে তার বাড়ি। হিজলার জন্য দায়বদ্ধতা আছে- সেখান থেকে একটু এলাকাবাসীর সহযোগিতা করার চেষ্টা করছেন সানোয়ার খোকা।

123 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন