২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার

হিজলায় অবৈধ ইটভাটায় পুড়ছে কাঠ,হুমকীর মুখে জনস্বাহ্য ও পরিবেশ

আপডেট: ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২১

হিজলা প্রতিনিধি:: হিজলা উপজেলা সদরে প্রভাবশালীদের অবৈধ ইটভাটায় পুড়ছে কাঠ। হুমকির মুখে পড়েছে পরিবেশ ও জনজীবন। চাষি হারা”েছ তার তিন ফসলি জমি। পরিবেশ বিপন্নের পথে। আইনকানুনের তোয়াক্কা না করে পরিবেশ অধিদপ্তরের অন্যায় সহযোগিতায় ইটভাটার মালিকপক্ষ তাদের অবৈধ বাণিজ্য চালিয়ে যা”েছ। বিষয়টি না দেখার ভান করছে উপজেলা প্রশাসন এমনকি পরিবেশ অধিদপ্তরও।

“ইটপোড়ানো (নিয়ন্ত্রণ) সংশোধন আইন ২০১০ এর ৪৫৬ উপ-ধারায় বলা আছে, আবাসিক এলাকা, উপজেলা সদর, ফসলের বাগান, ফসলি জমি, বনাঞ্চল, লোকালয় ও জনবসতি এলাকার তিন কিলোমিটারের মধ্যে ইটভাটা স্থাপন করা যাবে না।” হিজলা উপজেলা পরিষদের পার্শ্বে মাত্র এক কিলোমিটারের মধ্যে জনবসতিপূর্ণ এলাকায়তিন তিনটি ইটভাটা অবৈধ ভাবে পরিচালনা করে যা”েছ বছরের পর বছর। ভাটা লাগোয়া হিজলা কোস্টগার্ডের অফিস ও পল্টুন, পার্শ্বেই একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। অপরদিকে সম্পূর্ণ ভাটা অবৈধ। সরকারি খাসজমি দখল করে জনজীবনে ভোগান্তি সৃষ্টি করছে ভাটা কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে নজর নেই প্রশাসনের। দিনরাত ২৪ ঘণ্টা ভাটার কালো ধোঁয়া পোহাহচ্ছে কোস্টার্ড কর্তৃপক্ষ ও অবুঝ কয়েক শত শিশু শিক্ষার্থীবৃন্দ। এ বিষয়ে দায় নেই রাষ্ট্রের প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষের। এক শ্রেণির অসাধু কর্মকর্তারা এর লাভের টাকায় আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হচ্ছে।

সম্প্রতি একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশ বরিশাল জেলায় ৯৬টি অবৈধ ইটভাটা রয়েছে। এর মধ্যে মেঘনা ঘেরা হিজলা উপজেলায় ৩৭টি ইটভাটার বিরুদ্ধে পরিবেশ অধিদপতরের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে বাংলাদেম পরিবেশ আইনবীদ ফোরাম

হিজলা উপজেলায় অর্ধশতাধিক ইট ভাটা। এর সিংহভাগ সরকারী খাস খতিয়ান ভূক্ত জমিতে। এতে কর্তৃপক্ষের নজরদারি নেই। আছে অর্থ বাণিজ্য। জানা গেছে উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের বড়জালিয়া এবং হিজলাগৌরব্দী ইউনিয়নের দায়িত্বে রয়েছেন বড়জালিয়া ইউনিয়ন সহকারি ভূমি কর্মকর্তা (তহসিলদার) রুহুল আমিন। তার কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান নতুন কর্মস্থলে যোগদান করেছেনে। এলাকা সম্পর্কে ধারনা নেই। তবে বড়জালিয়ায় যে ক’টি ইটভাটা আছে তাও জানা নেই। ইট ভাটার রাজস্ব তার ভুমি অফিসে জমা আসেনি। এর মধ্যে হিজলাগৌরব্দী ইউনিয়নে যে ক’টি ইট ভাটা রয়েছে তা হয়তো সিকস্তি অথবা সরকারী বন্দবস্ত জমিতে। এ জমির খাজনা আদায় যোগ্য নয়। প্রশাসন বা পরিবেশ অধিদপ্তর কি ভাবে এগুলো চালায় তা তার জানা নেই।

২০১৮-১৯ সালে হিজলা উপজেলার চরবাউশিয়া ঘোড়দৌড় মৌজার ১নং সিটের ১ নং খাস খতিয়ানভূক্ত জমিতে বাংলা চিমনি ব্যবহার করে একক ভাবে কাঠ দিয়ে ইট পোড়াহচ্ছেন ৪নং বড়জালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৮নং ওয়ার্ড মেম্বার ও ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সভাপতি জন্টু হাওলাদার। তবে তার ইটভাটা তৈরী ও ইট পোড়ানোর জন্য বৈধ কোন কাগজপত্র আছে কি না এমন প্রশ্নে নিরুত্তর জন্টু হাওলাদার, অপর ইট ভাটার মালিক ফিরোজ বেপারী, ইট ভাটার মালিক পরান ভুইয়া। তবে তাদের ইট পোড়ানো বা ইটভাটা প্র¯ুÍতের পক্ষে সমর্থন রয়েছে প্রশাসনের- এমনটাই দাবি তাঁর। মাত্র কয়েক গজের ভেতরে মধ্য বাউশিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ভাটা সংলগ্ন কোস্টগার্ডের অফিস। হিজলা উপজেলা পরিষদ ও প্রশাসনের ২০০ গজের মধ্যে অবৈধ ইট ভাটা। এ তিনটি সরকারি প্রতিষ্ঠান এমনকি সরকারি খাস খতিয়ানভূক্ত সরকারি জায়গায় ভাটা স্থপনের পরেও প্রশাসন কিভাবে অনুমতি পেলেন তা জানা যায় নি। ইট ভাটা ¯স্থপন প্রসংগে উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার সাইফুল ইসলাম জানান, তিনি নতুন হিজলায় যোগদান করেন। এর বেশি জানেন না।

125 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন