২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার

হিজলায় আশ্রায়নের চোরাই মালামাল উদ্ধার

আপডেট: সেপ্টেম্বর ১১, ২০২০

সাইফুল ইসলাম,হিজলা প্রতিনিধি:: বরিশাল জেলার হিজলা উপজেলার ধুলখোলা ইউনিয়নের কুঞ্জপট্রি আশ্রায়ন প্রকল্পের টিন, কাঠ, সিমেন্টের খুটি, ইট, টিউবওয়েল সহ বিভিন্ন সরঞ্জামাদি বিক্রি করেন ইউনিয়ন ভুমি সহকারি কর্মকর্তা (তহসিলদার) সংকর চন্দ্র মালাকার। বিষয়টি বিজয় নিউজ পোর্টালে প্রকাশ পায়। ১০ সেপ্টেম্বর ইউএনও ভুমি অফিসকে অবহিত করলে সার্ভেয়ার আঃ কুদ্দুছ এবং ভুমি অফিসের অফিস সহকারি আঃ ওয়াদুদ সরেজমিনে পরিদর্শন করেন। আবশেষে বাড়ি বাড়ি গিয়ে চোরাই মালামাল উদ্ধার করেন তাঁরা।

সূত্র দাবি করেন একে একে ১৭ বাড়ি (ব্যাক্তি) থেকে মালামালগুলো উদ্ধার করে, আবার সেই আশ্রায়নে প্রেরণ করেন। তবে কি পরিমান মালামাল উদ্ধার হয়েছে সে বিষয়ে বিস্তারিত ফোনে জানাতে পারেননি আঃ ওয়াদুদ, সার্ভেয়ার আঃ কুদ্দুছ।
সংকর মালাকার জানান, ঐ মালামাল ইউএনওর প্রদিনিধিদের বুঝিয়ে দিয়েছন বলে স্বীকার করেন তিনি।
কুঞ্জপট্রি আশ্রায়ন প্রকল্প থেকে আলীগঞ্জ বাজারের দুরত্ব প্রায় ২০ কিলোমিটার। সেখান থেকে বিশাল মেঘনা নদী পার হয়ে আশ্রায়নের মালামাল কি ভাবে আলীগঞ্জ বাজার এলাকার বিভিন্ন বাড়ি বাড়ি ঢুকল। এমন প্রশ্নে নিরুত্তর সংকর মালাকার।
স্থানীয় আলীগঞ্জ বাজার এলাকার নান্নু মোল্লা, দিলিপ, বাবুল, জয়নাল কবিরাজ, বাতেন মাঝি, নাগর বেপারীসহ একাধিক ব্যাক্তি জানান, তহসিলদার সংকর মালাকার, নিমাই মালাকার, সুমন চৌধুরী, রাম প্রাসাদ, সমির মালাকার এর মাধ্যমে কিনেন। এখন ভুমি অফিসই আবার চোরাই বলে উদ্ধার করে।
নিমাই মালাকার, রাম প্রাসাদ, সমির মালাকার জানান, কুঞ্জপট্রি আশ্রায়ন প্রকল্প থেকে তহসিলদার সংকর মালাকার নিজে উপস্থিত থেকে আশ্রায়নের মালামাল নিয়ে আসেন। তিনিই তাদেরকাছে বিক্রি করেন। আমরা টাকা দিয়ে কিনে বিক্রি করেছি। এখানে আমাদের দোষের কি ?

হিজলা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দায়িত্বে থাকা মুলাদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার শুভ্রা দাস জানান, তিনি অতিরিক্ত দায়িত্বে রয়েছেন। ইতোমধ্যে তহসিলদারকে শোকজ করা হয়েছে। বিস্তারিত জেনে তার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

119 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন