২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার

হিজলায় ইউপি সদস্য প্রার্থীর উপর হামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

আপডেট: এপ্রিল ৩, ২০২১

সাইফুল ইসলাম,হিজলা :: বরিশালের হিজলা উপজেলার হরিনাথপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ইউপি সদস্য প্রার্থী আজিজুল হক মুন্নার উপর প্রতিপক্ষ প্রার্থী আপন চাচাতো ভঅই মাহাবুবুর রহমান শিকদার কর্তৃক হামলার প্রতিবাদে ও সত্য প্রকাশের উদেশ্যে সংবাদ সম্মেলন করে ইউপি সদস্য প্রার্থী আজিজুল হক মুন্না।


৩ এপ্রিল বেলা ১২ টার দিকে হিজলা প্রেসক্লাবের হলরুমে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে আজিজুল হক মুন্না বলে, নির্বাচন কমিশনের অধীনে প্রথম ধাপে ২০২১ ইং সনের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে হিজলার ১ নং হরিনাথপুর ইউনিয়ন পরিষদে তিনি টিউবওয়েল মার্কায় মেম্বার পদপ্রার্থী।
গত পহেলা এপ্রিল তিনি নির্বাচনী প্রচারনা শেষে হরিনাথপুর বাজারে কর্মীদের সাথে কথা বলার সময় তার প্রতিদ্বন্ধীয় প্রার্থী মাহাবুব সিকদার ও তার দলবল রামদা, রড, হকস্টিক, সহ দেশিয় অস্ত্র নিয়ে এলোপাথারী হামলা চালায়। সম্রাট মোল্লা রড দিয়ে এবং রাফি হকিস্টিক দিয়ে তার উপর হামলা চালায়। এতে তার মাথা সহ শরীরের বিভিন্ন যায়গায় আঘাত করলে অচেতন হয়ে পরেন।
স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হিজলা উপজেলা স্বাহ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। হামলার সময় তার কাছে থাকা ৫ হাজার টাকা ও একটি হাওয়াই মোবাইল সেট নিয়ে যায় প্রতিপক্ষের হামলাকারিরা।
এ বিষয় ১ এপ্রিল হিজলা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ইউপি সদস্য মুন্না শিকদার।
হাসপাতালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় জানতে পারি আমার প্রতিপক্ষ মাহাবুব সিকদারের বাবা একজন বীরমুক্তিযোদ্ধা আঃ খালেক শিকদার গত ২ এপ্রিল হরিনাথপুর ইউনিয়ন পরিষদের নিচে এক ভিডিও বার্তায় জানায়, তিনি নৌকা প্রার্থীর প্রচারনা করতে গেলে তাকে লাথি মেরেছি গালিগালাছ করেছি। কিš‘ এরকম কোন ঘটনা ঘটেনি। সেসময়ে আমি মেডিকেলে ভর্তি ছিলাম। আব্দুল খালেক সিকদার একজন বীরমুক্তিযোদ্ধা, তিনি আমার চাচা, তাকে সহ সকল মুক্তিযোদ্ধাদের শ্রদ্ধা করি। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। এ বিষয়ে আমি নিজে হিজলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার হিজলা উপজেলা এবং হরিনাথপুর ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের বরাবরে সত্য উদঘাটনের জন্য লিখিত আবেদন করেছি। বিষয়টির তদন্তসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য বিনীত অনুরোধ করেন মুন্না।

আজিজুল হক মুন্না শিকদার এর চাচা বীরমুক্তিযোদ্ধা আঃ খালেক শিকদার পুত্র মাহাবুবুর রহমান এর এর সাথে আলাপকালে জানান, তারা দুজন একই বাড়ির একইওয়ার্ডেও মেম্বার প্রার্থি। মুন্না বজারে যাওয়ার পথে তাঁর বাবার পায়ের উপর হোন্ডা উঠিয়ে দেয়। এ নিয়েই দু’জনে দ্বন্দ্ব।
হরিনাথপুর ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার হাবিবুর রহমান ও একই কথা জানালেন। দু পরিবারের মধ্যে ভুল বোঝা বুজি ছাড়া আর কিছুই না।

146 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন