২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার

হিজলায় দুর্নীতির-অনিয়মের হালখাতা খুলছে ডাক বিভাগ -(পর্ব-১)

আপডেট: সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২০

সাইফুল ইসলাম হিজলা :: হিজলায় চলছে ডাক বিভাগের ডাকাতি। কোথাও ডাকঘর আছে, মানুষ নেই। কোথাও ডাকঘর ঘর আছে দরজা জানালা নেই। কোথাওবা ডাকও নেই, ঘর নেই মানুষ নেই, আছে সরকারি সেবা কার্যক্রম। তাও চলছে সবগুলো কাগজে আর কলমে। এ যেন কাজির গরু কেতাবে আছে খোয়ারে নাই।
বরিশাল জেলার অবহেলিত, বঞ্চিত এক উপজেলার নাম হিজলা উপজেলা। এখানে রয়েছে সরকারি সকল সেবা কেন্দ্রের মতো ডাক বিভাগের সেবা কার্যক্রম। উন্নত সেবা। যা কিনা পোষ্ট সেন্টারের ই সেবা কার্যক্রম। এ যেন শুভংকরের ফাকি।

উপজেলা সদর ডাকঘর বড়জালিয়া। উপজেলা নির্বাহী অফিসার সহ নানা দপ্তর সেখানে। এখানে রয়েছে ডাক বিভাগের পোষ্ট ই সেন্টার কার্যক্রম। দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্তাব্যাক্তি জানেন না তার এখানকার কার্যক্রম। কি ই বা রয়েছে ঐ সেন্টারে। এমন প্রশ্নের উত্তর বড়জালিয়া ডাকঘরের দায়িত্বে থাকা প্রলয় কুমার দে কিছুই জানেন না। তিনি অকপটে শিকার করেন তাঁর দায়িত্ব পোষ্টমাষ্টারের, আসলে তিনি পদে রয়েছেন পোষ্টাল অপারেটরের। বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলো উদ্দ্যোক্তার সহায়তা চান তিনি। পোষ্ট ই সেন্টার ডাকঘরে না বাইরে থাকবে, এমন প্রশ্নে তিনি জানান, এতো আগে থেকেই চলে আসছে। তিনি ভাল জানে না। কি কি রয়েছে ঐ সেন্টারে তা জানা নেই কর্তাবাবুর। পোষ্ট ই সেন্টারের সরকারি মালামাল কার তত্ত্বাবধানে তাও জানা নেই পোষ্ট মাষ্টারের।
২৯ সেপ্টেম্ব সরেজমিনে বড়জালিয়া ডাকঘরের উদ্দ্যোক্তা হাচান মাহমুদ জানান, ২০১৬ সালে একটি মডেম, ২টি ডেক্সটপ, ১টি প্রিন্টার সহ ১০টি আইটেমের মালামাল বুঝিয়া পান। এর বাজার মূল্য সম্পর্কে ধারনা নেই তার। এর তদারকি কি ভাবে হয় জানতেচাইলে জানান, তারা নিজেদের মতো করেই চালান। মাসে একটি অংশ পোষ্ট অফিসকে দিয়ে থাকেন।
লক্ষ লক্ষ টাকার সরকারি সম্পদ এভাবে অবিভাবকহীন পরে থাকলেও সাধারণ জনগন হচ্ছেন না উপকৃত। এ সকল সেবা সম্পর্কে জানা নেই স্থানীয়দের। এ যেন দুর্নীতি-অনিয়মের হালখাতা খুলছে ডাক বিভাগ। চলবে———

96 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন