২৩শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, মঙ্গলবার

হিজলায় দুর্নীতির-অনিয়মের হালখাতা খুলছে ডাক বিভাগ- পর্ব ০৪

আপডেট: অক্টোবর ৮, ২০২০

সাইফুল ইসলাম,হিজলা:: মোল্লার হাট এক সময়ের প্রসিদ্ধ বাজার। এখন সেখানে নেই কোন দোকান-পাট। আছে খাতায় ডাকঘরের নাম, নেই ডাকঘরের অস্তিত্ব। পার্শ্বের একটি মাদ্রাসায় চলছে ডাকঘরটির কার্যক্রম। তবে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ জানেন না সেখানে কি হচ্ছে।

ডাকঘরে কর্মচারি রয়েছে তিন জন। ইউডিএ মোঃ মাহফুজুর রহমান। তিনিই ডাকঘরের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। ইউডিডিএ আঃ রহিম, তিনি চিঠি বিলি করেন। এছাড়া অপর জন ইবিএমসি আঃ রহমান, তিনি মোল্লারহাট এবং কাহালিরহাট ডাকঘরের কাগজপত্র আদানপ্রদান করেন।


৪ অক্টোবর সরেজমিনে ঐ ডাকঘরে গেলে কাউকে খুজে পাওয়া যায়নি। ঘরটি তালাবদ্ধ। ইউডিএ মোঃ মাহফুজুর রহমান রয়েছেন ছুটিতে।
ডাক ঘরটিতে ডাক বিভাগের ই পোষ্ট সেন্টার এবং এর কার্যক্রম রয়েছে তা জানা নেই স্বয়ং বাহেরচর ইসলামিয়া ফাজিরল মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের। ভাইস প্রিন্সিপাল মোঃ রুহুল আমিন, বাংলা বিভাগের সহঅধ্যাপক গোলাম বিকরিয়া, মাদ্রাসার কম্পিউটার শিক্ষক ইব্রাহিম জানান- এই প্রথম জানলাম এখানে ই পোষ্ট সেন্টারের নামে কম্পিউটার চালু আছে।
ইউডিএ মোঃ মাহফুজুর রহমান জানান, তার ডাকঘরে কম্পিউটার দিয়েছে আইওপি রিয়াজ হাওলাদার নিজ ক্ষমতাবলে ঐ মালামাল ইয়ামিনকে অন্যত্র দিয়ে দেন। কি কি মালামাল রয়েছে তা তার জানা নেই। রিয়াজ জানান, তিনি তদারকি কর্মকর্তা, নিয়ম অনিয়ম থাকতে পারে। তবে মালামাল পোষ্ট অফিসের বাইরে নেয়ার সুযোগ নেই। খোজ নিয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছে জানান তিনি।
ই পোষ্ট সেন্টারের দায়িত্বে রয়েছেন ইয়ামিন মোল্লা। তিনিই নাকি ঐ মালামাল তার নিয়ন্ত্রনে নিয়েছেন গুয়াবাড়িয়ায়। কর্তৃপক্ষ তাতে সম্মতি দিয়েছেন।

84 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন