১৮ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার

হিজলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কাম সাইক্লোন সেল্টার নিলামে

আপডেট: এপ্রিল ১৮, ২০২১

সাইফুল ইসলাম,হিজলা:: অবশেষে রক্ষা পেলনা বাউশিয়ার মেঘনা পাড়ের সেই বিদ্যালয়টি। নানা ঘটন-অঘটনের মধ্যে চীর বিদায় নিতে হলো ঐতিহ্যবাহি হিজলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কাম সাইক্লোন সেল্টার এর। এবার অপেক্ষার পালা আরও তিন তিনটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। প্রশাসন অসহায়।


বিগত বছর জুড়ে আলোচিত ছিল হিজলা উপজেলার ৪টি সাকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মেঘনার গর্ভে লিীনের পথে। এর ই একটি বিদ্যালয় হিজলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। যা ২০০০ সালে ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মান করা হয়েছিল বিদ্যালয় কাম সাইক্লোন সেল্টার হিসাবে। ১৮ এপ্রিল/২১ সালে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের এক স্বাক্ষরে নিশ্বেষ বিদ্যালয়টি। এখন উন্মুক্ত নিলাম ডাকে বিদ্যালয়।
এবারের পালা গ্রাম শুন্য। গ্রামটিতে এখনও ৫টি বিদ্য্যালয় বিদ্যমান। দক্ষিণ বাউশিয়া, দক্ষিণ পশ্চিম বাউশিয়া, উত্তর বাউশিয়া, মধ্য বাউশিয়া এবং হিজলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এর ই একটি হিজলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
মেঘনা পারের এই গ্রামটিতে ১০ বছর আগেও ৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ছিল। ২০০০ সালের দিকে ২টি বিদ্যালয় মেঘনার তান্ডবে অন্যত্র সরিয়ে নিতে হয় ঐ সময়ে। এবার যাচ্ছে আরও একটি।
তবে স্থানীয়রা বলছেন একটি নয়। এ বর্ষায় হারিয়ে যাবে বাকি স্কুলগুলো। জনশূন্য হতে যাচ্ছে গ্রামটি। সরকার বার বার প্রতিশ্রুতি দিলেও কাজের কাজ কিছুই করেননি সরকার বা কোন কর্তৃপক্ষ। ক’দিন আগেও মাইকিং হচ্ছিল পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৬শ কোটি টাকা ব্যায়ে বাঁধ নির্মান হতে যাচ্ছে। তাও দেখছি গুড়ে বালি।


স্কুল রক্ষা বিষয় উপজেলা শিক্ষা অফিসার আঃ গাফ্ফার জানান, আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। এক বছর আগে থেকেই আমরা মেঘনার পেটে ছিলাম। আর পারছি না। স্কুল কমিটি নিয়ে আলোচনা করেই ভাঙ্গার ব্যবস্থা করতে হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার বকুল চন্দ্র কবিরাজ জানান, আর কত অপেক্ষা। সরকারের সম্পত্তি রক্ষা করতে হবে। পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে একটা প্রকল্পের কথা শুনেই ভরসা পাচ্ছিলাম। আর পারছি না। তাই ভাঙ্গার ব্যবস্থা। এখন বাউশিয়া গ্রামে প্রমত্তা মেঘনার পাড়ে ও আরও তিনটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নিয়ে বিপদে রয়েছি।

155 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন