১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

৭ দিনে মারা গেছে ১০ হাজার পাখি

আপডেট: নভেম্বর ১৭, ২০১৯

বিজয় নিউজ::  লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে পরিযায়ী পাখিদের মৃত্যুর সংখ্যা। সোমবার ১১ নভেম্বর থেকে রোববার ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত ১০ হাজার পরিযায়ী পাখির মৃত্যু হয়েছে রাজস্থানের সম্বর লেকের কাছে। জয়পুরের কাছে এই লেক ভারতের বৃহত্তম অন্তর্দেশীয় লবণাক্ত হ্রদ।

পরিযায়ী পাখিদের মৃতদেহ দেখে বনবিভাগের অনুমান, বিষাক্ত কিছু খাওয়ার ফলেই মৃত্যু হয়েছে এত পাখির। বনবিভাগের তরফে জানানো হয়েছে এসব পরিযায়ী পাখি সম্ভবত এভিয়ান বোটুলিজম নামে এক ধরনের রোগে আক্রান্ত হয়েই মারা গিয়েছে।

সাধারণত বিষাক্ত কিছু খেলেই এই রোগ ছড়িয়ে পড়ে। অন্য পাখিদের মধ্যে যাতে এই জটিল মারণরোগ ছড়িয়ে না পড়ে সেজন্য তৎপর বনবিভাগ।

সম্বর লেকের চারপাশ পরিদর্শনে গিয়েছে ৭০ সদস্যের একটি বিপর্যয় মোকাবিলাকারী দল। অ্যানিমাল হাসবেন্ডারি ডিপার্টমেন্টের তরফেও অসংখ্য টিম এই পরিযায়ী পাখিদের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা খতিয়ে দেখছে। তদন্তের স্বার্থে খুঁটিয়ে সম্বর লেক সংলগ্ন এলাকাতেও নজরদারি চালাচ্ছে তারা।

প্রাথমিকভাবে মনে করা হয়েছিল এভিয়ান ফ্লু-এর কারণেই মারা যাচ্ছে পরিয়ায়ী পাখিরা। কিন্তু ভোপালের একটি ল্যাবরেটরি থেকে আসা রিপোর্টে বলা হয়েছে কোনো এভিয়ান ফ্লু পরিযায়ী পাখিদের মৃত্যুর জন্য দায়ী নয়। এরপর থেকেই নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন।

রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট জানিয়েছেন, সম্বর লেকের কাছাকাছি থাকা পাখি এবং অন্যান্য জীবজন্তু ও গাছপালাকে রক্ষা করা এখন সরকারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কাজ।

১০ হাজার পরিযায়ী পাখির এমন অস্বাভাবিক মৃত্যুর কোনো সঠিক কারণ খুঁজে না পেয়ে ধন্দে বনবিভাগের কর্তারা। হতবাক স্থানীয় বাসিন্দারাও।

তবে সবকিছুর মধ্যেই উঁকি দিচ্ছে দূষণের আশঙ্কা। অনেকের মতেই হয়তো দূষিত হয়ে গিয়েছে সম্বর লেকের নোনা জল। আর তা পান করেই মৃত্যু হয়েছে পরিযায়ী পাখিদের।

যদিও এত পাখির মৃত্যুর কোনো সঠিক ব্যাখ্যা সরকারের তরফে পেশ করা হয়নি। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে এত পরিযায়ী পাখির মৃত্যুর কারণ জানতে তদন্ত চলছে। তবে দেশজুড়ে যে হারে ক্রমশই বাড়ছে দূষণের পরিমাণ তাতে অনেকের মতেই দূষণের কারণে মৃত্যু হয়েছে পরিযায়ী পাখিদের।

এই ঘটনার জন্য রাজ্য প্রশাসনকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাদের মতে, প্রথম দু’দিন বিষয়টি নিয়ে কোনও হেলদোলই দেখায়নি রাজ্য প্রশাসন।

পরে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী পাঠালেও, তাদের উপস্থিতিতেই শুক্রবার পাখির মৃত্যুসংখ্যা একলাফে অনেকটাই বেড়ে যায়।

82 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন