২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বুধবার

বছরে ৩ মাস বরিশালের পেয়ারা রাজ্যে ঘুরে আসুন

আপডেট: জুলাই ১৯, ২০১৯

স্বরূপকাঠি থেকে ফিরে মারুফ হাওলাদার।।
ঝালকাঠি-স্বরূপকাঠি ও বানারিপাড়া উপজেলার সীমান্তে প্রায় ৬০ টি গ্রাম নিয়ে পেয়ারা বাগান।বছেরর ৩ মাস আষাঢ়, শ্রাবণ ও ভাদ্র মাসে পেয়ারা বিক্রির জন্য বসে ভাসমান বাজার। প্রতিদিন শত শত নৌকায় ১০টন পেয়ারা বিক্রি হয়।দূর দুরান্তর থেকে ট্রাক ও বড় বড় ট্রলার নিয়ে পাইকাররা তা কিনতে আসেন। এমন দৃশ্য দেখতে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসেন ভ্রমণপিপাসুরা।ঐ বাগানে বিদেশিরাও আসেন মাঝে মাঝে। এ মৌসুমে কিশোর-যুবকদের ভিড় থাকে সবচেয়ে বেশি। তারা পেয়ারা বাগানে নির্বিঘ্নে প্রবেশ করে । তাই স্থানীয় শিক্ষিত বেকার যুবকদের উদ্যোগে তৈরি হচ্ছে একাধিক পার্ক।

জানা যায়, ভীমরুলী ভাসমান পেয়ারা হাটের মাত্র ৫০ গজ পূর্বে ৩ বিঘা জমির ওপর তৈরি করা হচ্ছে লেকভিউ ইকোপার্ক। স্থানীয় শিক্ষিত যুবক অনুপ হালদার (২৫) এ উদ্যোগ নিয়েছেন। তিনি জানান, বাবার ৩ বিঘা জমি নিয়ে লেকভিউ ইকো রিসোর্টের কার্যক্রম শুরু করেছেন। পুরো রিসোর্টেই পেয়ারা বাগান রয়েছে। এখানে ৭০-৮০ জন নির্বিঘ্নে ঘুরতে পারবেন। দেশীয় খাবারের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের ফাস্টফুড আইডেম, কোল্ড ড্রিংকসসহ পর্যটকদের চাহিদা পূরণের সব ব্যবস্থা করা হবে। স্বরূপকাঠির ইন্দিরহাট থেকে গোলপাতা এনে ৪টি কটেজ তৈরি করা হয়েছে। তাতে ৩২ জন একত্রে বসতে পারবেন। এছাড়াও সারি সারি বেঞ্চ ও টেবিল দেওয়া থাকবে। এটির নির্মাণকাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে।

বাংলাদেশের একটি প্রত্যন্ত গ্রামে এ হাট সত্যিই অবাক করার মতো। অর্ধবাংলায় তিনি বলেন, ‘এটি দেখতে সত্যিই চমৎকার!’ অদ্ভুত সুন্দর ভাসমান এ হাট ও তার আশপাশের প্রকৃতি যে কতটা নজরকাড়া, তা এখানে না এলে বোঝার উপায় নেই।

271 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন