১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

পাখির বাসা ভাঙা যাবে না: হাইকোর্ট

আপডেট: অক্টোবর ৩১, ২০১৯

বিজয় নিউজ::রাজশাহীর একটি আমবাগান নিয়ে হাইকোর্ট বলেছেন, কখনোই পাখির বাসা ভাঙা যাবে না।

রাজশাহীর বাঘা উপজেলার খোর্দ্দ বাউসা গ্রামের আমবাগানে কয়েক হাজার শামুকখোল পাখিকে তাড়িয়ে দেয়া সংক্রান্ত পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন নজরে আনার পর আদালত এমন মন্তব্য করেন।

একটি জাতীয় দৈনিকে ‘পাখিদের বাসা ছাড়তে সময় দেয়া হল ১৫ দিন’ শীর্ষক প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতের নজরে আনেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী প্রজ্ঞা পারুমিতা রায়।

এরপর বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে রুল জারি করে এ আদেশ দেন।

রুলে রাজশাহীর বাঘা উপজেলার খোর্দ্দ বাউসা গ্রামকে কেন অভয়ারণ্য ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।

পাশাপাশি অভয়ারণ্য ঘোষণা করলে ওই আমবাগান ইজারাদারদের কী পরিমাণ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা আছে তা ৪০ দিনের মধ্যে জানাতে রাজশাহীর জেলা প্রশাসক ও বাঘা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

এ সময় আদালত বলেন, কখনোই পাখির বাসা ভাঙা যাবে না।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সামীউল আলম সরকার।

প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, পাখিদের বাসা ছাড়ার সময় দেয়া হয়েছে ১৫ দিন। এর মধ্যে পাখিরা বাসা না ছাড়লে তাদের বাসা থেকে নামিয়ে দেয়া হবে। এমনকি তাদের বাসা ভেঙেও দেয়া হবে। এ ঘোষণা শুনে কেউ হয়তো রসিকতা মনে করতে পারে, কিন্তু এটাই বাস্তব। ঘটনাটি ঘটেছে রাজশাহীর বাঘা উপজেলার খোর্দ্দ বাউসা গ্রামে। কয়েক হাজার শামুকখোল পাখি এই হুমকির মুখে পড়েছে।

রাজশাহীর আম ব্যবসায়ী আতাউর রহমান। তার ইজারা নেয়া আমবাগানের গাছে গাছে শামুকখোল পাখিরা বাসা বেঁধে বাচ্চা ফুটিয়েছে। বাচ্চারা এখনো উড়তে শেখেনি। কিন্তু বাগান মালিক এখন বাগানের পরিচর্যা করতে চান। পাখিপ্রেমীদের প্রতিরোধের মুখে তিনি মঙ্গলবার থেকে পাখিদের জন্য ১৫ দিন সময় বাড়িয়েছেন।

আতাউর রহমান বলেন, ৭ লাখ টাকা দিয়ে তিনি এই বাগান দুই বছরের জন্য ইজারা নিয়েছেন। গত বছর পাখি থাকার কারণে তার আম নষ্ট হয়েছে। এবার আর তিনি তা হতে দেবেন না। এখনই তিনি আমগাছ পরিচর্যা করতে চান। এজন্য পাখির বাসা ভেঙে গাছে ওষুধ ছিটাতে চান।

110 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন