২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

সোমবার থেকে বৃষ্টি কমতে পারে

আপডেট: আগস্ট ১৮, ২০১৯

আগামীকাল সোমবার থেকে কমে আসতে পারে বৃষ্টির প্রবণতা। এরপরে শরতের স্বাভাবিক বৃষ্টি চলবে।

কিন্তু ২৩ আগস্ট থেকে ফের ভারি বৃষ্টিপাত শুরু হতে পারে। একই সময়ে ভারি বৃষ্টির প্রবণতা দেখা দিতে পারে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, সিকিম, আসাম ও মেঘালয়সহ পূর্বাঞ্চলের অন্যান্য রাজ্যে।

তবে সেই বৃষ্টি বাংলাদেশে বড় ধরনের বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি করবে না। আবহাওয়া ও বন্যা বিশেষজ্ঞরা এসব তথ্য জানিয়েছেন।

১২ আগস্ট রাত থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টিপাত শুরু হয়। সেই ধারা এখনও অব্যাহত আছে।

আবহাওয়া অধিদফতরের (বিএমডি) তথ্যমতে, শনিবার দিনেও দেশের বিভিন্ন স্থানে ভারি বৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যে খুলনা শহরে শুক্রবার রাত ৩টায় শুরু হওয়া বৃষ্টি শনিবার দুপুরেও অব্যাহত ছিল। ৯ ঘণ্টায় ওই শহরে ১১৫ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়।

আবহাওয়াবিদ রুহুল কুদ্দুস বলেন, শুধু খুলনা শহরেই নয় খুলনা, বরিশাল ও রাজশাহী বিভাগের অধিকাংশ স্থানে বৃষ্টিপাত হয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় ভারি বৃষ্টির এ প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে।

তিনি জানান, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় জেলার মধ্যে শনিবার সাতক্ষীরায় ১১২ মিলিমিটার এবং মোংলায় ৩৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আজ রংপুর, ময়মনসিংহ, সিলেট, ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু স্থানে বৃষ্টি হবে।

দেশের ভেতরে বন্যার সবচেয়ে বড় উৎস হচ্ছে ব্রহ্মপুত্র-যমুনা, পদ্মা-গঙ্গা এবং মেঘনা অববাহিকা। এ তিন অববাহিকা বাংলাদেশের ভেতরে প্রবাহিত পানির প্রায় ৯২ শতাংশ বহন করে।

তাই ভারতের পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন রাজ্যে এবং সিকিম ও চীনে ভারি বৃষ্টি হলে তা প্লাবিত করে বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। এ কারণে ভারতের ওইসব রাজ্যের বৃষ্টি পর্যবেক্ষণ করে থাকেন বন্যা বিশেষজ্ঞরা।

বুয়েটের পানি ও বন্যা ব্যবস্থাপনা ইন্সটিটিউটের অধ্যাপক ড. একেএম সাইফুল ইসলাম বলেন, ২২-২৩ আগস্টে ভারতের সিকিম ও পশ্চিমবঙ্গের একটি অংশে ভারি বৃষ্টিপাত হতে পারে। এছাড়া আসাম-মেঘালয়েও বৃষ্টির একটি সিস্টেম তৈরি হতে পারে বলে মনে হচ্ছে। এসব এলাকার বৃষ্টির পানিটা সাধারণত তিস্তা হয়ে বাংলাদেশে আসে। অপরদিকে ভারতের আসাম ও মেঘালয়ের পানি ব্রহ্মপুত্র এবং সুরমা-কুশিয়ারা হয়ে মেঘনা অববাহিকায় প্রবাহিত হয়। তবে দেশ-বিদেশের আবহাওয়া সংস্থাগুলোর দীর্ঘমেয়াদি প্রতিবেদন অনুযায়ী মনে হচ্ছে, যে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা তা থেকে বড় বন্যা সৃষ্টির আশঙ্কা নেই। স্থানীয় বা স্বল্পমেয়াদি বন্যা হলেও সেটা বড় কোনো ক্ষয়ক্ষতি বয়ে আনবে না।

৬ জুলাইয়ের পর বান্দরবান-কক্সবাজারসহ দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল এবং ১০ জুলাইয়ের পর পূর্বাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও উত্তরাঞ্চলে বন্যা দেখা দেয়। এর প্রধান কারণ ছিল দেশের ভেতর-বাইরের অতি বৃষ্টি।

আবহাওয়া অধিদফতর (বিএমডি) বলছে, এবার জুলাইয়ে দেশের ভেতরেই স্বাভাবিকের চেয়ে প্রায় ২৬ শতাংশ বৃষ্টি বেশি হয়েছে। সাধারণত সারা দেশে এ মাসে গড়ে ৪৯৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হওয়ার কথা। কিন্তু বৃষ্টি হয়েছে ৬২৫ মিলিমিটার। অন্যদিকে ইতিমধ্যে প্রকাশিত বিএমডির আগস্টের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাস বলা হয়েছে, এ মাসেও স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হবে। আগস্টে বঙ্গোপসাগরে ২-৩টি বর্ষাকালীন লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এর মধ্যে একটি বর্ষাকালীন নিুচাপে পরিণত হতে পারে।

95 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন