২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার

নোয়াখালীতে সুবর্ণচরে কিশোরীকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গণধর্ষণ শিশুসহ ধর্ষণের শিকার – ৪

আপডেট: আগস্ট ১৬, ২০১৯

প্রতীকী ছবি

নোয়াখালীর সুবর্ণচরে এক কিশোরীকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। এছাড়া খুলনা, ঝালকাঠির নলছিটি, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর ও বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে শিশুসহ আরও চারজন ধর্ষণের শিকার হয়েছে।

প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-

সুবর্ণচরে ধর্ষণের শিকার মেয়েটির পরিবার জানায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মোস্তান নগরে বড় বোনের বাড়িতে সেই বোনের মেয়েকে নিয়ে বেড়াতে যাচ্ছিল ওই কিশোরী। পথে মোহম্মদপুর ১নং ওয়ার্ডের মোবারক আলী সওদাগরের ছেলে হোসেন ব্যাপারী ও ২নং ওয়ার্ডের ওলি উদ্দিনের ছেলে সোহেল কিশোরীটির মুখ চেপে তাকে তুলে চর আলা উদ্দিন বাজারের পশ্চিম পাশের একটি খামার বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে আরও দুজন ছিল। সেখানে পর্যায়ক্রমে হোসেন ব্যাপারী ও সোহেল মেয়েটিকে ধর্ষণ করে। অন্যরা এর ভিডিওচিত্র ধারণ করে। এক পর্যায়ে মেয়েটি অচেতন হয়ে পড়লে ধর্ষক ও তাদের সহযোগীরা পালিয়ে যায়।

মেয়েটির পরিবারের লোকজন জানায়, কিশোরীর সঙ্গে থাকা তার বোনের মেয়ে বাড়িতে গিয়ে ঘটনাটি জানালে তার মা লোকজন নিয়ে বিভিন্ন স্থানে খোজাখুঁজি করেন। একপর্যায়ে রাত সাড়ে ১২টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে কাদা মাখা অচেতন অবস্থায় মেয়েটিকে উদ্ধার করা হয়। শুক্রবার দুপুরে তাকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতারে ভর্তি করা হয়।

নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে আবাসিক চিকিৎসক সৈয়দ মহিউদ্দিন আব্দুল আজিম জানান, দুপুরে মেয়েটিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে সে গাইনী বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

চরজব্বর থানার ভারপ্রপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহেদ উদ্দিন জানান, ঘটনাটি তিনি শুনেছেন। মেয়েটির পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো অভিযোগ আসেনি। পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।

এদিকে খুলনা নগরীর লবণচরা থানার মুজাহিদপাড়া এলাকায় শুক্রবার সাত বছরের একটি শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হওয়ায় শিশুটিকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (খুমেক) ভর্তি করা হয়েছে।

শিশুটির পরিবার জানায়, সকালে অন্য শিশুদের সঙ্গে সে খেলতে বাড়ি থেকে বের হয়। এ সময় এক যুবক ফুসলিয়ে তাকে পার্শ্ববর্তী একটি বাড়ির সিঁড়ির নিচে নিয়ে ধর্ষণ করে। রক্তাক্ত অবস্থায় শিশুটি পরিবারের সদস্যদের ঘটনাটি জানায়। পরে এলাকাবাসীর সহায়তায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে শিশুটি ধর্ষককে চেনে না বলে পরিবারকে জানিয়েছে। খুলনা মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) এহসান শাহ জানান, ধর্ষককে গ্রেফতারে পুলিশের বিশেষ টিম অভিযানে নেমেছে।

ঝালকাঠির নলছিটিতে সম্পর্কের অবনতি হওয়ায় কথিত প্রেমিক সহযোগীদের দ্বারা এক তরুণীকে ধর্ষণ করিয়েছে। এ ঘটনায় কথিত প্রেমিক সাগর হাওলাদারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

থানায় মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাতে পূর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরে সাগর ও রিয়াজ হাওলাদার নামে দুই যুবক ওই তরুণীকে তাদের বাড়ির সামনে ডেকে আনে। সেখান থেকে মেয়েটিকে একটি অটোরিকশায় উঠিয়ে পাশের কাপড়কাঠী গ্রামের জঙ্গলে নিয়ে যায়। সেখানে প্রেমিক সাগরের সহযোগিতায় রিয়াজ ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে। এ সময় মেয়েটির চিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে এলে ধর্ষক রিয়াজ পালিয়ে যায়। সাগরকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।

অপরদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে ৭ম শ্রেণির এক মাদ্রাস ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার সদর ইউনিয়নের দাতঁমণ্ডল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ধর্ষক একই গ্রামের রাজ্জাক মিয়ার ছেলে হৃদয় মিয়া। পরিবাররে অভিযোগ- বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে মেয়েটি প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘর থেকে বের হয়। আগে থেকে ওত পেতে থাকা হৃদয় বন্ধুদের সহযোগিতায় তাকে তুলে নিজের ঘরে নিয়ে বেঁধে মুখে কাপড় গুঁজে ধর্ষণ করে।

নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজেদুর রহমান জানান, মেয়েটির পরিবার অভিযোগ নিয়ে এসেছে। ধর্ষককে আটকে সর্বাত্মক চেষ্টা চালানো হচ্ছে।

এদিকে বগুড়ার সারিয়াকান্দির ফায়ার সার্ভিস অফিসের স্টেশন অফিসার আল আমিন জানান, দুপুরে যমুনা নদীতে ফুটবল খেলার সময় নিখোঁজ দুই ভাইকে উদ্ধার অভিযানে যাওয়ার পথে একটি মেয়ে নৌকার মধ্যে থেকে বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার করলে তাকে উদ্ধার করা হয়। মেয়েটি জানায় বন্ধু নারচী এলাকার শামিমের সঙ্গে নদীতে বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হন। সারিয়াকান্দি হাসপাতালে পুলিশ হেফাজতে মেয়েটির চিকিৎসা চলছে।

106 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন