আপডেট: ফেব্রুয়ারি ২৯, ২০২০
হিজলা প্রতিনিধি:: হিজলায় জাটকা অভিযানের নামে একি ? কোষ্টগার্ড ই এখনও জাটকা ব্যবসায় সহযোগিতা করছে। বাবা-চাচা জাটকা ব্যবসায়ী- মেঘনা নদীর জাটকা নিয়ন্ত্রক। ছেলে কোষ্টগার্ডের মাঝি।
হিজলা কোষ্টগার্ডের অভিযান পরিচালনা করেন পুত্র। বাবা-চাচাকে বাচিয়ে নিতে কোষ্টগার্ডের মাঝি খলিল সরদার ই যথেষ্ট। প্রশাসন কিছুই জানে না। বিষয়টি কোষ্টগার্ডের ভোলা জোন, বরিশাল মৎস্য অফিস, স্থানীয় হিজলা কোষ্টগার্ড কর্তৃপক্ষ, হিজলা মৎস্য অফিসকে বার বার বলা হলেও কাজের কাজ পুরোনো আদলে।
হিজলার বিশাল মেঘনা নদীতে জাটকা ব্যবসায়ী জামাল সরদার, জসিম সরদার। জসিম সরদার হিজলা উপজেলার মেঘনা নদী জাটকা ব্যবসার জন্য উন্মুক্ত রেখেছেন হিজলা কোষ্টগার্ডের সহায়তায়। ইতোমধ্যে বরিশাল কোষ্টগার্ড ১৫ ফেব্রুয়ারী জসিম সরদার এর জাটকা মাছ সহ ট্রলার আটক করলেও হিজলা কোষ্টগার্ড, মৎস্য দপ্তর কিছুই জানে না। নৌ পুলিশের আইসি বেলাল হোসেন জানান ইতোমধ্যে জসিম সরদারের দুটি ইঞ্জিন চালিত বোর্ড-দ্রুতগামী ট্রলার জাটকা সহ আটক করেছেন।
অপর দিকে হিজলার অবৈধ জাটকা ব্যবসায়ী জসিম সরদার, জামাল সরদার, চুন্নু সরদার, কালিগঞ্জের ফারুক শাহ, লিটন চৌধুরীসহ একটি গ্রুপ হিজলার মেঘনায় নিবিগ্নে ব্যবসা করলেও মৎস্য অফিস সহ প্রশাসন তাদের দেখছেন না। এদের সাথে প্রশাসনের সখ্যতাও লক্ষনীয়। কোষ্টগার্ডের মাঝি খলিল সরদার জাটকা ব্যবসায়ী জামাল সরদার এর পুত্র।
যে কারণে তাদের ব্যব্যবসায় সহযোগীতা রয়েছে খলিল মাঝি। সূত্র দাবি করছেন খলিল মাঝি স্থানীয় জাটকা, বাধাজাল, খুটি জালের মালিক পক্ষ থেকে মাসহারা নিয়ে তাদের চালিয়ে নিচ্ছেন। স্থানীয় বেড়জালের মাঝি বেলাল মিশুরী, কবির মীর, নাসির, গণিসহ একটি গ্রুপ খলিলকে মাসহারা দিয়ে বেড়জাল দিয়ে নিবিগ্নে মাছ শিকার করাছেন।
গনি, নাসির, কবির, বেল্লাল জানান তারা কোষ্টগার্ড মাঝি খলিলকে মাসহারা দিয়েই মাছ শিকার করেন। এজন্য খলিলকে মাসহারা দিতে হয়। তা না হলে জাল ধরে নিয়ে যায়। মাত্র দুদিন আগে কোষ্টগার্ডকে খুশি করেই মাছ শিকার করছেন তারা। ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে নিয়মিত মাছ শিকার করছেন তারা। কোষ্টগার্ডের পল্টুন থেকে মাত্র কয়েক গজ দুরে তাদের জাল। তাদের খুশি না করে কিভাবে ব্যবসা করা সম্ভব এমন প্রশ্ন কবির, বেল্লাল,গনির। খলিল মাঝিরাই প্রশাসনের অর্থ সংগ্রহের নেটওয়ার্ক হিসাবে কাজ করছে। কোষ্টগার্ড, মৎস্যদপ্তরের কোন অভিযান থাকলে তা পৌছে দেন এ গ্রুপটি। ক্ষুদ্র সৎস্যজীবী জেলে সমিতি সভাপতি এনায়েত হাওলাদার, জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল বাশার বাঘা এবং জাতীয় মৎস্যজীবী সমিতির জাকির শিকদার
একাধিক সমিতির সদস্য জানান, কোষ্টগার্ড অবৈধ জাল, নৌকা, মাছ আটক করা হলে মৎস্য দপ্তরসহ তারা একক ভাবেই নিলাম অথবা জরিমানার মাধ্যমে ছেড়ে দিলেও তাতে হিজলার জেলে সমিতিকে অবহিত করা হয় না। এমন অভিযোগ জেলে সমিতি দুটির। দাপ্তরিক ভাবে স্থানীয় জেলে সমিতিকে অবহিত করার কথা থাকলেও তা কাগজে আর কলমে। জেলা ক্ষুদ্র মৎস্যজীবী জেলে সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল বাশার বাঘা জাানন, অবৈধ জাটকা ব্যবসায়ের জন্য মেঘনায় লাইন ব্যবসা রয়েছে। যা নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে কোষ্টগার্ডের মাঝি খলিলের এবং তার বাবা চাচা জসিম সরদার ও জামাল সরদার এর মাধ্যমে। যে কারণে অভিযানে থাকা সব খবরাখবর পৌছে যাচ্ছে অবৈধ ব্যবসায়ীদের কাছে। বিষয়টি একাধিকবার মৎস্য দপ্তর, কোষ্টগার্ডকে অবহিত করা হলেও হালে পানি আসেনি প্রশাসনে। আর অনৈতিক লেন দেনের কারনে সে সিন্ডিকেট ভাংতে পারেনি প্রশাসন। আমরা কোন তথ্য দিলে সে তথ্য তথ্যই থেকে যায়। আমরা শুধু নামে আছি। এ বিষয়ে হিজলা কোষ্টগার্ডের সিসিকে বার বার ফোন করা হলেও ফোন রিসিভ করেন নি।