১৮ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার

সুনামগঞ্জ ধর্মপাশায় বিদ্যালয় মেরামতের টাকা বিতরনে শিক্ষা অফিস কর্তৃক অনিয়মের অভিযোগ

আপডেট: আগস্ট ১৯, ২০২০

ফাইল ছবি

গিয়াস উদ্দিন রানা,ধর্মপাশা(সুনামগঞ্জ):: চলতি ২০২০ অর্থ বছরে ৬৭ টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ক্ষুদ্র মেরামতের জন্য ২ লাখ টাকা করে ৬৭ টি বিদ্যালয় মেরামতের জন্য ১ কোটি ৩২ লাখ টাকা বরাদ্দ আসলেও এসব বরাদ্দকৃত টাকা স্ব স্ব বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতির বরাবর বিতরনে শিক্ষা অফিস কর্তৃক নজির বিহীন অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ২০০টি বিদ্যালয় রুটিন মেরামত জন্য প্রতিটি বিদ্যালয়ে ৪০ হাজার করে টাকা সর্ব মোট প্রায় ৮০ লাখ টাকা বরাদ্দ আসলেও অসাধু কর্মকর্তারা কিছু শিক্ষক দালালদের যোগসাজসে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার কর্তৃক ২০২০ অর্থবছরে উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে বিভিন্ন গ্রামে প্রায় ৬৭টি জরাজীর্ণ বিদ্যালয় ক্ষুদ্র মেরামতের জন্য প্রতিটি বিদ্যালয়ে ২ লাখ করে সর্ব মোট ১ কোটি ৩২ লাখ টাকা ও ২০০ বিদ্যালয়ে রুটিন মেরামত বাবদ ৪০ হাজার করে টাকা বরাদ্দ আসলেও উপজেলা শিক্ষা অফিসের কর্মরত কর্মকর্তারা এসব বরাদ্দকৃত টাকা স্ব স্ব বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি বরাবর এসব টাকা বিতরনে নজির বিহীন অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে উঠেছে। ফলে টাকা পাওয়ার তিন মাস অতিবাহিত হওয়ার পরও এখন পর্যন্ত কোন বিদ্যালয়ে মেরামতের কাজ শুরুই হয়নি। নতুন ভবন সহ ৬৭ টি বিদ্যালয় ক্ষুদ্র মেরামতের জন্য প্রতিটি বিদ্যালয়ে ২ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়ার পরও রুটিন মেরামতের জন্য আরো ৪০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হলেও টাকার চেক বিতরনে নজির বিহীন অনিয়ম করায় শিক্ষকরা বরাদ্দকৃত টাকার ৫০ ভাগ টাকা কম পাওয়ায় ৬৭টি বিদ্যালয়ের সিংহ ভাগ বিদ্যালয় এখন পর্যন্ত অরক্ষিত রয়েছে। এসব বিদ্যালয় মেরামতের নামে প্রতিটি বিদ্যালয় মেরামতের জন্য ২ লাখ টাকা আসলেও উপজেলা শিক্ষা অফিসের রাঘব বোয়াল কর্মকর্তাদের চাহিদাই পূরন হচ্ছে না।
নাম প্রকাশে একাধিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলেন, আমাদের বিদ্যালয় মেরামতের জন্য ২ লাখ করে টাকা বরাদ্দ এসেছে এবং রুটিন মেরামতের জন্য আরো ৪০ হাজার করে টাকা বরাদ্দ এসেছে। প্রায় ৪০ ভাগ টাকা শিক্ষা অফিসে ঘুষ দিতে হয়েছে। এর পর ২ লাখ ৪০ হাজার টাকার ভ্যাট বাদ দিয়ে কয় টাকা থাকে। ওই টাকা দিয়ে কীসের মেরামত হবে, তবে শিক্ষা অফিসের পরামর্শ মতে ওই টাকা দিয়ে বিদ্যালয়ের রং করা সম্ভব হবে।
এব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা অফিসার মোঃ আব্দুল আউয়াল তিনি বলেন, এবছর প্রায় ২ কোটি টাকা বরাদ্দ এসেছে। সব চ্যানেল মেন্টিন করতে গিয়ে আমাদের কিছুই থাকে না। সহকারী শিক্ষা অফিসার বিজয় তালুকদার তারা বলেন, স্ব স্ব বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতির উপস্থিতিতে চেক দিয়েছি। বিদ্যালয় মেরামতের কাজও চলছে।

133 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন