২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

মুমিনুলের পর মোসাদ্দেক তাইজুল

আপডেট: সেপ্টেম্বর ৭, ২০১৯

দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ তিন ব্যাটসম্যানের সম্মিলিত অবদান ১৮ রান। সাকিব আল হাসান ১১, মুশফিকুর রহিম শূন্য ও মাহমুদউল্লাহ সাত।

তিনজনকেই ফিরিয়েছেন চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয়দিনের নায়ক রশিদ খান। যে দিনের নির্যাস আফগানিস্তানের দুর্দান্ত বোলিং ও বাংলাদেশের হতশ্রী ব্যাটিং।

আগেরদিন যে উইকেটে বাংলাদেশের স্পিনারদের অনায়াসে খেলেছেন আফগান ব্যাটসম্যানরা, সেখানেই কাল আফগান স্পিনে খাবি খেলেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। প্রতিপক্ষের চেয়ে অভিজ্ঞতায় যোজন যোজন এগিয়ে থাকার কোনো প্রতিফলন নেই মাঠের পারফরম্যান্সে।

উল্টো প্রথম ইনিংসে বড় লিডের পথে নবীন অতিথিরা। প্রথম ইনিংসে আফগানিস্তানের ৩৪২ রানের জবাবে শুক্রবার আট উইকেটে ১৯৪ রানে দ্বিতীয়দিন শেষ করেছে বাংলাদেশ। ইনিংসে এখন পর্যন্ত একমাত্র ফিফটি মুমিনুল হকের।

মুমিনুলের প্রতিরোধে ফলো-অনের শঙ্কা কাটার পর শেষ বিকেলে উইকেট পতনের সে াতে কিছুটা বাঁধ দিতে পেরেছেন মোসাদ্দেক হোসেন ও তাইজুল ইসলাম। এ দু’জনের সৌজন্যেই কাল অলআউট হয়নি ১৪৬ রানে আট উইকেট হারানো বাংলাদেশ।

১৫.৪ ওভার টিকে থেকে অবিচ্ছিন্ন নবম উইকেট জুটিতে ৪৮ রান যোগ করেছেন মোসাদ্দেক ও তাইজুল। এটাই ইনিংসের সবচেয়ে বড় জুটি! মোসাদ্দেক ৪৪ ও তাইজুল ১৪ রানে অপরাজিত। তাদের দৃঢ়তায় দিনটা স্বস্তিতে শেষ করলেও দুই উইকেট হাতে রেখে এখনও ১৪৮ রানে পিছিয়ে বাংলাদেশ।

একমাত্র টেস্টে আফগানদের চালকের আসনে বসাতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছেন অধিনায়ক রশিদ খান। দিনের শুরুতে ব্যাট হাতে ঝড়ো ফিফটিতে দলকে সাড়ে তিনশ’র কাছাকাছি নিয়ে যাওয়ার পর বোলিংয়েও চার উইকেট নিয়ে বাংলাদেশকে বেজায় ভুগিয়েছেন রশিদ।

পাঁচ উইকেটে ২৭১ রান নিয়ে দ্বিতীয়দিন শুরু করা আফগানরা কাল বাকি পাঁচ উইকেটে যোগ করতে পারে আর ৭১ রান। এর মধ্যে ৫১ রানই এসেছে রশিদের ব্যাট থেকে। মিরাজকে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে রশিদ যখন আউট হন ততক্ষণে টেস্টে নিজেদের সর্বোচ্চ সংগ্রহ পেয়ে গেছে আফগানিস্তান।

বাকি চার উইকেট ভাগাভাগি করে নেন তাইজুল ও সাকিব। সেঞ্চুরির আশা নিয়ে দিন শুরু করা আসগর আফগানকে ৯২ রানে ফেরান প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের সফলতম বোলার তাইজুল (৪/১১৬)।

আফগানদের সাড়ে তিনশ’র নিচে থামানোর স্বস্তি উবে যেতে অবশ্য বেশি সময় লাগেনি। চার স্পিনারের পাশাপাশি একাদশে একজন বিশেষজ্ঞ পেসার রাখার সুফল শুরুতেই পেয়ে যায় অতিথিরা। বাংলাদেশের ইনিংসের প্রথম ওভারেই ওপেনার সাদমান ইসলামকে ফিরিয়ে দেন আফগান পেসার ইয়ামিন আহমাদজাই।

রানের খাতা খোলার আগে উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। দ্বিতীয় উইকেটে অতি সাবধানী ব্যাটিংয়ে ৩৮ রান যোগ করেন সৌম্য সরকার (১৭) ও লিটন দাস (৩৩)। ২০তম ওভারে সৌম্যকে এলবিডব্লউর ফাঁদে ফেলে এই জুটি ভাঙেন মোহাম্মদ নবী।

এরপর লিটনকে বোল্ড করে ধ্বংসযজ্ঞ শুরু করেন রশিদ। ইনিংসের ৩৩তম ওভারে জোড়া ছোবলে সাকিব ও মুশফিককে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে কাঁপিয়ে দেয়ার পর মাহমুদউল্লাহর উইকেটটিও ঝুলিতে ভরেন আফগান অধিনায়ক।

রশিদ যখন ত্রাস ছড়াচ্ছেন তখন এক প্রান্ত আগলে রাখেন মুমিনুল। চাপ কমাতে বেছে নেন পাল্টা আক্রমণের কৌশল। সেটাই কাল হয়। ৭১ বলে ৫২ রান করে নবীকে নিজের উইকেটটি উপহার দিয়ে আসেন মুমিনুল। চট্টগ্রামে এই প্রথম ফিফটিকে সেঞ্চুরিতে রূপ দিতে ব্যর্থ হলেন তিনি। এরপর মিরাজ (১১) ও তাইজুলকে নিয়ে শেষ বিকেলে দারুণ লড়াইয়ে আশার ফুল ফুটিয়েছেন মোসাদ্দেক।

93 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন