২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার

মেরুদণ্ডের হাড় ক্ষয়জনিত ব্যথা

আপডেট: জুলাই ২৭, ২০১৯

ঘাড় ও কোমর ব্যথার কারণগুলোর অন্যতম হল স্পন্ডাইলোসিস।

স্পন্ডাইলোসিস : ঘাড় ও কোমরের অংশের কশেরুকার যদি কোনো প্রাকৃতিক পরিবর্তন সাধিত হয় তাকে স্পন্ডাইলোসিস বলে। অনেকে একে হাড় ক্ষয় হওয়া বা হাড় বেড়ে যাওয়া রোগ বলে থাকেন।

ঘাড় ব্যথার লক্ষণ : ব্যথা ঘাড় থেকে হাতে পিঠে বা বুকে ছড়িয়ে পড়ে। হাত ঝি ঝি ধরে বা অবশ মনে হয়। অনেকে মাথা ব্যথা বা মাথা ঘোরার কথাও বলে থাকেন। ব্যাথা তীব্র হলে রোগী ঘুমাতে পারেন না এমনকি শুয়ে থাকতেও কষ্ট হয়।

কোমর ব্যথার লক্ষণ : ব্যথা কোমর থেকে পায়ে ছড়িয়ে পড়ে। একভাবে বেশিক্ষণ দাঁড়িয়ে বা বসে থাকা যায় না। পা ঝি ঝি ধরে। সামনে ঝুঁকে কাজ করলে ব্যথা বেড়ে যায়। অনেকে পায়খানা বা প্রস্রাবের রাস্তার দিকেও ব্যথা অনুভব করেন। এই ব্যথা সাধারণত ধীরে ধীরে তীব্র হয়। আবার অনেক সময় হঠাৎ তীব্র ব্যথা শুরু হয়।

চিকিৎসা : হাড়ের পরিবর্তনের ফলে মেরুদণ্ডে অব্যবস্থাপনা (spinal derangement) সৃষ্টি হয়। ফলে স্নায়ুর গোড়ায় চাপ পড়ে আর তা থেকে ব্যথার উৎপত্তি হয়। চিকিৎসার মূল উদ্দেশ্য হল মেরুদণ্ডকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনা। এর জন্য ইলেক্ট্রোথেরাপি ও ম্যানিপুলেশনের যৌথ চিকিৎসা দরকার। অস্থায়ীভাবে তীব্র ব্যথা নিয়ন্ত্রণের জন্য কম মেয়াদে ব্যথানাশক সেবন করা যেতে পারে, পূর্ণ সুস্থতার জন্য ফিজিওথেরাপি হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিলে উপকার পাওয়া যায়। এতে রোগী পূর্ণ বিশ্রামের সঙ্গে দিনে ৩-৪ বার কার্যকরী চিকিৎসা নিতে পারেন।

116 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন