২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার

সরকার ভেঙে দেওয়ার প্রস্তাব নেপালের প্রধানমন্ত্রীর

আপডেট: ডিসেম্বর ২০, ২০২০

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :; নেপালে সরকার ভেঙে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলি। রোববার সকালে মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠক ডেকে সরকার ভেঙে দেওয়ার প্রস্তাব দেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী ওলি ওই বৈঠকে জানান, তার সরকার সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে। অতএব তা ভেঙে দেওয়া হোক। সে অনুযায়ী এই প্রস্তাব প্রেসিডেন্ট বিদ্যাদেবী ভাণ্ডারির কাছে পাঠানো হয়েছে। ইতোমধ্যেই প্রেসিডেন্টের কাছে ওই প্রস্তাব পৌঁছে যাওয়ার কথা।

এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, শনিবার দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠকের পর রোববার সকালে মন্ত্রী পরিষদের জরুরি বৈঠক ডেকেছিলেন ওলি। সেখানে তিনি জানান, তার সরকার সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানোয় পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়া প্রয়োজন।

নেপাল কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বিষ্ণু রিজাল বলেন, প্রধানমন্ত্রী সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছেন। সরকার ভেঙে দেওয়ার সুপারিশ করেছেন তিনি। দ্য কাঠমান্ডু পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সংবিধান পরিষদীয় আইনের অধ্যাদেশের বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ওপর ক্রমাগত চাপ বাড়ছিল।

করোনাভাইরাস, দেশের অর্থনীতি সংক্রান্ত বেশ কিছু ইস্যুতে নেপালের রাজনীতিতে বেশ কিছুদিন ধরেই অস্থিরতা চলছে। সরকার এই বিষয়গুলো সামাল দিতে ব্যর্থ হয়েছে এমন অভিযোগ তুলে ক্রমাগত চাপ বাড়াচ্ছিল বিরোধীরা। এর ওপর আবার দলের ভেতরেও ওলির ভূমিকা নিয়ে চাপা ক্ষোভ তৈরি হচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী নিজেই সরকার ভেঙে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন।

নেপাল সংবিধান বিষেশজ্ঞদের মতে, সরকার ভেঙে দেওয়ার প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাব অসাংবিধানিক। নেপাল সংবিধান অনুসারে সংখ্য়াগরিষ্ঠ সরকার প্রদানমন্ত্রী ভেঙে দিতে পারে না। পরিস্থিতি বিবেচনা করে জরুরি বৈঠকের ডাক দিয়েছে নেপালের বিরোধী দল নেপাল কংগ্রেস।

নেপাল কমিউনিস্ট পার্টির অভ্যন্তরীণ বিবাদ তুঙ্গে উঠেছিল। নেপালের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী পুষ্পকুমার দাহালের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী ওলির বেশ কিছুদিন ধরেই বিবাদ চলছে। সেই বিবাদ থেকেই এই পরণতি বলে মনে করা হচ্ছে। পুষ্পকুমার সবার কাছে প্রচন্ড নামে পরিচিত। ক্ষমতাসীন এনসিপির শীর্ষ নেতা ও প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মাধব কুমার নেপাল এই পদক্ষেপকে ‘অসাংবিধানিক’ বলে অভিহিত করেছেন।

154 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন