২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার

কোন বয়সে কত ঘণ্টা ঘুমাবেন?

আপডেট: নভেম্বর ১, ২০১৯

লাইফস্টাইল ডেস্ক ;;  শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে হলে ঘুমের বিকল্প নেই। তবে কম ঘুমানোর মতোই বেশি ঘুমানোটাও স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। আর শৈশব-কৈশোর, তারুণ্য যৌবনে আর বার্ধক্যে ঘুমের চাহিদাও ভিন্ন।

যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি জাতীয় প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন গবেষণার আলোকে সম্প্রতি বয়সভিত্তিক ঘুমের সময়ের এক নির্দেশনা প্রকাশ করেছে। দ্য গার্ডিয়ান কোন বয়সে কতটা ঘুম প্রয়োজন তা তুলে ধরা হলো।

যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল স্লিপ ফাউন্ডেশনের ১৮ গবেষকের একটি দল বয়সভিত্তিক এই ঘুমের নির্দেশনা তৈরি করেছে। বিগত বছরগুলোতে পরিচালিত ৩২০টি গবেষণা প্রতিবেদন পর্যালোচনার মাধ্যমে এ নির্দেশনা চূড়ান্ত করেছেন দেশটির ঘুম বিশেষজ্ঞরা।

কয়েক রাত ধরে কম ঘুমালে আপনি ক্লান্ত থাকবেন, মনোযোগ কমে বিষণ্নতা ভর করবে ও উদ্বেগও বেড়ে যেতে পারে। আর যদি ঘুম কম হওয়ায় দিনের পর দিন এভাবে চলতে থাকে, তবে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও মুটিয়ে যাওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে।

অন্যদিকে অতিরিক্ত ঘুমালেও এই স্বাস্থ্যঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে।

বয়স অনুযায়ী ঘুমের হিসাব

যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল স্লিপ ফাউন্ডেশনের পরামর্শপত্র অনুযায়ী, ৬ থেকে ৯ বছর বয়সী শিশুদের রাতে অন্তত ৯-১১ ঘণ্টা ঘুমানো প্রয়োজন। তবে নিয়মিত ৭-৮ ঘণ্টা ঠিকঠাক ঘুমাতে পারলেও ওরা নিজেকে চালিয়ে নিতে পারে। ১০ থেকে ১৭ বছর বয়সীদের ৮-১০ ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন। তবে কারও কারও নিয়মিত ৭ ঘণ্টা ঘুমালেও চলতে পারে। আর বয়ঃসন্ধির সময়টাতে অনেকেরই প্রায় ১১ ঘণ্টা ঘুমানো প্রয়োজন হতে পারে। কিন্তু ১১ ঘণ্টার চেয়ে বেশি ঘুমালে তা স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর হতে পারে।

মার্কিন গবেষক দলটির অন্যতম সদস্য শিকাগোর লয়োলা ইউনিভার্সিটির লিডিয়া ডনকারলোস বলেছেন, অনেকে দেরিতে ঘুমিয়ে দেরিতে ওঠে। তবে যখনই উঠুক নিয়মিত পর্যাপ্ত ঘুমানোটা খুবই জরুরি।

১৮ থেকে ৬৪ বছর বয়সী মানুষের রাতে ৭-৯ ঘণ্টা ঘুমানো প্রয়োজন, তবে কারও কারও নিয়মিত ৬ ঘণ্টা ঘুমেও সব ঠিকঠাক থাকতে পারে। ৬৫ বছরের চেয়ে বেশি বয়সীদের জন্য ঘুমানো প্রয়োজন ৭-৮ ঘণ্টা। কিন্তু অনেকেই দিনের বেলায় ভাতঘুম দিয়ে রাতে নিয়মিত ৫ ঘণ্টাতেও দিব্যি ভালো থাকতে পারেন।

106 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন