২৩শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, মঙ্গলবার

জন্মের পরই নবজাতক কেন কেঁদে ওঠে?

আপডেট: জুলাই ১০, ২০২০

লাইফস্টাইল ডেস্ক ;; জন্মের পরেই নবজাতক উচ্চস্বরে কাঁদতে শুরু করে। তার কান্নার মধ্য দিয়ে সে জানান দেয় পৃথিবীতে আসার। তবে জন্মের পর যদি কোনো নবজাতক কান্না না করে, তবে তার পশ্চাৎদেশে থাপ্পড় মেরে কাঁদানো হয়।

তবে এখন প্রশ্ন হলো– জন্মানোর সঙ্গে নবজাতকের কান্নার কি সম্পর্ক। কেনইবা সে এভাবে কেঁদে ওঠে? আর কেঁদে না উঠলেইবা সমস্যা কি?

আসুন জেনে নিই শিশুর কান্না কতটা গুরুত্বপূর্ণ-

শিশু জন্ম নেয়ার পর মায়ের গর্ভ থেকে আলাদা হয়ে যায়। জন্মের পর নবজাতক কেঁদে ওঠলে বোঝা যায়, তার ফুসফুস ও হার্ট সঠিকভাবে কাজ করছে।

কান্নার ফলেই মূলত শিশুর স্বাস্থ্য সম্পর্কে বোঝা যায়। নবজাতক যদি খুব জোরে কেঁদে ওঠে, তবে বুঝতে হবে সে সুস্থ আছে। আর আস্তে কান্না করলে বুঝতে হবে স্বাস্থ্য সমস্যা রয়েছে।

নবজাতক কেন কাঁদে

জন্মের আগে নবজাতক মায়ের দেহের সঙ্গে সংযুক্ত আম্বিলিক্যাল কর্ড বা নাভিরজ্জুর মধ্য দিয়ে শ্বাস নেয়। জন্মের কয়েক সেকেন্ড পর শিশু নিজে থেকেই শ্বাস নেয়। শিশু যখন গর্ভের বাইরে আসে, তখন শরীরের বিভিন্ন ফ্লুইড নিঃসরণের ফলে আটকে যায় হৃৎপিণ্ডের শ্বাস-প্রশ্বাসের পথ। তখন শিশু চিৎকার করে কাঁদতে শুরু করে। এই কান্নার ফলেই পরিষ্কার হয়ে যায় শ্বাস-প্রশ্বাসের পথ। তার পর সে স্বাভাবিকভাবে শ্বাস নিতে পারে।

কতক্ষণ কাঁদা উচিত

একাধিক গবেষণা থেকে জানা যায়, সুস্থ নবজাতক একদিনে বা ২৪ ঘণ্টায় কমপক্ষে ২-৩ ঘণ্টা কাঁদে। তবে যদি চার ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে কান্নাকাটি করে, তখন চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

265 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন