২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার

শক্ত অবস্থানে বিএনপির নেতারা কেন?

আপডেট: নভেম্বর ২৭, ২০১৯

বিজয় নিউজ:; কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে গতকাল ঢাকায় পুলিশের সঙ্গে দলটির নেতাকর্মীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে। নেতাকর্মীরাও বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করেছেন।

এছাড়া খালেদা জিয়ার কারামুক্তির কর্মসূচিতে বেশ কিছুদিন ধরেই শক্ত ভাষায় কথা বলতে দেখা গেছে দলটির নেতাদের। কিন্তু হঠাৎ করেই এমন অবস্থান নেয়ার কারণ কী?

জানা গেছে, খালেদা জিয়ার মুক্তি ও একাদশ সংসদ নির্বাচন বাতিল করে নতুন নির্বাচনের দাবিতে ধাপে ধাপে রাজপথে কঠোর আন্দোলনে যাবে বিএনপি। গতকাল হঠাৎ করে হাইকোর্টের সামনে বিক্ষোভ করে সরকারকে তার একটা নমুনা দেখিয়েছে বলে মনে করছেন দলটির নেতাকর্মীরা। ভবিষ্যতে পরিকল্পিতভাবে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথের দখলের কথাও ভাবছেন তারা।

বিএনপি নেতারা বলছেন, সমাবেশ করতে আর প্রশাসনের অনুমতি নেয়া হবে না। মাঠপর্যায়ের নেতাকর্মীদের প্রতি নেতারা আহ্বান জানাচ্ছেন, একতাবদ্ধ হয়ে সরকারের বিরুদ্ধে গণঅভ্যুত্থান সৃষ্টির জন্য প্রস্তুতি নিতে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‌‌বি‌এনপি আন্দোলন করবে, এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে দিনক্ষণ দিয়ে কি কেউ আন্দোলনের কথা বলেন?

জানা গেছে, আগামী বৃহস্পতিবার খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের ওপর আপিল বিভাগের পূর্ণ বেঞ্চে শুনানির তারিখ ঠিক হয়েছে।

বিএনপির নেতাদের আশঙ্কা, নানা আইনি মারপ্যাঁচে জামিন আবেদন আরও কিছুদিন ঝুলিয়ে রাখা হতে পারে। যদি শেষ পর্যন্ত আপিল বিভাগেও খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন চূড়ান্তভাবে নাকচ হয়, তাহলে বিএনপি কঠোর কর্মসূচিতে যাওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না।

গত রোববার রাজধানীর নয়াপল্টনের সমাবেশে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এমন ইঙ্গিতই দিয়েছেন।

তিনি বলেছেন, ‘এখন আর অন্য কোনো স্লোগান নয়। একটাই স্লোগান, এই সরকার নিপাত যাক। আর কোনো বিভেদ নয়, একসঙ্গে আমাদের আন্দোলনে নেমে পড়তে হবে। অতি দ্রুত রাজপথে নেমে গণ-অভ্যুত্থান সৃষ্টি করে আমরা গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনব, আমাদের দেশনেত্রীকে মুক্ত করব।’

এর আগের দিন গয়েশ্বর চন্দ্র রায় রাজশাহীতে এক সমাবেশে বলেন, ‘রাজপথ জনগণের। এখন থেকে সভা-সমাবেশ করার জন্য প্রশাসনের অনুমতি নেয়ার প্রয়োজন নেই। এই রাজপথ সরকারের কাছে ইজারা দেয়া হয়নি।’

পরদিন নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসচিবও বলেন, ‘আর অনুমতি নেব না, যখন প্রয়োজন সমাবেশ করব।’

বিএনপির নেতারা মনে করছেন, বাংলাদেশের সংবিধানে নাগরিকের সভা-সমাবেশ করার অধিকার দেয়া আছে। তাই অনুমতির প্রয়োজন নেই।

জানা গেছে, আন্দোলনে নামার আগে দুটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে ভাবছেন দলের নীতিনির্ধারকেরা। একটি হচ্ছে, ভবিষ্যতে সভা-সমাবেশ করার জন্য পুলিশের অনুমতির অপেক্ষা না করবেন না তারা। এ ক্ষেত্রে কর্মসূচির জন্য অনুমতির আবেদন না করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করার কথা চিন্তা করছেন।

অন্যটি হচ্ছে, হয়রানির প্রতিবাদ হিসেবে সারা দেশে পুলিশের দায়ের করা ‘গায়েবি’ মামলায় একযোগে আদালতে হাজিরা না দেয়া।

100 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন