১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

বরিশালে অ-পরিকল্পিত বালি উত্তোলন:বিলীন হচ্ছে“মেঘা”প্রকল্পসহ বসতি

আপডেট: ডিসেম্বর ৩১, ২০১৯

সাইফুল ইসলাম,হিজলা ::  বরিশাালের হিজলা এলাকায় অ-পরিকল্পীত ভাবে উত্তোলীত হচ্ছে বালি। ভাঙছে নদ-নদী। লাভের আশায় গৃহ হারা হচ্ছে হাজারও অহায় পরিবার। দায় নিচ্ছে না প্রশাসনের কেউ ই। স্থানীয় এমপি পংকজ নাথ বার বার বালি উত্তোলনের বিপক্ষে অবস্থান নিলেও প্রশাসনের কারণে সফল হতে পারছে না তিনি।

জানা গেছে হিজলা উপজেলার হিজলাগৌরব্দী ইউনিয়নের সাওড়াসৈয়দখালী মৌজায় বরিশালের ডিসির মাধ্যমে অনুমতি নিয়ে বালি খেকোরা বে-পরোয়া ভাবে উত্তোলন করছে বালি। এতে নদীর গতি পথ নয় হাজার কোটি টাকার ড্রেজিং ভেস্তে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিআইডব্লিটিএ কর্তৃপক্ষর।

তাদের মতে এ যাবত কালে নদীর গতিপথ এবং নদীর চ্যানেল ঠিক রাখার জন্য যে ড্রেজিং হচ্ছে তার সুফল বিলিন করছে পাশে- ডিসির বালু উত্তোলনের কারনে।

বালুমহাল এক ¯’ানে বালু উঠছে অন্য ¯’ানে: হিজলা উপজেলায় এমনিতেই বালি উত্তোলন বন্ধ। এক্ষত্রে উপজেলা প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি, এমপি সকল পর্যায় এটির নিয়ন্ত্রনে থাকলেও হালে পানি ঢালছেন জেলা প্রশাসন। ¯’ানীয়দের মতামতের প্রাধান্য না দিয়ে ডিসি তার ক্ষমতাবলে বালি মহাল ইজারা দেন বলে জনান এমপি। বালি উত্তোল বিষয়টি উপজেলা সমন্বয় মিটিংএ থাকার কথা বলে জানান তিনি। একই অভিযোগ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেন ঢালীর।

স্থানীয়দের মতামত : বালি মহাল হিজলা গৌরব্দীর সাওড়া সৈয়দ খালী মৌজায়- বালি উত্তোলীত হচ্ছে আলামপুর, অরাকুল, কুশাইকুড়ি,ঘুঙ্গুরদি এবং মান্দ্রাতরকুশুরিয়া মৌজায়। বালুমহাল ইজারাদার রুবেল হোসেন রাড়ি জানান- তারা ডিসির মাধ্যমে সাওড়াসৈয়দখালী মৌজার ৩৮৭৮,৩৮৭৯,৩৮৮০,৩৮৮১ মোট চারটি দাগে মোট ১শত একর জায়গা ইজারা নিয়ে সেখানে বালি উত্তোলন করেন।

প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের সিমানা নির্ধারণ করা হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নে জানায়, সার্ভেয়ার তাদের সিমানা নির্ধারণ করে দিয়েছেন সে মোতাবেক বালি উত্তোলিত হচ্ছে। সিমানা চিহ্নিত ¯’ান কোথায় এমন প্রশ্নে এড়িয়ে যান বালি খেকোরা।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মিলন, ইউপি সদস্য হাবিব সরদারসহ পরিষদের একাধিক ব্যক্তি জানান-বালি উত্তোলীত হচ্ছে আলামপুর, অরাকুল,কুশাইকুড়ি,ঘুঙ্গুরদি এবং মান্দ্রাতরকুশুরিয়া মৌজায়। তাদের স্থান এখান থেকে ৫ কিলো মিটার দুরে। যে কারণে নদীর পারে জনবসতি হুমকীর মুখে পড়ছে। স্থানীয়দের অভিযোগ- আমরা আমাদের ভুমি চিনি। চিনে না বালি খেকোরা, তারা বুঝে তাদের ব্যবসা। উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে বার বার বলা হলেও তিনি কোন ব্যবস্থা নেন নি।

সাবেক ডিসির “চর মেঘার” বাইশ শত একরের মেঘা প্রকল্প ও ভেস্তে যা”েছ-অ-পরিকল্পিত বালি উত্তোলনের কারনে। ইতোমধ্যে ভাঙ্গতে শুরু করছে। বিষয়টি প্রশাসনের ভেবে দেখা উচিৎ। উপজেলা নির্বাহী অফিসার জানান- ইতোমধ্যে বিষয়টি তার নজরে এসেছে।

বালু উত্তোলনকারীদের বৈধতা-অবৈধতা দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন। হিজলা উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার সাইফুল ইসলাম জানান- সাবেক সার্ভেয়ার মামুন তাদের সিমানা দিয়েছে কি না তা তার জানা নেই। পরিদর্শন না করে বলার কিছু নেই।

142 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন