১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

হিজলার মেঘনায় ভাঙ্গন শুরু-ঝুকিতে পাঁচটি স্কুল-হুমকির মুখে উপজেলা প্রশাসনিক ভবণ

আপডেট: এপ্রিল ৭, ২০২১

সাইফুল ইসলাম,হিজলা:: অসময়ে বন্যা, ভাঙছে হিজলার মেঘনা, ঝুকিতে উপজেলা প্রশাসন। বিলীনের পথে পাঁচ পাঁচটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মসজিদসহ ঘরবাড়ি। হিজলা উপজেলা এখন হুমকির মুখে ।
এখনও বন্যা শুরু হয়নি। চৈত্রমাস। বৈশাখের এখনও অনেক বাকি। তবুও বেপরোয়া ভাবে ভাঙছে হিজলা উপজেলা সংলগ্ন মেঘনা নদী।
গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে হিজলায় ব্যাপক ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। পুরাতন হিজলা লঞ্চজঘাট থেকে শুরু করে দক্ষিনে বাউশিয়ার শেষ সিমানা দরিচর খাজুরিয়া (বামনেরচর) পর্যন্ত প্রায় পাঁচ কিলোমিটার নদী এখন বেপরোয়া।


হতাশায় হিজলা উপজেলা প্রশাসন। অসময়ে এ যেন মেঘনার ভাঙ্গনের আনন্দ উৎসব। ভাঙ্গনের ব্যপকতায় পুরাতন হিজলা লঞঘাটের পল্টুন সরিয়ে নিয়েছে স্থানীয় জনগন। পার্শ্বের হিজলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মেঘনায় খাই খাই করছে। উপজেলা শিক্ষা অফিসার আঃ গাফ্ফার, উপজেলা প্রকৌশলী তুহিন সরকারসহ একটি দল ৬ এপ্রিল স্কুল ভবণ ভাঙ্গার প্রস্ততি নিচ্ছেন বলে জানালেন।
হিজলা উপজেলা শিক্ষা অফিসার আঃ গাফ্ফার জানান, উপজেলা সংলগ্ন বাউশিয়া ৮নং ওয়ার্ড-এ তিনটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। বিগত বছর ভাঙ্গার জন্য প্রস্ততি নিচ্ছিলেন। পানি উন্নয়ন বোর্ডের আশ্বাসে সে পর্ব থেমে যায়। তিনটি বিদ্যালয় খুব ঝুকিপূর্ন। এ বছর দঃপঃ বাউশিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতল ভবনের কাজ শুরু করার কথা থাকলেও তা করা হয়নি ভাঙ্গনের কারনে।


হিজলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভাঙ্গার জন্য প্রস্ততি চলছে। উপজেলা প্রকৌশলী তুহিন সরকার জানান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং শিক্ষা অফিসার এর নির্দেশনায় পুরাতন হিজলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় টেন্ডার প্রক্রিয়ার জন্য প্রস্ততি চলছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিষয়টি দেখবেন।
উপজেলা সদর সংলগ্ন ভাঙ্গন কবলিত এলাকার দক্ষিণ বাউশিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাসুদ রানা, দঃ পঃ বাউশিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক আহসান , মধ্য বাউশিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক মরিয়ম বেগম, হিজলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক নুর মোহাম্মদ জানান- গেল বর্ষায় স্কুল অন্যত্র প্রতিষ্ঠার জন্য সকল প্রস্ততি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়। এক বছরে আমাদের শিক্ষার্থীর র্সংখ্যা শূন্যর কোঠায় চলে আসে। ভাঙ্গনে বসতি চলে গেছে অন্যত্র। এখন শুধু স্কুলগুলো দাড়িয়ে আছে মেঘনার পাড়ে। সরকার এখন থেকে বাঁধ রক্ষা কাজের উদ্দ্যোগ না নিলে স্কুল রক্ষা দ্বায়।


বিদ্যালয় সভাপতি শহিদুল ইসলাম শিকদার, বাচ্চু হাওলাদার, আলীআকবর সিকদার, আইয়ুব আলী রাড়ি আক্ষেপ করে জানান, আমরাতো বাড়িঘর নিয়ে অন্যত্র চলেই গিয়েছি। সরকারের স্কুল সরকার দেখুক।
হিজলা উপজেলা রক্ষার জন্য সরকার ৬শ’কোটি টাকার বাজেট বরাদ্দ দিয়েছে শুনছি। কাজও দেখছি না-উদ্দ্যোগও দেখছি না।
উপজেলা পষিদ বাইষ চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন মাষ্টার জানান, হিজলা উপঝেলা রক্ষা বাঁধের জন্য এশটি মেঘা প্রজেক্ট কর্তৃপক্ষের বরাবওে পাঠানো হয়েছে। এমপি পংকজনাথের সহায়তায় চলতি মৌসুমে কাজের গতি পাবে বলে তিনি জানিয়েছেন।


হিজলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বকুলচন্দ্র কবিরাজ জানান, ভঙগনের ব্যাপকত লক্ষ করেই পুরাতন হিজলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় , বাউশিয়া একং দক্ষিণ বাউশিয়ার ৮নং ওয়ার্ডেও তিনটি স্কুল অপসারণ বিষয়ে শিক্ষা অফিসার এবং উপজেলা প্রকৌশলীকে তদারকির দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। পানিউন্নয়ন বোর্ডকে জরুরি ভিত্তিতে বাঁধ রক্ষার জন্য ৬ এপ্রিল চিঠি দেয়া হয়েছে।
তিনিও আক্ষেপ করে বলেন হিজলা উপজেলাই অনিরাপদ। আমরাইতো ঝুকির মধ্যে।

453 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন