২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বুধবার

চট্টগ্রামে মুসলিম শিক্ষার্থীদের কৃষ্ণ প্রসাদ বিতরণ, বাবুনগরীর হুশিয়ারি

আপডেট: জুলাই ১৮, ২০১৯

চট্টগ্রামের বিভিন্ন বিদ্যালয়ে মুসলিম শিক্ষার্থীদের মাঝে হিন্দুত্ববাদের স্লোগান দিয়ে কৃষ্ণ প্রসাদ বিতরণের কঠোর সমালোচনা করে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন হেফাজত ইসলামের মহাসচিব আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী।

বুধবার দুপুরে গণমাধ্যমে বাবুনগরীর ব্যক্তিগত সহকারী ইন’আমুল হাসান ফারুকীর পাঠানো এক বিবৃতিতে এ প্রতিবাদ জানান তিনি।

আন্তর্জাতিক কৃষ্ণ ভাবনা মৃত সংঘ তথা ‘ইসকন’ তাদের ‘ফুড ফর লাইফ’ কর্মসূচির আওতায় হিন্দু সম্প্রদায়ের রথযাত্রা উপলক্ষে এ প্রসাদ বিতরণ করে।

এ বিষয়ে আল্লামা বাবুনগরী বলেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের রথযাত্রা অনুষ্ঠানে মুসলিম শিশুদের মাঝে কৃষ্ণ প্রসাদ বিতরণ করে চরম দৃষ্টতা দেখিয়েছে উগ্রবাদী সংগঠন ইসকন। ‘হরে কৃষ্ণ, হরে রাম’ শ্লোগান দিয়ে এ প্রসাদ বিতরণ করে মুসলিম ধর্মীয় চেতনাবোধে মারাত্মক আঘাত করেছে। মুসলমানদের ঈমান-আকিদার জায়গা থেকে এসব কুফরি শব্দ মুখে আনতে পারে না।

তিনি বলেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ পুণ্যের ভাবনা থেকে তাদের দেবতার নামে উৎসর্গকৃত খাবারের অবশেষ এসব প্রসাদ আহার করে থাকে। এই প্রসাদ আহার করা মুসলমানদের জন্য হারাম।

হেফাজত মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী প্রত্যেক ধর্মাবলম্বী নিজ নিজ ধর্ম স্বাধীনভাবে পালন করতে পারবেন। তবে নিজেদের ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান অন্য ধর্মের কারো ওপর চাপিয়ে দেয়া ধর্মীয় অধিকার ও অনুভূতিতে হস্তক্ষেপের শামিল। এটা সংবিধান পরিপন্থী।

তিনি বলেন, ৯০ শতাংশ মুসলিম অধ্যুষিত দেশে অবুঝ মুসলিম শিশু-কিশোরদেরকে এভাবে ‘হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে, হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে, মাতাজি প্রসাদ কি জয়’ শ্লোগান দেয়ানো চরম ধৃষ্টতার শামিল। মুসলিম শিশুদের পবিত্র মুখে এসব কুফরি শব্দ উচ্চারণ করিয়ে কৌশলে ঈমান হরণের অপচেষ্টা চলছে।

আল্লামা বাবুনগরী বলেন, আজ তারা আমাদের শিশুদেরকে প্রসাদের লোভে ফেলে ‘হরে কৃষ্ণ হরে রাম’ বলিয়েছে, কাল ভারতের মতো জোরপূর্বক ‘জয় শ্রীরাম’ বলতে বাধ্য করবে না, এর কি নিশ্চয়তা আছে?

তিনি আরও বলেন, এদেশে সব ধর্মের মানুষের সহাবস্থান নিশ্চিত করতে এমন ঘৃণ্য কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা সময়ের দাবি। মূলত, এসব কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বাংলাদেশেও ভারতের মতো সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা-হাঙ্গামা সৃষ্টির পাঁয়তারা করা হচ্ছে। ইসকন নামে যে সংগঠন বাংলাদেশে কাজ করছে, এর সদর দফতর নদীয়া জেলার পাশে মায়াপুরে।

বাবুনগরী বলেন, অনতিবিলম্বে এ ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত সব স্কুল কর্তৃপক্ষের সংশ্লিষ্ট অনুমতিদাতাদেরকে বিচারের আওতায় আনার পাশাপাশি ইসকনের যারা এ কর্মকাণ্ডে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

অন্যথায় মুলমানদের ঈমান আকিদা রক্ষার পাশাপাশি দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অক্ষুণ্ণ রাখার স্বার্থে এসব উগ্রবাদী সংগঠনের কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে তৌহিদি জনতা দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে বাধ্য হবে বলে হুশিয়ারি দেন হেফাজত মহাসচিব বাবুনগরী।

148 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন