১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

ধর্মপাশায় বোরো ধানের বাম্পার ফলন কৃষক-কৃষাণীরা ধান মাড়াই কাজে ব্যস্ত

আপডেট: এপ্রিল ২৭, ২০২১

গিয়াস উদ্দিন রানা,ধর্মপাশা(সুনামগঞ্জ):; সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় ইতিমধ্যে ৬৫ভাগ ধান কর্তন হয়েছে বলে কৃষকরা জানিয়েছে। আবহাওয়া নিয়ন্ত্রনে থাকলে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে হাওরের ধান কর্তন শেষ হবে। কৃষকরা গুখাদ্য (খড় শুকানোর কাজে নিয়োজিত রয়েছে। কৃষাণীরা ধান রোদে শুকিয়ে গুলায় উঠানোর কাজে ব্যস্ত রয়েছে। নীচু জমিতে বি আর ২৮ জাতের ধান কর্তন শেষ হয়েছে। এখন বি আর ২৯ ও স্থানীয় জাতের ধান কর্তন শুরু হয়েছে।


ধর্মপাশা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর ও উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বিভিন্ন হাওরে ধান কর্তন করে কৃষক ও ধান কর্তনের শ্রমিকদের উৎসাহিত করেছেন। তারই ধারাবাহিকতায় উপজেলার মধ্যনগর থানা শাখা যুবলীগের উদ্যোগে গতকাল দুপুর ১২টায় বোয়ালা হাওরে বৈঠাখালী গ্রামের কৃষক পিংকু তালুকদার ও টিটু তালুকদার এর ধান কর্তন করে উৎসাহিত করেন। ধান কর্তনে নেতৃত ¡দেন মধ্যনগর থানা শাখা আওয়ামী-যুবলীগের সভাপতি মোঃ মোস্তাক আহমেদ, সাধারন সম্পাদক বিদুাৎ কান্তি তালুকদার। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন যুবলীগ নেতা ওবায়দুল ইসলাম খান রনি, সম্ভু রায়, ডাক্তার অমল কান্তি তালুকদার, মোঃ সায়েম আহমদ প্রমুখ।
এবছর আবহাওয়া প্রতিকুলে থাকা ও প্রচন্ড গরম থাকায় নির্ধারিত সময়ের সময়ের আগেই ধান পাঁকা শুরু হয়েছে। স্থানীয় শ্রমিকরা এসব পাঁকা ধান কয়েক মাসেও কর্তন করা সম্ভব হতোনা। কৃষকদের সুবিধার্তে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর টাঙ্গাইল-মধুপুর,ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা ও কুমিল্লা থেকে লকডাউনের মধ্যেও ধান কর্তনের জন্য হাজার হাজার শ্রমিক ও দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে অর্ধ শতাধিক কমভাইনার মেশিনের মাধ্যমে বর্তমানে হাওরের সিংহভাগ ধান কৃষকদের গুলায় তুলা সম্ভব হয়েছে।
এব্যাপারে চামরদানী ইউনিয়নের টেপিরকোনা গ্রামের কৃষক কসরুজ্জামান বাবলু, শারারকোনা গ্রামের কৃষক মোঃ শফিকুল ইসলাম, পাইকুরাটি ইউনিয়নের সুনইগ্রামের ডাক্তার মোঃ রুবেল মিয়া ও মধ্যনগর ইউনিয়নের খাশিয়াকান্দা গ্রামের কৃষক নয়ন মড়ল প্রমুখ। তারা বলেন, এ বছর আবহাওয়া ভাল থাকায় জমিতে বাম্পার ফলন হয়েছে। ধান পাঁকার সাথে সাথে ধান কর্তনের শ্রমিক ও কমভাইনার মেশিনের সাহায্য অল্প সময়ে আমাদের সোনালী ফসল গুলায় তুলতে সক্ষম হয়েছি। তাই উপজেলা কৃষি অফিসারকে কৃষকদের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাই।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ নাজমুল ইসলাম ও কৃষি সম্প্রসারন কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, চলতি বোরো মৌসুমে প্রায় ৩২ হাজার জমিতে বি আর ২৮, বি আর ২৯ ও স্থানীয় জাতের ধান রোপন করা হয়েছে। শুরুতেই কাল বৈশাখী ঝড় শিলা বৃষ্টি ও বৈড়ী আবহাওয়ায় প্রায় আড়াই শত হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হলেও তেমন কোন ক্ষতি হয়নি। তবে এ বছর বোরো ফসল উৎপাদনে লক্ষমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। ইতিমধ্যে ৬০ হতে ৬৫ ভাগ ধান কর্তন হয়েছে। আগামি এক সপ্তাহের মধ্যে হাওরে কোন ধান থাকবে না।

391 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন