আপডেট: নভেম্বর ৬, ২০১৯
স্পোর্টস ডেস্ক :: বার্সেলোনা খেলার ৯০ মিনিট জুড়েই বেশ কয়েকটি সুযোগ পায়, যার একটিও কাজে লাগাতে পারেনি তারা।
তাই সমর্থকদের হতাশ হওয়াটাই বাঞ্ছনীয়। শুরুর ১৫-২০ মিনিট ন্যু ক্যাম্পে যেন ঘুমই ভাঙছিল না মেসিদের।
এলোমেলোভাবে মাঠে বিচরণ করতে দেখা গেছে তাদের। বল ঠিকভাবে পায়ে রাখতে পারছিল না কাতালানরা।
খেলা শুরুর মিনিট পাঁচেকের মধ্যেই দুবার বার্সেলোনা রক্ষণে আক্রমণ করে অতিথি স্লাভিয়া। মনে হয় যেন ভাগ্যগজোড়ে বেঁচে গেল বার্সেলোনা।
তবে ম্যাচের ৩৪ মিনিটে বার্সাদের ঘুম ভাঙান দলটির সেরা তারকা লিওনেল মেসি।
মাঝমাঠ থেকে দুর্দান্ত গতিতে বল টেনে এনে শট নেন বার্সা অধিনায়ক। তবে তা গোলপোস্টে লেগে ফিরে আসে। এরপর ৪৩ মিনিটে স্লাভিয়ার রক্ষণভাগ ভেদ করতে সক্ষম হয় বার্সেলোনা। তবে গোলরক্ষককে পরাস্ত করতে পারেনি তারা।
দুবারই নিজেদের জাল অক্ষুণ্ন রাখেন স্লাভিয়া গোলরক্ষক।
এভাবে বিচ্ছিন্ন কয়েকটি ঘটনা ঘটিয়ে শূণ্য হাতেই বিরতিতে যায় দুই দল।
তবে দ্বিতীয়ার্ধে নেমে অনেকটা চেনা রূপে আবির্ভূত হয় বার্সেলোনা। বলের দখল লড়াইয়ে এগিয়ে থাকে তারা।
বল নিয়ে স্লাভিয়ার রক্ষণভাগে ঢুকে পড়ে মেসিরা। একের পর এক গোলের সুযোগ তৈরি করে নেয় তারা।
কিন্তু তাতে লাভ হয়নি কোনো। বারবারই সুযোগ হাতছাড়া করেছে মেসি-ডেম্বেলে।
সমর্থকরা সবচেয়ে বেশি বিরক্ত হয়েছেন ৫৬ মিনিটের সময়। এ সময় শিশুসুলভ ভুল করেন রবার্তো।
তার দুর্বল শট আটকে আরেকবার দলকে সুরক্ষিত করেন স্লাভিয়া গোলরক্ষক কোলার।
দুই মিনিট পরই ফের চমৎকার একটি সুযোগ আসে ন্যু-ক্যাম্পের খেলোয়াড়দের। মেসির বাড়ানো বল ভিদালের পা হয়ে জালে জড়ানোর আগে মেসি ফাঁদে পড়েন অফসাইডের।
নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষ হওয়ার মিনিট ১৫ আগে মেসির শট আটকে দিয়ে আরেকবার বার্সেলোনাকে গোলবঞ্চিত করেন স্লাভিয়া গোলরক্ষক।