২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার

সাকিবদের সামনে আফগান চ্যালেঞ্জ

আপডেট: সেপ্টেম্বর ১৫, ২০১৯

বাকিদের অনুশীলন শেষ। তখনও দু’জন টিম বয়কে নিয়ে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের ইনডোরে বোলিং অনুশীলন চালিয়ে যাচ্ছেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। দীর্ঘ সময় এভাবে তাকে অনুশীলন করতে কালে-ভদ্রে দেখা যায়। ফর্মে ফিরতে নিজের সর্বোচ্চটা দিয়েই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন এ বাঁ- হাতি অলরাউন্ডার। বিশ্বকাপে দুরন্ত অলরাউন্ড নৈপুণ্যে ইতিহাসের পাতা রাঙানো সাকিবকে সর্বশেষ দুই ম্যাচে চেনাই যায়নি।

আফগানিস্তানের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টে যেমন নিজের ছায়া হয়ে ছিলেন, ত্রিদেশীয় টি ২০ সিরিজের প্রথম ম্যাচে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেও তেমনি সবকিছুতেই হতশ্রী ভাব। জিম্বাবুয়ে ও আফগানিস্তানের মতো দলের বিপক্ষে ভালো না করতে পারার যন্ত্রণা দ্রুতই লাঘব করতে চান সাকিব। এজন্যই বাড়তি অনুশীলন। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হারের দুয়ার থেকে ফিরেছে বাংলাদেশ আফিফ হোসেনের দারুণ ব্যাটিংয়ের কল্যাণে।

ত্রিদেশীয় টি ২০ সিরিজে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ আজ আফগানিস্তান। জিম্বাবুয়ের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী তারা। টি ২০ ক্রিকেটে তো আরও ভয়ংকর। তবু প্রথম ম্যাচ জয়ের আত্মবিশ্বাসে আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয়ের সম্ভাবনা দেখছে বাংলাদেশ। মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায়।

খারাপ সময়ে খেলোয়াড়দের পাশে থাকার কথা জানালেন ব্যাটিং কোচ নিল ম্যাকেঞ্জি। তার বিশ্বাস, বাংলাদেশ দলের সবাই নিজেদের সেরাটা দেয়ার চেষ্টা করছে। কিন্তু হয়ে উঠছে না। মিরপুর ইনডোরে কাল ব্যাটিং কোচ বলেন, ‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সব সময়ই কঠিন। একজন সব সময় রান করবে না, সাকিবকেও সব সময় একইভাবে দেখা যাবে না। এই দলটাই গত ছয় মাস ধরে ভালো ক্রিকেট খেলছে। দু’একটা ম্যাচে রান না পাওয়ায় হতাশ হয়ে পড়ার মতো কিছু হয়নি। এই দলে অনেক মেধাবী ক্রিকেটার রয়েছে। আমাদের ধৈর্য ধরতে হবে, তাদের ওপর আস্থা রাখতে হবে, বিশ্বাস রাখতে হবে।’

আফগানিস্তানের বিপক্ষে কোনো ফরম্যাটেই বাংলাদেশের রেকর্ড ভালো নয়। টি ২০তে তো আরও খারাপ। এখন পর্যন্ত চার ম্যাচে মুখোমুখি হয়ে আফগানদের বিপক্ষে মাত্র একটি ম্যাচ জিতেছে বাংলাদেশ। গত বছর ভারতের দেরাদুনে তিন ম্যাচের টি ২০ সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হন সাকিবরা। চট্টগ্রামে একমাত্র টেস্টেও আফগানিস্তান জিতেছে দাপটের সঙ্গে। এছাড়া বাংলাদেশ যেখানে টি ২০ র‌্যাংকিংয়ে ১০ নম্বরে, আফগানিস্তান সেখানে সাতে। সব কিছুতেই এগিয়ে রশিদ খানরা।

তবে দেশের মাটিতে খেলার কিছু বাড়তি সুবিধা তো আছেই। সঙ্গে ভরসা দিচ্ছেন তরুণ আফিফ হোসেন। ঝড়ো ফিফটিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রায় হারা ম্যাচ জিতিয়েছেন তিনি। গত বছর টি ২০ অভিষেকে ব্যর্থ হলেও নতুনভাবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আফিফ পা রেখেছেন শুক্রবার। লোয়ার মিডলঅর্ডারে আফিফের সঙ্গে মোসাদ্দেকের ধারাবাহিকতাও দলকে ইতিবাচক থাকার সাহস জোগাচ্ছে।

প্রথম ম্যাচে মাত্র ৬০ রানের মধ্যেই ছয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ। পরীক্ষিত ব্যাটসম্যানরা কেউই উইকেটে থিতু হতে পারেননি। তার আগে বোলিংয়ে সাকিব চার ওভারে ৪৯ রান দিয়েছেন। তাইজুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমানও রান আটকাতে পারেননি। আফগানিস্তানের পেস ও স্পিন বোলিংয়ে অনেক বৈচিত্র্য রয়েছে। তাদের ব্যাটসম্যানরাও এই ফরম্যাটে ধারাবাহিক ও আক্রমণাত্মক।

এছাড়া সাকিবের অধিনায়কত্বের ওপর সবাই আস্থা রাখতে পারছেন না। সব মিলিয়ে যেন দুঃসময়ের মধ্যে বাংলাদেশ। দলের সবারই বিশ্বাস ছিল একটি জয়ই আবার দলকে ধারাবাহিকতায় ফেরাবে। সেই জয়টা এসেছে শুক্রবার। এখন ধারাবাহিকতা ধরে রেখে এগোতে পারলেই সব ঠিক থাকবে!

82 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন