আপডেট: আগস্ট ৭, ২০২৫
আপডেট:
সন্দ্বীপ (চট্টগ্রাম)প্রতিনিধি: ঃ চট্টগ্রাম জেলার সন্দ্বীপ উপজেলার মগধরা উপকূলের “ফেরিঘাট” জলসীমা থেকে মাছ ধরার জাল অপসারণে প্রশাসনের নির্দেশনার কারণে চরম মানবিক সংকটে পড়েছেন উপকূলীয় জলদাস সম্প্রদায়ের শত শত মৎস্যজীবী।
সম্প্রতি সন্দ্বীপ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফেরিঘাট সংলগ্ন ৫০০ মিটারের মধ্যে সব ধরনের মাছ ধরার জাল এক সপ্তাহের মধ্যে অপসারণের নির্দেশ দেন। এ সিদ্ধান্তের ফলে একমাত্র জীবিকার উৎস হারানোর শঙ্কায় দুশ্চিন্তায় ভুগছেন হারামিয়া ইউনিয়নের মৎস্যজীবীরা।
জেলেদের অভিযোগ, ফেরিঘাটের নিরাপত্তার অজুহাতে শুধু মগধরা উপকূলকে জালমুক্ত করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, যা তারা বৈষম্যমূলক ও একপাক্ষিক সিদ্ধান্ত হিসেবে দেখছেন।
এ অবস্থায় মৎস্যজীবীরা বিকল্পভাবে সীমারেখা নির্ধারণ এবং জাল অপসারণের সময়সীমা কমপক্ষে এক মাসে বৃদ্ধি করার দাবি জানিয়েছেন। তাদের মতে, একটি মানবিক সমাধান হলে জীবিকা রক্ষা করা যাবে এবং জাতীয় পর্যায়ে মাছের সরবরাহও ব্যাহত হবে না।
এই দাবিগুলো নিয়ে বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) দুপুর ১২টায় হারামিয়া কাছিয়াপাড়ার শতাধিক জেলে সন্দ্বীপ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মংচিংনু মারমার কাছে একটি স্মারকলিপি পেশ করেন।
স্মারকলিপি প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন হারামিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি ফসিউল আলম রহিম, সাবেক ইউপি সদস্য ফজলুল করিম, বাবুল দাস, বিধান দাস, স্বপন দাস, কালা দাস, অনিল দাস, রাজধন দাস, হরি মোহন দাস, মনোরঞ্জন দাস, গোবিন্দ দাস, প্রভাত দাস প্রমুখ।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মংচিংনু মারমা জেলেদের বক্তব্য মনোযোগ দিয়ে শুনেন এবং ফেরিঘাট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে একটি যৌক্তিক ও মানবিক সমাধানের আশ্বাস দেন।