আপডেট: নভেম্বর ২৬, ২০২৫

বিজয় নিউজ :: ঘনঘটা করে চলছে হিজলা উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের বাৎসরিক প্রাণিসম্পদ মেলা। প্যান্ডেল ফাঁকা, মাঠ ও ফাঁকা। উৎসাহ উদ্দীপনা নেই সেখানে। আক্ষেপ ইউএনওর।
উপজেলা হেলিপেডে দিন ব্যাপী চলছিল প্রাণিসম্পদ মেলা। আয়োজনে চোখে পড়ার মতো অর্ধশতাধীক স্টল রয়েছে। স্টলে চোখে পড়ার মতো প্রাণীর দেখা মিলেনি। শুধু বলতে পারছেন মেলায় আসছেন। ছিল ভুড়ি ভোজের আয়োজন। ছিলনা প্রকৃত খামারি।

বিগত বছরের প্রাণিসম্পদ মেলার কার্যক্রম নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় প্রতিষ্ঠিত খামারি মনু ভান্ডারী। তার মতে এগুলো হচ্ছে প্রশাসনের আই ওয়াশ । তাই এ বছর মেলায় অংশগ্রহণ করেননি প্রতিষ্ঠিত এ খামারি ।
খামারি শহিদুল ইসলাম জানান,পশু মেলা পশু দপ্তরের একটি আয়বধর্ক প্রকল্প। এর জন্য দপ্তরের নিজস্ব লোক রয়েছে। আমাদের জন্য না।
খামারি রেশাদ হাওলাদার জানান, এসব অনুষ্ঠানে প্রানী সম্পদ দপ্তরের প্রাইজ আগে থেকে নির্ধারণ করা থাকে। আমরা পেছন কাতারের লোক। ওই সব প্রোগ্রামে যাওয়াই বোকামি।
খামারিদের অভিযোগ উপজেলায় ছয়টি ইউনিয়নে তালিকাভুক্ত গরুর খামার রয়েছে। এদের সাথে দপ্তরের দূরত্ব রয়েছে।
খামারী ইমাম হোসেন, জামাল দফাদার,শামসুল আলম, রিপন, আনোয়ার হোসেন সহ একাধিক ব্যক্তি ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, এবছর কবে কখন কিভাবে মেলার আয়োজন করা হয়েছে তা তাদের জানা নেই।

সাধারণ খামারিদের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটে অনুষ্ঠানে উপস্থিত উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব ইলিয়াস শিকদারের বক্তব্যে।
হিজলা উপজেলা ভেটেনারি সার্জন, মাহমুদুল হাসান জানান, মেলার জন্য মাইকিং করা হয়েছে। প্রত্যেককে দাওয়াত দেওয়া হয়েছে। সে মোতাবেক উপস্থিতি কম। কেউ না আসলে তাকে তো জোর করে আনা যায় না।
হিজলা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা খুরশিদ আলম এর সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।