আপডেট: অক্টোবর ১৮, ২০২৫
কামরুল হাসান রাসেল:: বরিশাল বাজারে টানা একসপ্তাহ ধরে স্থির হয়ে আছে সবজি,মাছসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন পণ্যের দর।যেসব পণ্যের দাম চড়া ছিল সেগুলো সপ্তাহের শেষেও চড়াই আছে।বরং মুরগি ও ডিমসহ মাছের দাম আরও বেড়েছে।শনিবার (১৮ অক্টোবর) নগরীর বহুমুখী সিটি মার্কেট কাঁচাবাজার ঘুরে নিত্যপণ্যের দাম এ চিত্র দেখা গেছে।গত সপ্তাহে বাজারে ব্রয়লার মুরগি ১৭০ টাকা ও সোনালি মুরগি ২৯০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল।শুক্রবার বটতলা বাজারে প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি ১৮০ টাকা এবং সোনালি মুরগি ৩১০ থেকে ৩৩০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।আর বিভিন্ন অলিগলির। দোকানগুলোতে ব্রয়লার মুরগি ১৭০ থেকে ১৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।এ হিসেবে সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে অন্তঃত ২০ টাকা আর সোনালি মুরগির বেড়েছে ২৫ থেকে ৩০ টাকা।এছাড়া কক মুরগি ২৮০ থেকে ২৯০ টাকা, লেয়ার মুরগি ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা ও দেশি মুরগি ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।বাজারে অন্যান্য মাংসের মধ্যে গত সপ্তাহের মতো গরু মাংষ বিক্রি হয়েছে ৭৮০ থেকে ৮০০ টাকায়।আর খাসির মাংস ১ হাজার ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।এছাড়া গত সপ্তাহে বাজারে ফার্মের ডিমের দাম ছিল ডজনপ্রতি ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা।অলিগলির দোকানগুলোতে ছিল ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা।সপ্তাহের ব্যবধানে ফার্মের ডিমের দাম বাজারে অন্তঃত ৫ টাকা বেড়ে ১৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অলিগলির দোকানগুলোতে ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।হাঁসের ডিম বিক্রি হচ্ছে প্রতিডজন ২২০ টাকায়। বাজারে এখনও অধিকাংশ সবজিই বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৯০ টাকার মধ্যে।সবজির মধ্যে প্রতি কেজি টমেটো মানভেদে ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা, দেশি গাজর ৭০ টাকা,চায়না গাজর ১৩০ টাকা,লম্বা বেগুন ৮০ টাকা, গোল বেগুন ৭০ থেকে ১০০ টাকা, দেশি শসা ৭০ টাকা, করলা ৯০ টাকা,কাঁকরোল ১০০ টাকা,ঢেঁড়স ৮০ টাকা,পটল ৭০ থেকে ৯০ টাকা,চিচিঙ্গা ৮০ টাকা, ধুন্দল ৮০ টাকা,ঝিঙা ৯০ টাকা,বরবটি ৯৫ টাকা,কচুর লতি ৮০ টাকা,কচুরমুখী ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কাঁচামরিচের দাম গত সপ্তাহের চেয়ে কেজিতে আবার ২০ টাকা কমে ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।ধনেপাতা কেজিতে ৫০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়।এছাড়া পেঁপে ৩৫ টাকা,মিষ্টি কুমড়া ৪৫ থেকে ৫৫ টাকা,মানভেদে লাউ ৭০ থেকে ১০০ টাকা, চালকুমড়া ৬০ থেকে ৭০ টাকা,প্রতি হালি কাঁচা কলা ৪০ টাকা,প্রতি হালি লেবু বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকায়।সবজির মধ্যে ফুলকপি ১৬০ টাকা,শিম ২০০ টাকা,মূলা ৮০ টাকা, বাঁধাকপি ৮০ থেকে ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।শাকের মধ্যে কচুশাক ৪০ টাকা, মিষ্টিকুমড়া শাক ৫০ টাকা, পুঁইশাক ৫০ টাকা ও লালশাক ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।সাগরে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা এখনও বহাল থাকায় বাজারে মাছের বাড়তি দর এখনও নিম্নমুখী হয়নি।বাজারে বড় সাইজের বাগদা প্রতি কেজি ৭০০ টাকা, গলদা চিংড়ি ৯০০ ও ছোট চিংড়ি ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।বড় রুই ৪৫০ থেকে ৫২০ টাকা,মাঝারি ৪৮০ টাকা ও ছোট রুই ৩৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।কাতলা মাছ ৪০০ থেকে ৪৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।এছাড়া ছোট কোরাল মাছ ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা, তেলাপিয়া ২৩০ টাকা,সিলভার কার্প ২৫০, পাবদা ৩৫০, রূপচাঁদা
মসুর ১১০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
বাজারে ও অলিগলির দোকানে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ২০০ টাকা,খোলা সয়াবিন তেল ১৭৫ টাকা, খোলা সরিষার তেল প্রতি লিটার ২৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।এছাড়া প্রতিকেজি খোলা সাদা চিনি ১১০ থেকে ১১৫ টাকা, প্যাকেট চিনি ১২০ টাকা,লালচিনি ১৩০ টাকা,ছোট মুগডাল ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা,খেসারি ডাল ১০০ টাকা, দরে বিক্রি হয়েছে।