১২ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

হিজলায় সয়াবিনের বাম্পার ফলন কৃষকের মুখে হাসি

আপডেট: ডিসেম্বর ১০, ২০২৫

ফকির সাইফুল ইসলাম  ::  সয়াবিনের বাম্পার ফলন হিজলায়। অগ্রিম সয়াবিন চাষে পর পর রেকর্ড গডছে হিজলা। চরের উবঁর জমিতে অক্টোবরে সয়াবিনের বীজ ছিটিয়ে দিয়েছে কৃষক।ডিসেম্বরে ফসল কাটা শুরু করবে, এমনটাই আশা করছে চাষী।
উপজেলার হরিনাথপুর,হিজলা গৌরবদি, মেমানিয়া সহ বিভিন্ন চর এলাকায় অগ্রিম চাষ হচ্ছে সয়াবিন। এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আশানুরুপ ফলন তুলতে পারবেন তারা। ইতিমধ্যে সয়াবিন গাছে ফল ধরেছে। পোকার আক্রমণ নেই বললেই চলে। ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে ফসল ঘরে তুলবেন তারা। এ ফসল ই জমি চাষ দিয়ে আবার ডিসেম্বর শেষে জানুয়ারি মাসে বোনা সয়াবিন ফলাবেন তারা।
এক্ষেত্রে পুরনো বীজ থেকে নতুন বীজে ফসল উৎপাদন ও গজানোর সম্ভাবনাকে প্রাধান্য দিচ্ছেন কৃষক।


জানপুরের চাষী দুলাল জানান, এবছর তিনি ৪০ শতক জমিতে সয়াবিন বুনছেন। বাম্পার ফলনের আশা করছেন তিনি। চাষি খলিল জানান,তিনি ১ একর জমিতে সয়াবিনের চাষ দিয়েছেন। ফসল ও ফলন খুবই ভালো। চাষী বাবুল জানান, তিনি ৩ একরের মতো জমিতে সয়াবিনের চাষ দিয়েছেন। ফলন ভালো। নিজের ১৫-২০ একর জমিতে  সয়াবিন চাষ করবেন। এজন্য অগ্রিম বীজ বপন করেছেন। নিজের জমিতে বপনের পর অতিরিক্ত সয়াবিন ভালো দামে বিক্রির আশা করছেন। বিগত বছরেও তিনি একই পদ্ধতি অবলম্বন করেছেন।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় অগ্রিম মৌসুমে কৃষকেরা প্রতি বছরই অগ্রিম সয়াবিন চাষ করে থাকেন। এবছর আবহাওয়া অনুকূলে। ফসল, ফলন উভয়ই ভালো। ।
কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা শামীম আফ্রিদি জানান, এবছর হিজলা কৃষি অফিস একটি প্রকল্পের মাধ্যমে আগাম চাষীদের সয়াবিনের চাষ করানো হচ্ছে। এর বাহিরেও হিজলা উপজেলার বিভিন্ন চরাঞ্চলে কৃষক নিজ উদ্যোগ আগে থেকেই চাষ করে আসছে। আমাদের ভাষায় এ মৌসুমটিকে ধরা হয় খরিপ-  ২।
হিজলা উপজেলায় বীজ সয়াবিনের আওতায় জমির পরিমাণ প্রায় ৬.২ হেক্টর। (১৫ একরের)  অধীক জমিতে আগাম সয়াবিন চাষ করা হয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার আহসানুল হাবিব আল জনি জানান, ইতোমধ্যে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের নিজ নিজ এলাকায় সয়াবিন চাষীদের তদারকির জন্য দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

6 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন