আপডেট: ডিসেম্বর ৩০, ২০১৯
বিজয় নিউজ:: থার্টিফাস্ট নাইটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় সন্ধ্যা ৬টার পর স্টিকার ও পরিচয়পত্র ছাড়া বহিরাগত কোনো ব্যক্তি বা যানবাহন প্রবেশ করতে দেয়া হবে না।
বিশ্ববিদ্যালয় আবাসিক এলাকায় বসবাসরত শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের গাড়ি নির্ধারিত সময়ের পর পরিচয় দিয়ে নীলক্ষেত এবং শাহবাগ ক্রসিং দিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন।
আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ নিদের্শনা দেন ডিএমপি কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম।
ঢাবি ও বিএনপি কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা নিরাপত্তা শঙ্কা তৈরি করেছে জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ঢাবিতে চাইলেও পুলিশ যেতে পারে না। তবে ককটেল বিস্ফোরণে জড়িতদের খুঁজে বের করতে সেখানে সাদা পোশাকে গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা কাজ করছে।
নয়াপল্টনে বিএনপি পার্টি অফিসের সামনের সড়ক নিরাপত্তা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটি রাজধানীর ব্যস্ততম সড়কগুলোর অন্যতম । অনেক যানবাহন সেখানে চলাচল করে। সিগন্যাল পড়ে। তাই সেখানে যেন কোনোরকম অনাঙ্খিত ঘটনা না ঘটে সেদিকে সতর্ক থাকতে হবে আমাদের।
তিনি বলেন, এজন্য আমি সংশ্লিষ্ট এলাকার ডিসিকে নিরাপত্তা নিশ্চিতে বিএনপি পার্টি অফিসের সামনের সড়কের পুরো এলাকা যেন সিসিটিভির আওতায় নিয়ে আসা হয় সে নির্দেশনা দিয়েছি।
থার্টিফার্স্ট নাইটে শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ই নয় রাজধানী ঢাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হবে বলে জানান ডিএমপি কমিশনার।
ঢাকায় নিরাপত্তা জোরদারে বেশকিছু নির্দেশনা জারি করা হয়েছে জানিয়ে কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ইংরেজি নববর্ষ উদযাপনকালে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির যে কোনো ধরনের আশঙ্কা রোধে ঢাকায় রাস্তার মোড়, ফ্লাইওভার, ভবনের ছাদে এবং প্রকাশ্যে স্থানে কোনো ধরনের জমায়েত, সমাবেশ, উৎসব করা যাবে না। এছাড়া কোথাও কোনো ধরনের আতশবাজি-পটকা ফোটানো যাবে না।
এদিন উন্মুক্ত স্থানে সব ধরনের অনুষ্ঠান, নাচ-গান ও কোনো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান নিষিদ্ধ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, ঘরোয়াভাবে কোনো অনুষ্ঠান করতে চাইলেও তা পুলিশকে অবহিত করে অনুমতি সাপেক্ষে তা করতে পারবে। প্রয়োজনে পুলিশ নিরাপত্তা বিধান ও তত্ত্বাবধানে হবে এসব অনুষ্ঠান।
সুষ্ঠু বিনোদনের জন্য উন্মুক্ত স্থানে অনুষ্ঠানের অনুমতি কেন দেয়া হবে না প্রশ্নে ডিএমপি কমিশনার বলেন, নিরাপত্তাজনিত কারণেই উন্মুক্ত স্থানে অনুমতি দেয়া হচ্ছে না। উন্মুক্ত স্থানে নিরাপত্তা বিধান করা কঠিন।
এছাড়া থার্টিফার্স্ট নাইটে হাতিরঝিল এলাকায় কাউকে অবস্থান করতে দেয়া হবে না বলে জানান কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, এদিন রাত ৮টার পর হাতিরঝিল এলাকায় কাউকে অবস্থান করতে দেয়া হবে না। সন্ধ্যা ৬টার পর ঢাকা রাজধানীর সব বার বন্ধ থাকবে। একইসঙ্গে ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টা থেকে ১ জানুয়ারি ভোর ৬টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন আবাসিক হোটেল, রেস্তোরাঁ, জনসমাবেশ ও উৎসবস্থলে সব ধরনের লাইসেন্সকৃত আগ্নেয়াস্ত্র বহন করা যাবে না।
বৈধতা ছাড়া কাউকে পাঁচ তারকা হোটেলে মাদক সেবনের জন্য অনুমোদন না দেয়া হয় সেজন্য পুলিশের পক্ষ থেকে হোটেল কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, এবারের থার্টি ফাস্ট নাইটে মাদক সেবন করে কেউ বেপরোয়া যানবাহন চালালে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে ডিএমপি। অ্যালকোহল টেস্টের জন্য গুলশান, বনানী ও হাতিরঝিলসহ একাধিক এলাকায় কিটসহ পুলিশের বিশেষ টিম অবস্থান করবে।
থার্টিফার্স্ট নাইট উপলক্ষে ডিএমপি আরো যেসব নিদের্শনা দিয়েছে, সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থে এদিন সাধারণ কোনো কারণে গুলশান, বনানী, বারিধারা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আবাসিক এলাকায় গমনের ক্ষেত্রে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। এসব এলাকার বাসিন্দাদের ৩১ ডিসেম্বর রাত ৮টার মধ্যেই প্রত্যাবর্তনের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। তবে নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলে বাসিন্দাদের পরিচয় দিয়ে কাকলি ক্রসিং এবং আমতলী ক্রসিং ব্যবহার করে প্রবেশ করা যাবে।