আপডেট: জুলাই ৩০, ২০১৯
ধানবীজ খাওয়ার অপরাধে দুটি মুরগির দণ্ড হয়েছে।নির্দিষ্ট পরিমাণ জরিমানা গুণে দণ্ড থেকে মুক্ত করতে হবে মুরগির মালিক পক্ষকে।
এমন ব্যতিক্রম ঘটনা ঘটেছে কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরী উপজেলার কেদার ইউনিয়নের গোলের হাট গ্রামে।
স্থানীয় একটি খোয়াড়ে মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে আটক রাখা হয়েছে অপরাধ করা মুরগি দুটিকে। মুরগি আটক করে খোয়াড়ে প্রদানকারী
কৃষক ক্বারি মাহাবুবুর রহমান বলেন,বন্যায় নষ্ট হয়ে যাওয়া আমন ধানের বীজতলা আবার গজাতে শুরু করেছে।এদিকে গ্রামের সব মুরগি এসে কচি কচি চারা ধানগুলো খেয়ে ফেলছে। যাদের মুরগি তাদের অনেকবার নিষেধ করা হয়েছে।সাবধান করে দেয়া হয় বাড়ি বাড়ি গিয়ে।
তিনি বলেন, তার পরও কাজ না হওয়ায় সকালে দুটি মুরগি ধরে স্থানীয় গবাদিপশুর খোয়াড়ে দিয়েছি।এতে আমি কোনো অপরাধ করিনি। আমি আমার ফসল রক্ষায় বাধ্য হয়ে এ কাজ করেছি।
খোয়াড়ের মালিক ইব্রাহিম জানান,বীজতলার ধান খাওয়ার অপরাধে দুটি মুরগি খোয়াড়ে দিয়েছেন ক্বারি মাহাবুবুর রহমান।তবে মুরগি দুটির মালিক কে বা কাহারা তা জানা যায়নি।
গবাদি পশু-পাখি দ্বারা ফসলের ক্ষতি করলে ক্ষতিগ্রস্ত মালিক খোয়াড়ে দিতে পারেন। আর্থিক জরিমানা বা দণ্ড দিয়ে পশু-পাখির মালিক তা ছাড়িয়ে নিয়ে যায়।মুরগির মালিক যেই হোক না কেন,তাকে জরিমানা বাবদ দুটি মুরগির জন্য ৬০ টাকা দিতে হবে।
এ ছাড়াও দিন যত যাবে খাওয়ার খরচ দিতে হবে। তবে আমার ৪০ বছরের খোয়াড় চালানোর ইতিহাসে এবারই প্রথম কেউ মুরগি খোয়াড়ে দিল।
কেদার ইউপি চেয়ারম্যান মাহাবুবুর রহমান মুরগীর হাজতবাসের কথা শুনেছেন বলে জানান।এমন ঘটনা এলাকায় এই প্রথম বলে দাবি করেন। যা এলাকায় হাস্যরসের সৃষ্টি করেছে।