২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

বরিশালে করোনা ওয়ার্ডে ২৪ ঘন্টায় ১০ জনের মৃত্যু

আপডেট: জুন ৩০, ২০২১

বিজয় নিউজ:: বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে ২৪ ঘন্টায় ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। বেড়েছে রোগী ভর্তি এবং মৃত্যুর হার একই সাথে মেডিকেল কলেজের আরটি-পিসিআর ল্যাবে করোনা শনাক্তের হার।

সোমবার দুপুর ১টা থেকে গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১টা পর্যন্ত বিগত ২৪ ঘন্টায় শের-ই-বাংলা মেডিকেলের করোনা ওয়ার্ডে মৃতরা হলো; রাজিয়া বেগম (৬০), হাওয়া বেগম (৭২), সাইমুন (২৪), শওকত হোসেন (৪০), আব্দুল কাদের (৭০), মো. সুলতান (৬০), বাদল কর্মকার (৪২), মোয়াজ্জেম হোসেন (৭০), মাকসুদ তালুকদার (৪৫) ও মতিউর রহমান (৬০)।

এদিকে গত ৪দিন ধরে ধরে মেডিকেল কলেজের আরটি পিসিআর ল্যাবে নমূনা পরীক্ষা অনুযায়ী করোনা শনাক্তের হার ধারাবাহিকভাবে বাড়লেও সব শেষ রিপোর্টে কিছুটা কমেছে। গত সোমবার রাতে প্রকাশিত রিপোর্টে ১৮৮জনের নমূনা পরীক্ষায় ৭১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৩৭.৩৭ ভাগ। এর আগে রবিবার রাতে প্রকাশিত রিপোর্টে করোনা শনাক্তের হার ছিলো ৪৮.৮০ ভাগ, শনিবারের রিপোর্টে ৪৬.২০ভাগ, শুক্রবারের রিপোর্টে ৪৪.৪৪ ভাগ এবং বৃহস্পতিবার শনাক্ত হয়েছে ৩৩.৩৩ভাগ। তবে মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ শুধুমাত্র নতুন নমূনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার বিবেচনা করছে।

মেডিকেল কলেজের আরটি পিসিআর ল্যাবের ইনচার্জ ডা. একেএম আকবর কবির বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী শুধুমাত্র নতুন নমূনা পরীক্ষার শনাক্ত বিবেচনা করা হয়। যারা আগে থেকে পজেটিভ ছিলো তাদের নমূনা পরীক্ষায় ফের পজেটিভ রিপোর্ট হলেও মোট গড় এ তাদের বিবেচনা করা হয় না। নতুন নমূনা পরীক্ষায় গত ২৭ জুন সর্বোচ্চ ৩৭ ভাগ করোনা শনাক্ত হয়েছে। সারা দেশের মতো বরিশালেও করোনা শনাক্তর হার বেড়ে যাওয়ায় উদ্বিগ্ন চিকিৎসকরা।

হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচএম সাইফুল ইসলাম জানান, গত বছরের জুলাইয়ে করোনার প্রথম ঢেউয়ে বরিশাল মেডিকেলের করোনা ওয়ার্ডে সর্বোচ্চ ১২১জন রোগী চিকিৎসাধীন ছিলো। তবে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত এই হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ছিলেন সর্বাধিক ১৪০ জন রোগী। এর আগের ২৪ ঘন্টায় (সোমবার) নতুন ভর্তি হওয়া ২৭ জন সহ চিকিৎসাধীন ছিলেন ১১৮জন রোগী। করোনা ওয়ার্ডে রোগী ভর্তি এবং মৃত্যুর হার বেড়ে যাওয়ায় উদ্বিগ্ন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

তিনি আরো বলেন, মেডিকেলের করোনা ওয়ার্ডে সাতক্ষীরা এবং বাগেরহাটের রোগী ভর্তি থাকায় তাদের মাধ্যমে বরিশালে করোনার ভারতীয় ভেরিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ার আশংকা করেন। তবে করোনার ভারতীয় ভেরিয়েন্ট পরীক্ষার ব্যবস্থা বরিশালে নেই বলে জানিয়েছেন তিনি।

187 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন