১লা জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, মঙ্গলবার

জুমআর দিনকে ইয়াহুদিরা যে কারণে  ঈদের মর্যাদা দিতে চেয়েছিলেন

আপডেট: অক্টোবর ৪, ২০১৯

ধর্ম ডেস্ক::  মুসলিম উম্মাহর জন্য নির্ধারিত সাপ্তাহিক মর্যাদাপূর্ণ ইবাদতের দিন হলো শুক্রবার। এ দিনের ইবাদতকে ইয়াহুদিরা অনন্য মর্যাদা দেয়ার আক্ষেপ পোষণ করতো। কারণ এ দিন আরাফাতের ময়দানে প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতি নাজিল হয় গুরুত্বপূর্ণ খুশির আয়াত। ইসলামের পরিপূর্ণতার আয়াত।

ইয়াহুদিদের ভাষায় আরাফাতের দিন শুক্রবার যদি ইসলামের পরিপূর্ণতার আয়াত তাদের ওপর নাজিল হতো তবে তারা এ দিনটিকে ঈদের দিন তথা সবচেয়ে বেশি খুশির দিন হিসেবে পালন করতো। হাদিসে পাকে এ ঘটনাটি বর্ণিত হয়েছে।

হজরত ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, এক ইয়াহুদি তাঁকে বলল, ‘হে আমিরুল মুমিনিন! আপনাদের কিতাবে একটি আয়াত আছে, যা আপনারা পাঠ করে থাকেন, তা যদি আমাদের ইয়াহুদি জাতির ওপর অবতীর্ণ হতো, তবে অবশ্যই আমরা সেই দিনকে ঈদ হিসেবে পালন করতাম।

তিনি জানতে চাইলেন, (সেটি) কোন আয়াত? সে (ইয়াহুদি আয়াতটি) বলল-
‘আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীনকে পরিপূর্ণ করে দিলাম, তোমাদের প্রতি আমার অবদান সম্পূর্ণ করে দিলাম এবং ইসলামকে তোমাদের জন্য দ্বীন হিসেবে পছন্দ করলাম।’ (সুরা মায়েদা : আয়াত ৩)

হজরত ওমর বললেন, ‘এটি যে দিনে এবং যে স্থানে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর ওপর অবতীর্ণ হয়েছিল তা আমরা জানি। তিনি সেদিন আরাফায় দাঁড়িয়েছিলেন আর সেটা ছিল জুমআর দিন।’ (বুখারি)

সুতরাং এ গুরুত্বপূর্ণ দিনে আজানের সঙ্গে সঙ্গে মসজিদের দিকে দ্রুত ধাবিত হওয়া মুসলিম উম্মাহর জন্য আবশ্যক। কেননা আল্লাহ তাআলা ঘোষণা দিয়েছেন-

94 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন