২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার

কানাডায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে জাতীয় শােক দিবস পালিত

আপডেট: আগস্ট ১৬, ২০২০

রাজীব আহসান, কানাডা থেকে :: কানাডায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে যথাযােগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে জাতীয় শােক দিবস পালিত হয়েছে।

সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষ্যে দূতাবাস আয়ােজিত কর্মসূচির মধ্যে ছিল, জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ, জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন, এক মিনিট নীরবতা পালন, বিশেষ প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শণ এবং আলােচনা সভা।

দিবসের শুরুতে সকাল সোয়া ৯টায় বাংলাদেশ হাউজে হাইকমিশনার মিজানুর রহমান দূতাবাসের সব সদস্যদের নিয়ে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করেন। এ সময় জাতীয় সংগীত বাজানাে হয় ।

পরবর্তীতে বিকাল ৫টায় দিবসের দ্বিতীয় অধিবেশনের কার্যক্রম শুরু হয়।অনুষ্ঠানে কানাডা প্রবাসী বাংলাদেশীরাও যােগদান করেন। কোভিড -১৯ মহামরীর প্রেক্ষাপটে আরােপিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে হাইকমিশন এ শোক দিবস উদযাপন করে।

দূতাবাসের প্রথম সচিব মিস অপর্না রানী পালের সঞ্চালনায় জাতীয় শােক দিবসের অনুষ্ঠান শুরু হয়। প্রথমেই উপস্থিত সবাইকে নিয়ে হাইকমিশনার মিজানুর রহমান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ।

এরপর বঙ্গবন্ধুসহ পরিবারের সব নিহত সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এ দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শােনান যথাক্রমে উপহাইকমিশনার চিরঞ্জীব সরকার, কাউন্সিলর সাখাওয়াৎ হােসেন, দেওয়ান হােসেনে আইয়ুব ও শাকিল মাহমুদ। বাণী পাঠের পর বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী জীবনের উপর নির্মিত প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয় ।

এ পর্যায়ে একটি উন্মুক্ত আলােচনা অনুষ্ঠানের আয়ােজন করা হয়। এ আলােচনা অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত প্রবাসী বাংলাদেশীরা বক্তব্য প্রদান করেন ।

হাইকমিশনার মিজানুর রহমান তার বক্তব্যের শুরুতে শােকাবহ আগস্টে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

তিনি বলেন- মা, মাতৃভূমি আর মাতৃভাষা যেমন অবিচ্ছেদ্য সম্পর্কে আবদ্ধ, তেমনি বঙ্গবন্ধু, বাঙালি জাতি আর বাংলাদেশ একই সুতায় গাঁথা।

বঙ্গবন্ধু যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে অতি দ্রুত প্রয়ােজনীয় রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তােলার পাশাপাশি মিত্র বাহিনীর বাংলাদেশ ত্যাগ, আন্তর্জাতিক অঙ্গণে বাংলাদেশের অতি দ্রুত স্বীকৃতি পাওয়ার ক্ষেত্রে সফল হন।

কিন্তু ১৫ আগস্টের মর্মান্তিক ও বিয়ােগান্ত ঘটনায় জাতির এই উন্নয়ন বাধাগ্রস্থ হয়। শােককে শক্তিতে রূপান্তর করে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর জীবনের অন্যতম লক্ষ্য মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি সাধন এবং বিশ্বের নিপীড়িত মানুষের স্বপক্ষে লড়াই করার উদ্দেশ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন ।

হাইকমিশনার আরও বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণের জন্য কানাডার বিভিন্ন প্রদেশে করােনা পূর্ববর্তীকালে বেশ কিছু সেমিনারের আয়ােজন করেছে। মুজিববর্ষে কানাডার প্রধানমন্ত্রীকে যাতে বাংলাদেশে নেয়া যায় সে ব্যাপারে হাই কমিশনের পক্ষ থেকে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে।

আলােচনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত প্রবাসী বাংলাদেশীরা হলেন- কবির চৌধুরী, শাহ বাহাউদ্দিন শিশির, মতিন মিয়া, মাসুদ সিদ্দিকী, মুন্সি বশির, মুক্তিযােদ্ধা গােলাম মুহিবুর রহমান এবং হাসানুজ্জামান।

তারা বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবীত হয়ে সবাইকে একযােগে কাজ করতে হবে। প্রবাসী বাংলাদেশীরা বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনীদের বিচারের আওতায় আনার জন্য জোর দাবি জানান ।

অনুষ্ঠানের এ পর্যায়ে হাইকমিশনার উপস্থিত সবাইকে নিয়ে ‘বঙ্গবন্ধু কর্নার’ উদ্বোধন করেন। বঙ্গবন্ধুর কর্নারে বঙ্গবন্ধুর ওপর পুস্তক, ডকুমেন্টরিসহ বিভিন্ন উপকরণ থাকবে যা সব প্রবাসী বাংলাদেশীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

বিশেষ করে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের সঠিক ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারবে।

110 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন