২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার

কঠোর বিধিনিষেধ-রোজা : ক্রেতাদের চাপে হিমশিম খাচ্ছেন দোকানিরা

আপডেট: এপ্রিল ১৩, ২০২১

বিজয় নিউজ:: করোনাভাইরাসের প্রকোপ রোধে ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত চলাচলের ওপর কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে সরকার। আবার বিধিনিষেধের শুরুতেই আসছে রমজান। চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে আগামীকাল বুধবার অথবা পরশু বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হবে রোজা।

এ দুই কারণে বাড়তি কেনাকাটা করতে রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে ও দোকানে ভিড় করছেন ক্রেতারা।

দোকানে ভিড় করে ক্রেতাদের মাংস, মাছ, ছোলা-খেজুরের পাশাপাশি পেঁয়াজ, রসুন, আলু, আদা ও বিভিন্ন মসলা বাড়তি পরিমাণে কিনতে দেখা গেছে।

বিক্রেতারা জানিয়েছেন, রোজার আগে কিছু পণ্যের বিক্রি বেড়ে যাওয়া স্বাভাবিক। তবে গতকাল থেকে ক্রেতাদের ভিড় বেশি বেড়েছে। অনেকে আতঙ্কে বাড়তি পণ্য কিনছেন।

মালিবাগ হাজীপাড়ার ব্যবসায়ী মো. আফজাল বলেন, ‘সরকার এবার কঠোর লকডাউন দিয়েছে। ব্যাংকও বন্ধ থাকবে। এ নিয়ে মানুষের মধ্যে কিছুটা আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। এর সঙ্গে রোজাও চলে আসছে। কাল অথবা পরশু রোজা শুরু। এ কারণে মানুষের কেনাকাটা বেড়ে গেছে।’

তিনি বলেন, ‘করোনা নিয়ে এবার গত বছরের মতো মানুষের মধ্যে ভয় নেই। কিন্তু সবকিছু বন্ধ করে দেয়ায় মানুষের মধ্যে আতঙ্ক আছে। লকডাউনের মধ্যে মানুষ বাইরে বের হতে পারবে কি না, তা নিয়ে শঙ্কা আছে। এ কারণেই হয়তো রোজার আগে অনেকে বাড়তি পণ্য কিনছেন।’

মালিবাগ থেকে খিলগাঁও তালতলা বাজারে গিয়েও ক্রেতাদের বাড়তি ভিড় দেখা যায়। বাজারটির ব্যবসায়ী মিলন বলেন, ‘গতকাল দুপুর থেকেই মানুষের কেনাকাটা বেড়েছে। রোজা শুরু হয়ে যাচ্ছে এ কারণে সবাই রোজায় বেশি লাগে এমন পণ্য কিনছেন। এর সঙ্গে আগামীকাল থেকে সরকার বিধিনিষেধ দিয়েছে, এটাও বাড়তি কেনাকাটার কারণ।’

তিনি বলেন, ‘আমরা ক্রেতাদের একটু দূরে দূরে দাঁড়াতে বললে তাতে কাজ হচ্ছে না। সবাই একসঙ্গে ভিড় করছে। আমাদের দোকানে বিক্রির জন্য পাঁচজন আছি। ক্রেতাদের ভিড় সামাল দিতে এই পাঁচজন হিমশিম খাচ্ছি। সকালে দোকান খোলার পর থেকেই এমন ভিড়। মনে হচ্ছে সন্ধ্যা পর্যন্ত এ অবস্থা থাকবে। এর আগে গত বছর সরকার লকডাউন দিলে ক্রেতাদের এমন ভিড় হয়েছিল। এরপর গত এক বছরে ক্রেতাদের এতো ভিড় আর হয়নি।’
বাজারটি থেকে পণ্য কেনা আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘৫ এপ্রিল থেকে সরকার যে লকডাউন দিয়েছিল তা নিয়ে অনেকেই হাসিঠাট্টা করছে। কিন্তু এবারের পরিস্থিতি ভিন্ন। ব্যাংক পর্যন্ত বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। আমার জানামতে এর আগে কখনো এভাবে ব্যাংক বন্ধ করা হয়নি। স্বাভাবিকভাবেই সামনে কী হবে তা নিয়ে সবাই উদ্বিগ্ন।’

তিনি বলেন, ‘কখন কী হয় বলা মুশকিল। কিন্তু বাঁচতে হলে খাওয়ার দরকার আছে। আবার রোজা শুরু হচ্ছে। রোজার জন্য কিছু পণ্য বাড়তি কেনা লাগে। সব মিলিয়ে অনন্ত ১৫ দিন যাতে চলে তেমন কিছু প্রয়োজনীয় কেনাকাটা করেছি।’
রামপুরা থেকে পণ্য কেনা মনিরুজ্জামান বলেন, ‘এবারের লকডাউন কঠোর হবে বলেই মনে হচ্ছে। শুনছি কেনাকাটার জন্য বাহিরে বের হতেও পুলিশের পাস লাগবে। এসব কারণেই কিছু বাড়তি কেনাকাটা করে রাখছি। তাছাড়া রোজা চলে এসেছে। এজন্যও কিছু কেনাকাটা করা প্রয়োজন।’

137 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন