২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

কাউয়ার চর খেয়াঘাট উম্মুক্ত হওয়া সত্যেওঃজনগনের ভোগান্তি শেষ নেই

আপডেট: অক্টোবর ১৯, ২০১৯

নাসির হাওলাদার ::  বরিশাল নগরীর কাউয়ার চর খেয়াঘাট উম্মুক্ত হওয়া সত্যেও সাধারন জনগনের ভোগান্তি শেষ নেই।
বরিশাল ৫ আসনের সাবেক এমপি ও বিসিসি মেয়র শকত হোসেন হিরন পূর্ব অঞ্চলরে জনগনের ভোগান্তি দুর করার লক্ষে ২০১০ সালে সম্পুন্ন ভাবে টাকা উত্তোলন উম্মুুক্ত করে দেয়।

কিন্তু‘ তারপরও সাধারন জনগনের ভোগান্তি আর দু -ভোগের আর শেষ নেই। ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ১১০ টি নৌকায় হাজার হাজার জনগন ও শত শত মটর সাইকেল নদী দিয়ে পারাপার হয়। প্রতি লোকের ২ টাকা নেয়া কথা থাকলে ও অদিশ্য ভাবে প্রতি লোক থেকে ৩ থেকে ৫ টাকা নেয় এবং প্রতি মটর সাইকেল থেকে ২০ টাকা নেয়া কথা থাকলেও নেয়া হয় ৬০ টাকা ,বাইসাইকেল থেকে নেয়া কথা ছিলো ৫ টাকা সে স্থানে নেয়া হয় ১০ টাকা। অনন্য মালামাল নেয়া ক্ষেত্রে অতিরিক্ত টাকা গুনতে হয়।

সরোজমিনে দেখা যায় প্রতিটি নৌকায় ৩০ থেকে ৪০ জন লোক নিয়ে র্কীতন খোলা নদী পারাপার করছে। এতে করে নদী পারা পারে বড় ধরনের ঝুকি নিয়ে সাধারন জনগন চিন্তিত। এর আগে নদীতে কয়েক ভার নৌকা ডুবির ঘটনা ঘটেছে। এই বিষয় নৌকায় পারাপার
হওয়া যাত্রী মামুন বিজয় নিউজকে জানায়- ১০সালের আগে প্রতি যাত্রী থেকে ৫ টাকা নেয়া হত এবং জনগনের ভোগান্তি দেখে সাবেক মেয়র শকত হোসেন হিরন চর কাউ্য়া খেয়া ঘাট ইজারা উম্মুক্ত করে জনগনের জন্য ফ্রি করে দেয়।

কিন্তু হিরন ভাই মৃত্যুর পরপর নৌকা মাঝিমাল্লা নামে একটি সমিতি করে স্থানীয় প্রভাপশালী লোকজন । ৭সদস্য কমিটি করে প্রতি নৌকা থেকে চাদা আদায় করে । যার ফলে নৌকার মাঝিরা যাত্রীদের থেকে অতিরিক্ত টাকা নেয়া হয় বলে যানায়।

এই বিষয় নৌকা মাঝি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন -আমরা ঝর বৃষ্টি, রৌদ্রে মধ্যে নদীতে নৌকায় জনগনকে সেবা দিয়ে যেই টাকা পাই সেই টাকা একটি অংশ টাকা সভাপতি কে দিতে হয়।

এই বিষয় নৌকা মাঝি মাল্লা সমিতির সভাপতি মোঃ ওমর আলী সাথে আলাপ করলে তিনি বলেন – আমি কোন টাকা নেই না বরং যেই টাকা নেয়া হয় সেই টাকা নৌকা মাঝিমাল্লার সমিতিতে ১০ টাকা করে নেয়া হয় তার চেয়ে বেশি নেয়া হয় না। এই টাকা সমিতির কাছে এবং মাঝি মাল্লাদে কোন বিপদ আপদে জন্য এই টাকা জমা হয়।

অনেকে মনে করেন সভাপতি প্রতি নৌকা থেকে যে টাকা চাদা আদায় করেন সেই টাকা তিনি সহ সমিতির ২/৩ জনের পকেটে । অনেকে মনে করে জনগনের স্বার্থে সরকারের রাজস্ব থেকে মুক্ত করেন সাবেক মেয়র আর হাতাগনা ৩/৪ জন লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।

জন সাধারনের দাবি বিসিসির মেয়র সেরনিয়াবাদ সাদেক আব্দুল্লাহর চর কাউয়া খেয়া ঘাটের প্রতি নজর দিলে পূর্ব অঞ্চলের হাজার হাজার জনগন উপকৃত হবে বলে মনে করেন তারা।

102 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন